কক্সবাজারের মহেশখালীতে কোস্টগার্ড ও নৌবাহিনীর যৌথ অভিযানে বিপুল পরিমাণ অস্ত্র, গোলাবারুদ ও অস্ত্র তৈরির সরঞ্জামসহ ‘জিয়া বাহিনী’র ৯ সদস্যকে আটক করা হয়েছে।

শুক্রবার (১৮ অক্টোবর) দুপুরে উপজেলার কালারমারছড়া ইউনিয়নের সামিরা ঘোনা, মোহাম্মদ শাহ ঘোনা, নয়া পাড়া ও টেকপাড়া এলাকায় এ অভিযান পরিচালনা করা হয়।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কোস্টগার্ডের মিডিয়া কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট কমান্ডার মো.

সিয়াম উল হক।

আটকরা হলেন- মোহাম্মদ আলী (৫৪), মানিক (২৭), গিয়াস উদ্দিন (৫৯), সালাউদ্দিন (২৭), শহিদুল্লাহ (৫২), সবুজ (২৭), আতিকুর রহমান (৩২), রিজওয়ান (২৪) ও নাদিম উদ্দিন (৩৫)। তারা মহেশখালীর কালারমারছড়া ও হোয়ানক ইউনিয়নের বাসিন্দা।

মো. সিয়াম উল হক জানান, মহেশখালীর কালারমারছড়ায় একদল সশস্ত্র সন্ত্রাসী স্থানীয় জনগণকে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে লবণের মাঠ ও চিংড়ির ঘোনা দখল করে নেয়। এ বিষয়ে স্থানীয়দের অভিযোগের ভিত্তিতে কোস্টগার্ড ওই এলাকায় গোয়েন্দা তৎপরতা বাড়ায়। 

পরে নৌবাহিনীসহ অভিযান চালিয়ে ১টি বিদেশি পিস্তল, ৮টি দেশীয় আগ্নেয়াস্ত্র, ৮ রাউন্ড তাজা গোলা, ১৫ রাউন্ড কার্তুজ, ২টি ম্যাগাজিন, ১৩টি দেশীয় অস্ত্র ও বিপুল পরিমাণ অস্ত্র তৈরির সরঞ্জামসহ ‘জিয়া বাহিনী’র ৯ জন সক্রিয় সদস্যকে আটক করা হয়।

জব্দকৃত অস্ত্র ও আটকদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন বলে জানিয়েছেন কোস্টগার্ডের এই কর্মকর্তা।

ঢাকা/তারেকুর/এস

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

বিদেশ যেতে ঋণ না পেয়ে মাইক ভাড়া করে গালাগাল, ভিডিও ভাইরাল

কিশোরগঞ্জ হোসেনপুর উপজেলার গোবিন্দপুর ইউনিয়নের দক্ষিণ পানান গ্রামের বাসিন্দা সারোয়ার হোসেন রাব্বি। অনেকদিন ধরেই বিদেশ যাওয়ার চেষ্টা করছেন তিনি। তবে, বিদেশ যাত্রায় যে পরিমাণ টাকার প্রয়োজন, তা তার কাছে নেই।

বাধ্য হয়ে বিভিন্ন এনজিওসহ এলাকাবাসীর দ্বারে দ্বারে ঘুরলেও কেউ তাকে ঋণ দিয়ে সাহায্য করেননি। মানসিকভাবে ভেঙে পড়া এই ব্যক্তি ক্ষোভ থেকে মাইক ভাড়া করে এলাকাবাসীকে গালাগাল করেছেন। এ ঘটনার ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যেমে প্রচার হলে তা মুহূর্তে ভাইরাল হয়।

আরো পড়ুন:

১৬ দিন ধরে বন্ধ আটলংকা বাজারের ২০টি দোকান

৩ শিক্ষার্থীকে বলাৎকারের অভিযোগ, শিক্ষককে পিটুনি দিয়ে পুলিশে সোপর্দ

গত শুক্রবার (১৭ অক্টোবর) দুপুরের দিকে ৫০০ টাকায় মাইক ভাড়া করে এ কাণ্ড ঘটান রাব্বি। ফেসবুকে সেই ভিডিও নিজেই পোস্ট করেছেন তিনি। 

ভিডিওতে রাব্বি অভিযোগ করেন, গত তিন-চার মাস ধরে সৌদি আরবে যাওয়ার চেষ্টা করছেন। এক লাখ টাকা জোগাড় করতে না পারায় তিনি যেতে পারছেন না। বিভিন্ন সমিতির কাছে লোনের আবেদন করলেও কেউ দেয়নি। উল্টো তার নামে এলাকার মানুষজন খারাপ কথা ছড়িয়েছে। 

রাব্বি দাবি করেন, এলাকার কিছু মানুষ ইচ্ছাকৃতভাবে তার বিদেশযাত্রায় বাধা দিয়েছে। এজন্যই উত্তেজনার বশে তিনি মাইক ভাড়া করে কুরুচিপূর্ণ ভাষায় কথা বলেছেন।

অবশ্য, এরপর রাব্বি ভিডিওর ক্যাপশনে দুঃখ প্রকাশ করে বলেছেন, “প্রথমে ক্ষমা চাইছি- আমি অনেক খারাপ ভাষায় গালাগাল করেছি। আমি কেন এমন করেছি শুনুন।”

রাব্বি জানান, তিনি বিবাহিত, তার একটি ছোট ছেলে আছে। পরিবারের দেখাশোনা ও ছেলের ভবিষ্যৎ গড়ার আশায় বিদেশ যাওয়ার চেষ্টা করছেন। 

ভিডিওতে তিনি ভিসার কাগজ দেখিয়ে জানান, ভিসা ও মেডিকেলের মেয়াদ ৩০ অক্টোবর শেষ হবে। মানুষের কারণে আগে দুইবার ভিসা নষ্ট হয়েছে। বিদেশ যাওয়ার অর্থ জোগাড় করতে রাব্বি অটোরিকশা চালাচ্ছেন,পাশাপাশি বিকাশের কাজ করছেন।

এ ঘটনায় স্থানীয়দের মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে। তাদের অনেকে ভিডিওটি দেখে কিছুটা অপমানিত ও বিস্মিত হয়েছেন। কেউ কেউ আবার রাব্বির মানসিক কষ্ট ও পারিবারিক চাপের প্রতি সহানুভূতিও প্রকাশ করেছেন।

ঢাকা/রুমন/মাসুদ

সম্পর্কিত নিবন্ধ