পাবনার ঈশ্বরদীতে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্পে কর্মরত এক দোভাষীর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। শনিবার (১৮ অক্টোবর) রাত ১১টার দিকে উপজেলার সাহাপুর ইউনিয়নের দিয়ার সাহাপুর এলাকার একটি ভাড়া বাসা থেকে তার মরদেহ উদ্ধার হয়।

মারা যাওয়া ব্যক্তির নাম আনোয়ার আহমেদ (৫২)। তিনি চট্টগ্রাম মহানগরের পাশলাইস থানার পূর্ব নাসিরাবাদ এলাকার মৃত আব্দুল খালেকের ছেলে। প্রায় এক বছর ধরে তিনি ঈশ্বরদীর দিয়ার সাহাপুরের স্থানীয় বাসিন্দা হাবিবুর রহমান হাবুর বাড়িতে ভাড়া থাকতেন।

আরো পড়ুন:

ওমান থেকে ফিরল ৭ প্রবাসীর মরদেহ, জানাজা আজ

গাইবান্ধায় এনজিও কর্মীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার

স্থানীয় সূত্র জানায়, আনোয়ার দীর্ঘ আট বছর ধরে রাশিয়ান কোম্পানি নিকিমথ-এ দোভাষী হিসেবে কর্মরত ছিলেন। সম্প্রতি তিনি স্ত্রীসহ ১০দিনের ছুটিতে নিজ বাড়ি চট্টগ্রাম যান। শনিবার বিকেল ৩টার দিকে স্ত্রীকে চট্টগ্রামে রেখে তিনি একাই ঈশ্বরদীর ভাড়া বাসায় ফেরেন। 

রাত হয়ে গেলেও যোগাযোগ করতে না পারায় আনোয়ারের স্ত্রী রিপা পাশের বাড়ির গৃহবধূ সাবিনা ইয়াসমিনকে ফোন করে তার স্বামীর খোঁজ নিতে বলেন। সাবিনা ইয়াসমিন আনোয়ারের ঘরে যান। তিনি দেখতে পান—মেঝে মোছার কাপড় হাতে অচেতন অবস্থায় পড়ে আছেন আনোয়ার। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে আনোয়ার মারা গেছেন বলে নিশ্চিত হয়। তারা সুরতহাল প্রতিবেদন শেষে মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাবনা জেনারেল হাসপাতালে মর্গে পাঠায়। 

ঈশ্বরদী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আ স ম আব্দুন নুর জানান, ঘটনাটি তদন্তাধীন। এই মুহূর্তে ওই ব্যক্তির মৃত্যুর কারণ সম্পর্কে কিছু বলা যাচ্ছে না। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পেলে মৃত্যুর কারণ জানা যাবে।

ঢাকা/শাহীন/মাসুদ

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর মরদ হ উদ ধ র র মরদ হ উদ ধ র

এছাড়াও পড়ুন:

সংস্কারকাজ শেষে হবিগঞ্জ-৫নং কূপ থেকে গ্যাস সরবরাহ বেড়েছে ১২ মিলিয়ন ঘনফুট

সংস্কারকাজের পর বাংলাদেশ গ্যাস ফিল্ডস্ কোম্পানি লিমিটেডের আওতাধীন হবিগঞ্জ-৫নং কূপ থেকে জাতীয় গ্রিডে দৈনিক গ্যাস সরবরাহ বেড়েছে ১২ মিলিয়ন ঘনফুট। বুধবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে পেট্রোবাংলা।

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, হবিগঞ্জ-৫নং কূপের ওয়ার্কওভার (সংস্কারকাজ) বাপেক্সের ‘বিজয়-১১’ রিগ ব্যবহারের মাধ্যমে সফলভাবে সম্পাদন করে বুধবার ২৬ মিলিয়ন ঘনফুট হারে গ্যাস উৎপাদন করে জাতীয় গ্রিডে সংযুক্ত করা হয়।

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, কূপটি ওয়ার্কওভার করার আগে দৈনিক কম-বেশি ১৪ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাসের সঙ্গে অতিরিক্ত পরিমাণে পানি ও বালি উৎপাদন হতো। ওয়ার্কওভার শেষে বর্তমানে এ কূপ থেকে দৈনিক প্রায় ২৬ মিলিয়ন ঘনফুট হারে ড্রাই গ্যাস উৎপাদন করে জাতীয় গ্রিডে সরবরাহ করা হচ্ছে।

চলতি মাসের ৫ তারিখের মধ্যে সিলেট গ্যাস ফিল্ড লিমিটেডের অধীন কৈলাসটিলা-১নং কূপের ওয়ার্কওভার কাজ বাপেক্সের মাধ্যমে সম্পন্ন করে দৈনিক প্রায় ৫ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস হারে উৎপাদন করে জাতীয় গ্রিডে সরবরাহ করা হবে বলেও সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।

এ ছাড়া চলতি মাসে আরও তিনটি কূপের—সিলেট-১০এক্স, সিলেট-১১ ও শ্রীকাইল-৫-এর খননকাজ সম্পন্ন হবে বলে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেছে পেট্রোবাংলা। রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানটি আরও বলেছে, আগামী জানুয়ারি বা ফেব্রুয়ারির মধ্যে বাপেক্সের মাধ্যমে আরও দুটি কূপের—বিয়ানীবাজার-২ ও সেমুতাং-১-এর ওয়ার্কওভার সম্পন্ন হবে বলে আশা করা হচ্ছে।

আরও পড়ুনগ্যাস উৎপাদন বাড়াতে একসঙ্গে কাজ করবে ১১টি রিগ১২ নভেম্বর ২০২৫

সম্পর্কিত নিবন্ধ