জুলাই সনদে স্বাক্ষর করল গণফোরাম, অন্যদেরও সই করার আহ্বান
Published: 19th, October 2025 GMT
জুলাই জাতীয় সনদে স্বাক্ষর করেছে ড. কামাল হোসেনের নেতৃত্বাধীন দল গণফোরাম। আজ শনিবার জাতীয় সংসদের এলডি হলে বেলা পৌনে একটার দিকে সনদে স্বাক্ষর করে দলটি।
সনদে প্রথমে স্বাক্ষর করেন গণফোরামের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি সুব্রত চৌধুরী। এরপর স্বাক্ষর করেন দলটির সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান।
যাঁরা বাকি আছেন, তাঁদের জুলাই সনদে স্বাক্ষর করার আহ্বান জানান জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহসভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ।
১৭ অক্টোবর জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় জুলাই সনদ স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে যোগদান করে গণফোরাম। তবে সনদে স্বাক্ষর করেনি দলটি।
তখন গণফোরামের সাধারণ সম্পাদক জানিয়েছিলেন, সংবিধানের ১৫০-এর ২ অনুচ্ছেদ সংশোধন করে এবং সংবিধানের পঞ্চম, ষষ্ঠ ও সপ্তম তফসিলে বাদ রাখার বিষয়টি স্পষ্ট করার চূড়ান্ত কপি না পাওয়ায় তাঁরা স্বাক্ষর করেননি। চূড়ান্ত কপি পাওয়ায় তাঁরা আজ স্বাক্ষর করলেন।
জুলাই জাতীয় সনদে স্বাক্ষরের আগে গণফোরামের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি সুব্রত চৌধুরী বলেন, ‘আমরা বলেছিলাম সংবিধানের ১৫০-এর ২ অনুচ্ছেদ সংশোধন করে এবং প্রক্লেমেশন অব ইনডিপেনডেন্টস যাতে রাখে। এটা না থাকলে আমাদের বাংলাদেশের অস্তিত্ব এবং মুক্তিযুদ্ধ প্রশ্নবিদ্ধ হয়ে যাবে। আমরা আজ আনন্দিত যে ঐকমত্য কমিশন বলেছে, তারা ১৫০-এর ২ অনুচ্ছেদ পুরোপুরি বাতিল না করে ৭ তফসিল বহাল রাখবে। এ জন্য আমরা স্বাক্ষর করব।’
গণফোরামের ইমেরিটাস সভাপতি ড.
যাঁরা বাকি আছেন, তাঁদের জুলাই সনদে স্বাক্ষর করার আহ্বান জানান জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহসভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ। তিনি বলেন, ‘যাঁরা স্বাক্ষর করেননি, তাঁরা এ সনদের বড় অংশীদার। কারণ, তাঁদের আলাপ-আলোচনা, পরামর্শ, প্রস্তাব সেগুলোকে পরিবর্তন, পরিমার্জনের মধ্য দিয়ে এ দলিল তৈরি হয়েছে। এটি কমিশনের কোনো একক দলিল নয়। এটা সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টার রাজনৈতিক অঙ্গীকার।’
জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহসভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজের সভাপতিত্বে এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন কমিশনের সদস্য সফর রাজ হোসেন, ড. বদিউল আলম মজুমদার, ড. ইফতেখারুজ্জামান। সঞ্চালনা করেন প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী (জাতীয় ঐকমত্য) মনির হায়দার।
আরও পড়ুনজুলাই সনদ স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে যায়নি এনসিপি, রাজি করাতে সরকারের চেষ্টা অব্যাহত১৮ অক্টোবর ২০২৫উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: জ ত য় ঐকমত য জ ল ই সনদ গণফ র ম র
