যে কারণে জাতীয় দলের চাকরি ছাড়লেন সালাউদ্দিন
Published: 5th, November 2025 GMT
জাতীয় দলের সিনিয়র সহকারী কোচ হিসেবে তাঁর মেয়াদ ছিল ২০২৭ ওয়ানডে বিশ্বকাপ পর্যন্ত। কিন্তু আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে আসন্ন দুই টেস্ট ও তিন টি-টোয়েন্টির হোম সিরিজের পর আর এই দায়িত্বে থাকছেন না মোহাম্মদ সালাউদ্দিন। বিসিবিতে এরই মধ্যে পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছেন তিনি।
মুঠোফোনে জানতে চাইলে আজ সালাউদ্দিন বিষয়টি নিশ্চিত করে প্রথম আলোকে বলেছেন, ‘হ্যাঁ, আমি বিসিবিতে আমার পদত্যাগপত্র পাঠিয়ে দিয়েছি। আজ সশরীরে গিয়ে বাকি আনুষ্ঠানিকতা সারব। তবে আমি আয়ারল্যান্ড সিরিজ পর্যন্ত আছি। পদত্যাগপত্র জমা দিলেও নির্ধারিত নোটিশ পিরিয়ড পর্যন্ত কাজ করে যাব।’
হঠাৎ করে কেন এমন সিদ্ধান্ত জানতে চাইলে সালাউদ্দিন প্রথমে ‘ব্যক্তিগত কারণ’ বলে বিষয়টি এড়িয়ে যেতে চেয়েছেন। পরে অবশ্য বলেছেন, ‘কোচিং করানোটা আমার উপভোগের একটা জায়গা। মাঠই আমার সব। যদি কোনো কারণে সেটা উপভোগ না করতে পারি, তাহলে সরে যাওয়াই ভালো। আমি আমার দায়িত্বটা আর উপভোগ করছি না।’
কেন উপভোগ করছেন না, সে ব্যাপারে অবশ্য তিনি কিছু বলতে রাজি হননি। তবে জানিয়েছেন প্রধান কোচ ফিল সিমন্সের সঙ্গে কাজ করতে তাঁর কোনো সমস্যা নেই। অবশ্য বিসিবির একটি সূত্র জানিয়েছে, ক্রিকেট পরিচালনা প্রধান নাজমূল আবেদীনের সঙ্গে গত কয়েক মাস ধরে কথাবার্তাই নাকি বন্ধ সালাউদ্দিনের! জাতীয় দল সংশ্লিষ্ট বিষয়গুলো দেখভাল করে বিসিবির এই ক্রিকেট পরিচালনা বিভাগই।
গত পরশু হঠাৎ করেই আশরাফুলকে আয়ারল্যান্ড সিরিজের জন্য জাতীয় দলের ব্যাটিং কোচ নিয়োগ করে বিসিবি। যদিও ক্রিকেট সংশ্লিষ্টরা মনে করেন, বিসিবিতে আগে থেকেই অনেক অভিজ্ঞ কোচ থাকার পরও আশরাফুলকে সরাসরি জাতীয় দলের কোচিং প্যানেলে আনা ঠিক হয়নি। তাঁকে আগে বয়সভিত্তিক, এইচপি বা ‘এ’ দলের সঙ্গে কাজ করানো উচিত ছিল।
‘সবকিছুতেই একটা প্রক্রিয়া মানা উচিত। আশরাফুলের ক্ষেত্রে তা হয়নি। এটা ভালো উদাহরণ হয়ে থাকবে না’, বলেছেন বিসিবিতে কাজ করা স্থানীয় এক কোচ। তবে এ ব্যাপারে সালাউদ্দিন জানিয়েছেন, কোচিং স্টাফে আশরাফুলের অন্তর্ভুক্তিকে তিনি স্বাভাবিকভাবেই নিয়েছেন।
ফারুক আহমেদ বিসিবি সভাপতির দায়িত্ব নেওয়ার পর সালাউদ্দিনের বেশ ভূয়সী প্রশংসা করেই তাঁকে জাতীয় দলের সিনিয়র সহকারী কোচের দায়িত্ব দিয়েছিলেন। কিন্তু পরে দেখা গেছে ব্যাটিং কোচের অনুপস্থিতিতে সালাউদ্দিনকেই বাড়তি দায়িত্ব হিসেবে ব্যাটিং কোচের কাজ করতে হয়েছে। কাগজ-কলমে ব্যাটিং কোচ না হওয়া সত্ত্বেও ব্যাটিং ব্যর্থতার দায় দেওয়া হয়েছে তাঁকে।
এ ছাড়া সর্বশেষ আফগানিস্তান সিরিজে নুরুল হাসানকে দিয়ে উইকেটকিপিং না করিয়ে জাকের আলীর উইকেটকিপিং করানোর দায়ও তাকে দেওয়া হয়েছে। অথচ, সালাউদ্দিন চেয়েছিলেন নুরুলই কিপিং করুক। কিন্তু অধিনায়ক জাকের চেয়েছেন কিপিং তিনি করবেন। সালাউদ্দিনের অনুরোধ সত্ত্বেও প্রধান কোচ ফিল সিমন্স তাতে হস্তক্ষেপ করেননি।
