ওমান থেকে ফিরল ৭ প্রবাসীর মরদেহ, আজ জানাজা
Published: 19th, October 2025 GMT
ওমানের সড়ক দুর্ঘটনায় মারা যাওয়া সাত প্রবাসীর জানাজা রবিবার (১৯ অক্টোবর) সকাল সাড়ে ৯টায় পূর্ব সন্দ্বীপ বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে অনুষ্ঠিত হবে। সন্দ্বীপ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মংচিংনু মারমা এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে, শনিবার (১৮ অক্টোবর) রাতে বাংলাদেশ বিমানের একটি ফ্লাইটে মরদেহগুলো চট্টগ্রামের শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছায়। এ সময় স্বজনদের আহাজারিতে বিমানবন্দরে শোকের পরিবেশ সৃষ্টি হয়। বিমানবন্দরের জনসংযোগ কর্মকর্তা প্রকৌশলী মোহাম্মদ ইব্রাহিম খলিল বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
আরো পড়ুন:
গাইবান্ধায় বাসের ধাক্কায় মোটরসাইকেল আরোহী নিহত
জুলাই যোদ্ধাদের লাঠিচার্জের প্রতিবাদে ফেনীতে সড়ক অবরোধ
আরো পড়ুন: ওমানে সড়ক দুর্ঘটনায় ৭ বাংলাদেশির মৃত্যু
সূত্র জানায়, বিমানবন্ধরে মারা যাওয়াদের মরদেহ গ্রহণ করেন স্বজনরা। এরপর রাতেই সাতটি দেহ নেওয়া হয় সীতাকুণ্ডের কুমিরা ঘাটে। রবিবার সকালে মরদেহগুলো সন্দ্বীপে পৌঁছানোর কথা রয়েছে।
সড়ক দুর্ঘটনায় মারা যাওয়ারা হলেন- আমিন মাঝি (৫০), মো.
সন্দ্বীপ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মংচিংনু মারমা জানান, রবিবার সকাল সাড়ে ৯টায় পূর্ব সন্দ্বীপ বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে একসঙ্গে সবার জানাজা অনুষ্ঠিত হবে। এরপর নিজ নিজ গ্রামে তাদের দাফন করা হবে।
গত ৮ অক্টোবর বিকেল ৪টার দিকে ওমানের দুখুম সিদ্দা এলাকায় সড়ক দুর্ঘটনায় মারা যান সাত প্রবাসী। মাছ পরিবহনকারী একটি বড় ট্রাকের ধাক্কায় তাদের গাড়ি দুমড়ে-মুচড়ে যায়। নিহতদের মধ্যে সন্দ্বীপ উপজেলার সাতজন ও রাউজানের একজন ছিলেন।
ঢাকা/রেজাউল/মাসুদ
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর সড়ক দ র ঘটন মরদ হ প রব স ন হত সড়ক দ র ঘটন য় সন দ ব প ব ম নবন মরদ হ
এছাড়াও পড়ুন:
অপারেশন কিলোফ্লাইটের ক্যাপ্টেন সাহাবউদ্দিন আহমেদ বীর উত্তম আর নেই
মুক্তিযুদ্ধের অপারেশন কিলোফ্লাইটের অন্যতম বৈমানিক ক্যাপ্টেন (অব.) সাহাবউদ্দিন আহমেদ বীর উত্তম মারা গেছেন। আজ বৃহস্পতিবার ভোরে রাজধানীর গুলশানের নিজ বাড়িতে তিনি মারা যান (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। তাঁর বয়স হয়েছিল ৭৭ বছর।
ক্যাপ্টেন (অব.) সাহাবউদ্দিনের বন্ধু ক্যাপ্টেন (অব.) আলমগীর সাত্তার বীর প্রতীক প্রথম আলোকে এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি স্ত্রী, এক ছেলে ও এক মেয়ে রেখে গেছেন।
আলমগীর সাত্তার প্রথম আলোকে বলেন, আজ সকালে ঘুমের মধ্যেই তাঁর মৃত্যু হয়েছে। সকালে বিছানা না ছাড়ায় পরিবারের সদস্যরা তাঁকে ডাকতে যান। কিন্তু তাঁকে নিথর অবস্থায় পাওয়া যায়। তখন চিকিৎসককে ডাকা হয়। সকাল ৮টার দিকে চিকিৎসক এসে জানান যে তিনি মারা গেছেন।
আজ বাদ জোহর গুলশানের আজাদ মসজিদে সাহাবউদ্দিন আহমেদের প্রথম জানাজা অনুষ্ঠিত হয় বলে জানান আলমগীর সাত্তার। তিনি জানান, এরপর বিকেল পৌনে ৫টায় রাজধানীর তেজগাঁওয়ের বিমানবাহিনীর ঘাঁটি বাশারে তাঁর দ্বিতীয় জানাজা ও রাষ্ট্রীয় সম্মান জানানো হয়। এরপর তাঁর মরদেহ নিয়ে যাওয়া হয় ফরিদপুরে। এই শহরের চরকমলাপুরে সাহাবউদ্দিন আহমেদের জন্ম।
সাহাবউদ্দিন আহমেদের ছেলে তাপস আহমেদ বাংলাদেশ বিমানের ৭৮৭ উড়োজাহাজের ক্যাপ্টেন। মেয়ে শিপ্রা আহমেদ একটি বেসরকারি ব্যাংকের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা বলে জানান আলমগীর সাত্তার।
১৯৭১ সাল পর্যন্ত সাহাবউদ্দিন আহমেদ পাকিস্তান ইন্টারন্যাশনাল এয়ারলাইনসে (পিআইএ) বৈমানিক হিসেবে কর্মরত ছিলেন। মুক্তিযুদ্ধের প্রথম পর্যায়ে যুদ্ধে যোগ দেওয়ার পর তিনি স্থলযুদ্ধে অংশ নিয়েছিলেন। হবিগঞ্জের শাহজিবাজারের টারবাইন বিদ্যুৎকেন্দ্র বিস্ফোরণের অপারেশনেও তিনি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিলেন। বেসামরিক পাইলট হওয়া সত্ত্বেও বাংলাদেশ বিমানবাহিনী গঠনে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা পালন করেন তিনি।
অপারেশন কিলোফ্লাইটের মোট ৮৫টি অপারেশনের মধ্যে ১২টি অপারেশনে ছিলেন ক্যাপ্টেন সাহাবউদ্দিন আহমেদ। তিনি প্রথম হামলায় অংশ নেন ৬ ডিসেম্বর। এদিন ক্যাপ্টেন সাহাবউদ্দিন আহমেদ এবং ফ্লাইং অফিসার বদরুল আলম অ্যালুয়েট হেলিকপ্টার নিয়ে সিলেট, মৌলভীবাজার, শেরপুর ও সাদিপুরের দুটি ফেরিঘাটে থাকা পাকিস্তানি অবস্থান ধ্বংস করেন।