প্রশ্ন করবেন না, সব বলে দেব: পরীমণি
Published: 6th, November 2025 GMT
ঢাকাই সিনেমার জনপ্রিয় নায়িকা পরীমণি। সম্প্রতি মালয়েশিয়ায় উদযাপন করেন তার জন্মদিন। গত ২৩ অক্টোবর থেকে টানা ১০ দিনের বিশেষ সফরে দেশটির বিভিন্ন পর্যটন স্পট ঘুরে বেড়ান আর উদযাপন করেন। ঘনিষ্ঠ কয়েকজন বন্ধুবান্ধবকে সঙ্গে নিয়ে এটি ছিল তার জীবনের প্রথম বিদেশভিত্তিক দীর্ঘ উদযাপন পরিকল্পনা।
দীর্ঘ সফর শেষে দেশে ফিরেই সাংবাদিক ও সহকর্মীদের জন্য বিশেষ আয়োজন করেন পরীমণি। বুধবার (৫ নভেম্বর) রাজধানীর নোঙর রেস্টুরেন্টে অনুষ্ঠিত সেই আয়োজনে জন্মদিনের আনন্দ ভাগ করে নেন। পাশাপাশি কথা বলেন তার নতুন সিনেমা ‘ডোডোর গল্প’ নিয়েও।
আরো পড়ুন:
আমার বাচ্চার দাদা-দাদিও কী এক্স হয়ে গিয়েছেন, প্রশ্ন পরীমণির
ঈদে মুক্তি পাবে পরীমণির সিনেমা
দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর অবশেষে মুক্তির অপেক্ষায় থাকা সরকারি অনুদানপ্রাপ্ত এই সিনেমা নিয়ে পরীমণির উত্তেজনা যেন অন্যরকম। তিনি বলেন, “ইনবক্সে সবাই নিউজ পাঠাচ্ছেন যে ‘ডোডোর গল্প’ রিলিজ হচ্ছে। এটা আমার জন্য খুবই এক্সাইটিং একটা ব্যাপার। প্রমোশনটা শুরু হয়ে গেছে, আর সেটা আপনাদের হাত ধরে—এটাই সবচেয়ে আনন্দের।”
পরীমণির ভাষায়, এই সিনেমা শুধু আরেকটি কাজ নয়, বরং তার জীবনের এক আবেগঘন অধ্যায়। তিনি বলেন, “সিনেমাটিতে বয়সের একটা জার্নি দেখানো হয়েছে—একদম টিনেজ থেকে পঞ্চাশোর্ধ্ব বয়স পর্যন্ত। সেই রূপান্তর দেখাতে নিজেকে সম্পূর্ণভাবে ঢেলে দিতে হয়েছে। লুক, অভিব্যক্তি, আবেগ—সবকিছুতেই আমি আমার সেরাটা দিতে চেয়েছি।”
হাসতে হাসতে পরীমণি বলেন, “এই লুকটা দেখার জন্য আমি এক্সাইটেড—বিশেষ করে সিনেমার এন্ড পার্টের জন্য।”
সংবাদ সম্মেলনের একপর্যায়ে পরীমণি যখন সাংবাদিকদের নানা প্রশ্নের মুখোমুখি হচ্ছিলেন, হঠাৎ হেসে বললেন, “প্লিজ, আর কেউ এটা নিয়ে প্রশ্ন করবেন না… আমি কিন্তু সব বলে দেব!”