জাতীয় দলের দায়িত্ব ছাড়ায় কোচ সালাউদ্দিন আবার ফিরবেন ঘরোয়া ক্রিকেটে। আসন্ন বিপিএলেও তাঁকে দেখা যেতে পারে কোনো দলের কোচ হিসেবে।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: স ল উদ দ ন জ ত য় দল র আশর ফ ল ক জ কর উপভ গ
এছাড়াও পড়ুন:
নিষিদ্ধ দুষ্কৃতকারীদের কার্যক্রম বন্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা অবসরপ্রাপ্ত লেফটেন্যান্ট জেনারেল জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেছেন, “দুষ্কৃতকারীরা অনেক কিছু বলবে। কার্যক্রম নিষিদ্ধ দুষ্কৃতকারীরা যেন কার্যক্রম চালাতে না পারে, এজন্য সব ধরনের ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আপনাদের সাহায্য ও সহযোগিতা দরকার।”
তিনি বলেন, “কার্যক্রম নিষিদ্ধ দল অনেক সময় অনেক গুজব রটাবে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে, এটি সম্পর্কে আপনাদের (সাংবাদিকদের) সচেতন থাকতে হবে। যারা জামিনে মুক্তি পাচ্ছেন, তারা যদি অন্যায় করেন; তাদের সঙ্গে সঙ্গে আইনের আওতায় আনা হবে।”
আরো পড়ুন:
দক্ষিণ এশীয় দেশগুলোকে একযোগে কাজ করার আহ্বান উপদেষ্টার
‘নির্বাচনের সময় সেনাবাহিনীর ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা বহাল থাকবে’
বুধবার (৫ নভেম্বর) দুপুর ১২টার দিকে গাজীপুর জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে নির্বাচনকে সামনে রেখে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও প্রশাসনের সঙ্গে মতবিনিময় সভা শেষে সংবাদিকদের এসব বলেন তিনি।
নির্বাচন নিয়ে উপদেষ্টা বলেন, “আগামী ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এজন্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও প্রশাসনের সঙ্গে মতবিনিময় সভা ছিল। পাশাপাশি গাজীপুরের সমস্যা নিয়ে আলোচনা হয়েছে।”
তিনি বলেন, “নির্বাচন নিয়ে কতগুলো ফ্যাক্টর রয়েছে, জনগণ যখন নির্বাচনমুখী হয়ে যাবে তখন সব অপপ্রচার ও চেষ্টা বিফলে যাবে। আরেকটি হলো- যারা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবেন তাদের একটা ভূমিকা ও নির্বাচন কমিশনের একটা ভূমিকা রয়েছে। সবার সম্মিলিত চেষ্টা থাকলে নির্বাচনে কোনো সমস্যা হবে না।”
জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেন, “পাশ্ববর্তী দেশ অনেক সময় অনেক গুজব রটায়, তবে আপনাদের (সাংবাদিকেরা) সত্য ঘটনা প্রকাশ করায় তাদের গুজব অনেকটা কমেছে। তারা মিথ্যা তথ্য রটালে সেটি প্রতিহত করার আপনারা সঠিক মাধ্যম।”
মতবিনিময় উপস্থিত ছিলেন- গাজীপুরের জেলা প্রশাসক, পুলিশ কমিশনার, পুলিশ সুপার, কারা কর্তৃপক্ষ, ফায়ার সার্ভিস, মাদকদ্রব্য অধিদপ্তরসহ বিভিন্ন দপ্তরের প্রতিনিধিরা।
ঢাকা/রেজাউল/মাসুদ