এছাড়াও পড়ুন:
১১ ব্যবসায়ীকে সম্মাননা দিল বিজিএপিএমইএ
সরঞ্জাম ও মোড়ক পণ্য খাতে অবদান রাখায় ১১ জন ব্যবসায়ী নেতা ও ব্যবসায়ীকে সম্মাননা দিয়েছে তৈরি পোশাকশিল্পের প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম ও মোড়ক পণ্য সরবরাহকারী কারখানার মালিকদের সংগঠন বিজিএপিএমইএ। গত শনিবার রাতে ঢাকার র্যাডিসন হোটেলে এই সম্মাননা দেওয়া হয়।
আজীবন সম্মাননা পেয়েছেন বিজিএপিএমইএর সাবেক চার সভাপতি সফিউল্লাহ চৌধুরী, রাফেজ আলম চৌধুরী, মো. আব্দুল কাদের খান এবং মোহাম্মদ মোয়াজ্জেম হোসেন। মরণোত্তর সম্মাননা পেয়েছেন সংগঠনের সাবেক প্রথম সহসভাপতি ও চট্টগ্রাম থেকে প্রকাশিত দৈনিক পূর্বকোণ–এর সাবেক সম্পাদক প্রয়াত তসলিম উদ্দিন চৌধুরী। তাঁর পক্ষে সম্মাননা নেন তাঁর মেয়ে তানিতা চৌধুরী।
এ ছাড়া সরঞ্জাম ও মোড়ক পণ্য খাতে বিশেষ অবদান রাখায় সংগঠনের সাবেক সভাপতি ইকবাল হোসেন, ডায়নামিক প্যাকেজিং ইন্ডাস্ট্রির ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) মুনির হোসেন, মনট্রিমসের পরিচালক আছাদুর রহমান সিকদার, গুড অ্যান্ড ফাস্ট প্যাকেজিং কোম্পানির এমডি জুয়াং লাইফেং সম্মাননা পেয়েছেন। এ ছাড়া বিশেষ সম্মাননা পেয়েছেন জেশান ইন্টারন্যাশনাল এজেন্সিজের এমডি সাহাব উদ্দিন খান ও ব্যাংকর পাল্প অ্যান্ড পেপার করপোরেশনের প্রেসিডেন্ট ইশারাত হোসেন।
সম্মাননা প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন বেসরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠান সিপিডির সম্মাননীয় ফেলো মোস্তাফিজুর রহমান। আরও উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ প্রতিযোগিতা কমিশনের চেয়ারম্যান আ হ ম এহসান, বাংলাদেশ চেম্বার অব ইন্ডাস্ট্রিজের (বিসিআই) সভাপতি আনোয়ার-উল-আলম চৌধুরী, বিকেএমইএর সভাপতি মোহাম্মদ হাতেম, বাংলাদেশ এমপ্লয়ার্স ফেডারেশনের সভাপতি ফজলে শামীম এহসান, বিজিএপিএমইএর সভাপতি মো. শাহরিয়ার প্রমুখ।
তার আগে বিজিএপিএমইএর ২০২২, ২০২৩ ও ২০২৪ সালের বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম) এবং ২০২৫ সালের বিশেষ সাধারণ সভা (ইজিএম) অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বিজিএপিএমইএর সভাপতি মো. শাহরিয়ার। উপস্থিত ছিলেন সহসভাপতি মো. মনিরুজ্জামান মোল্লা, মো. মোবারক উল্লাহ মজুমদার, মোজাহারুল হক শহীদ প্রমুখ।
একসঙ্গে তিন বছরের এজিএম অনুষ্ঠানের কারণ হিসেবে বিজিএপিএমইএর এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে প্রশাসক নিয়োগসহ নিয়মবহির্ভূত কিছু কারণে সঠিক সময়ে এজিএম করতে না পারার কারণে পরে হাইকোর্টের অনুমতিক্রমে তিনটি বার্ষিক সাধারণ সভা একসঙ্গে করতে হয়েছে।
বিজিএপিএমইএ জানায়, বিশেষ সাধারণ সভায় সংগঠনের বার্ষিক চাঁদা পুনর্নির্ধারণ, পরিচালনা পরিষদের সংখ্যা ২১ থেকে বাড়িয়ে ২৭ জন (যার মধ্যে চট্টগ্রাম বিভাগের জন্য ৬ জন এবং ঢাকাসহ অন্যান্য অঞ্চলের জন্য ২১) নির্ধারণসহ অন্যান্য কিছু সংশোধনীসহ সংঘ স্মারক ও সংঘবিধি সর্বসম্মতভাবে পাস হয়।