সরকারি অনুদানে নির্মিত ‘ডোডোর গল্প’ নিয়ে দর্শক-সমালোচকদের আগ্রহ নতুন নয়। শুটিং শেষ হয়েছিল প্রায় দুই বছর আগে, তবু মুক্তি নিয়ে ছিল নানা জল্পনা-কল্পনা। অবশেষে সব অপেক্ষার অবসান ঘটিয়ে সিনেমাটি শিগগিরই প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পেতে যাচ্ছে।
পরীমণির ভাষায়, “এই সিনেমাটি শুধু আমার জন্য নয়, আমার দর্শকদের জন্যও এক আবেগের গল্প হয়ে থাকবে।”
ঢাকা/রাহাত/শান্ত
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর পর মন চলচ চ ত র র গল প র জন য
এছাড়াও পড়ুন:
ডেঙ্গুতে আরও ৫ জনের মৃত্যু
দেশে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু থামছে না। সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে আরও পাঁচজনের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে তিনজনের মৃত্যু হয়েছে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন এলাকার হাসপাতালে। ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন এলাকা ও ময়মনসিংহ বিভাগের হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় অপর দুজনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে চলতি মাসের প্রথম ছয় দিনে ডেঙ্গুতে ২৯ জনের মৃত্যু হলো।
আজ বৃহস্পতিবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ডেঙ্গুবিষয়ক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। এতে বলা হয়, গত বুধবার সকাল আটটা থেকে আজ সকাল আটটা পর্যন্ত ১ হাজার ৩৪ জন রোগী দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে ডেঙ্গু নিয়ে ভর্তি হয়েছেন। এর মধ্যে ঢাকার দুই সিটি করপোরেশনের হাসপাতালগুলোতে ডেঙ্গু নিয়ে ভর্তি হয়েছেন ৩৭১ জন। দুই সিটির বাইরে ঢাকা বিভাগে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত ব্যক্তির সংখ্যা ১৮৮। ঢাকার বাইরে বরিশাল বিভাগে সবচেয়ে বেশি ১৩৪ জন রোগী ভর্তি হয়েছেন। সব মিলিয়ে এবার এখন পর্যন্ত ডেঙ্গু নিয়ে ৭৬ হাজার ২৬ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। আর হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেয়েছেন ৭২ হাজার ৩৮৮ জন।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, দেশে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে চলতি বছর এখন পর্যন্ত ৩০৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে গত মাসে মারা গেছেন ৮০ জন, যা চলতি বছর এখন পর্যন্ত কোনো এক মাসে ডেঙ্গুতে সর্বোচ্চ মৃত্যু। গত মাসে ডেঙ্গু নিয়ে সর্বোচ্চ ২২ হাজার ৫২০ জন দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। এর আগে সেপ্টেম্বর মাসে ডেঙ্গুতে ৭৬ জনের মৃত্যু হয়েছিল। হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন ১৫ হাজার ৮৬৬ জন।
চলতি বছরের জুনে ডেঙ্গুর প্রকোপ বাড়তে শুরু করে। ওই সময় অনেক বিশেষজ্ঞ বলেছিলেন, এবার ডেঙ্গুর প্রকোপ বড় আকারের হতে পারে। কিন্তু সরকার ডেঙ্গু প্রকোপ কমাতে তেমন কোনো জোরালো পদক্ষেপ গ্রহণ করেনি। গত জুলাই মাসে আক্রান্ত ও মৃত্যুর সংখ্যা জুনের দ্বিগুণ হয়ে যায়। আগস্টে মৃত্যু ও সংক্রমণ সামান্য কমে। কিন্তু সেপ্টেম্বরে তা আবার বেড়ে যায়। সেপ্টেম্বরে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছিলেন ১৫ হাজার ৮৬৬ জন। অক্টোবরে প্রায় সাত হাজার রোগী বেড়েছে।
২০০০ সালে ঢাকায় বড় আকারে ডেঙ্গুর প্রকোপ দেখা দেয়। ওই বছর ৫ হাজার ৫৫১ জন ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছিলেন। এর মধ্যে মারা যান ৯৩ জন। ঘটনাটি সাধারণ মানুষের কাছে নতুন ছিল। ডেঙ্গুতে সবচেয়ে বেশি মানুষ আক্রান্ত ও মারা যান ২০২৩ সালে। সে বছর আক্রান্ত হয়েছিলেন তিন লাখের বেশি মানুষ। মারা যান ১ হাজার ৭০৫ জন।