আলিয়াঞ্জ অ্যারেনায় শেষ বাঁশি বাজার পর প্রশ্নটি করা হয়েছিল বায়ার্ন মিউনিখের ডিফেন্সিভ মিডফিল্ডার আলেক্সান্দার পাভলোভিচকে। লেনার্ট কার্লের বিশেষত্বটা কী? কেন তাঁকে এতটা ‘স্পেশাল’ ভাবা হচ্ছে? জার্মান ফুটবলারের উত্তর, ‘খুব সহজ। তার ওই সাহসটা আছে এবং সেটা সে আজও (গতকাল রাতে) দেখাল। অসাধারণ ছেলে এবং দারুণ খেলোয়াড়।’

সাহস তো কত রকমই হয়? পাভলোভিচ কোন সাহসের কথা বলেছেন, সেটা বুঝতে তাকাতে হয় চ্যাম্পিয়নস লিগে গতকাল রাতে বায়ার্ন-ক্লাব ব্রুগে ম্যাচের স্কোরকার্ডে। বায়ার্নের ৪-০ গোলের জয়ে ম্যাচে ৫ মিনিটে প্রথম গোলটি কার্লের। কিন্তু গোল তো হ্যারি কেইন, লুইস দিয়াজ ও জ্যাকসনও করেছেন। কার্লের গোলটির মধ্যে আলাদা করে সাহস খুঁজে পাওয়ার কী আছে? হয়তো নেই আবার আছেও। কারণ হলো তাঁর বয়স। চ্যাম্পিয়নস লিগে বায়ার্নের মূল একাদশের হয়ে গতকাল রাতেই অভিষেক ১৭ বছর বয়সী এই অ্যাটাকিং মিডফিল্ডারের। মাঠেই নেমেই ইতিহাস গড়েছেন খেলা শুরুর মাত্র ৫ মিনিটে।

বায়ার্নের সেন্টারব্যাক জোনাথনের পাস মাঝমাঠে পেয়ে এক ডিফেন্ডারকে কাটিয়ে ব্রুগার বক্সের খুব কাছ থেকে বাঁ পায়ের শটে দারুণ গোল করেন কার্ল। চ্যাম্পিয়নস লিগে বায়ার্নের হয়ে এখন সবচেয়ে কম বয়সে গোল করার রেকর্ডটি কার্লের। গোলটি করেছেন ১৭ বছর ২৪২ দিন বয়সে। কার্ল এই পথে ভেঙেছেন বায়ার্নের বর্তমান তারকা জামাল মুসিয়ালার রেকর্ড। চার বছর আগে লাৎসিওর বিপক্ষে শেষ ষোলোয় গোল করার সময় মুসিয়ালা কার্লের চেয়ে ১২১ দিন বেশি বয়সী ছিলেন। কাকতালীয় ব্যাপার হলো, মুসিয়ালা সেই ম্যাচে পরেছিলেন বায়ার্নের ৪২ নম্বর জার্সি, কার্লও এই ম্যাচে পরেছেন ৪২ নম্বর জার্সি!

আরও পড়ুনবেলিংহামের গোলে রিয়ালের তিনে তিন, জয়ের ধারায় বায়ার্নও ৮ ঘণ্টা আগে

গত জুনে ক্লাব বিশ্বকাপে বায়ার্নের মূল দলে অভিষিক্ত কার্ল চলতি মৌসুমে ক্লাবটির হয়ে এ নিয়ে ১১ ম্যাচে প্রথম গোলটি পেলেন। আইনট্রাখট ফ্রাঙ্কফুর্ট এবং বায়ার্নের বয়সভিত্তিক দলে খেলে ধীরে ধীরে মূল দলে উঠে এসেছেন কার্ল। বায়ার্নের মূল একাদশের হয়ে চ্যাম্পিয়নস লিগে অভিষেকে নিজের জাতও চিনিয়েছেন। ৬৯ মিনিটে বদলি হয়ে মাঠ ছাড়ার আগে ব্রুগের গোলপোস্টে তিনটি শট নিয়েছেন, বল নিয়ন্ত্রণ করেছেন ৪৭ বার এবং ৩৬টি পাসের মধ্যে ৮৬ শতাংশ পাস ছিল সফল।

দূরপাল্লার শটে গোল করা, বল নিয়ন্ত্রণ, বুদ্ধিদীপ্ত পাসে গোল করানো—এসব দক্ষতার জন্য জার্মান ফুটবলে কার্লকে এখনই অনেকে মেসুত ওজিল, টমাস মুলার ও বাস্তিয়ান শোয়েনস্টেইগারের সঙ্গে তুলনা করেন। বায়ার্ন তাঁকে ভবিষ্যৎ মনে করে বলেই একসময় মুসিয়ালার পরা ৪২ নম্বর জার্সি তাঁর গায়ে তুলে দিয়েছে। বায়ার্ন কোচ ভিনসেন্ট কোম্পানিও তাঁকে নিয়ে উচ্ছ্বসিত। কাল রাতে জয়ের পর কার্লকে নিয়ে ডিএজেডএনকে কোম্পানি বলেছেন, ‘আমি প্রচারের ভক্ত নই। তবে এখন সে (কার্ল) এর কিছুটা পাবে। আজ (গতকাল রাতে) সে ভালো খেলেছে। সবাই জানে সে গোল করতে পারে।’

কার্ল শুধু গোল করা ও রেকর্ডই গড়েননি, ম্যাচসেরাও হয়েছেন। ম্যাচসেরার পুরস্কার হাতে সেলফিও তুলেছেন। ম্যাচ শুরুর আগে চ্যাম্পিয়নস লিগের সংগীত শুনে শিহরিত হয়েছেন। শেষ বাঁশি বাজার পর কার্ল বলেছেন, ‘গোল ও পারফরম্যান্সে আমি সন্তুষ্ট। সবার সঙ্গে খেলাটা খুব মজার, অনেক কিছু শিখতে পারব। ম্যাচসেরা হয়েছি। আমি এখানে থামব না।’

আরও পড়ুনপাঁচ গোলে জয়ে ফিরল লিভারপুল, বড় জয় চেলসিরও৮ ঘণ্টা আগে.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: চ য ম প য়নস ল গ গতক ল র ত গ ল কর র বয়স

এছাড়াও পড়ুন:

আপিলে জকসুর প্রার্থিতা ফিরে পেলেন ৬ শিক্ষার্থী

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদ (জকসু) নির্বাচনে মনোনয়নপত্র বাতিলের পর আপিলে প্রার্থিতা ফিরে পেয়েছেন ছয় প্রার্থী। আজ রোববার বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার মো. শেখ গিয়াসউদ্দিন স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানা গেছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, জকসু ও হল শিক্ষার্থী সংসদসমূহের গঠন ও পরিচালনা বিধিমালা মোতাবেক পদপ্রার্থীদের মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই করে ১৭ জনের মনোনয়নপত্র বাতিল করে নির্বাচন কমিশন। তাঁদের মধ্যে ১৫ জন জকসু নির্বাচন বিধি ১৫ (৬) মোতাবেক প্রার্থিতা বহালের জন্য আপিল করেন। সেখান থেকে যাচাই-বাছাই করে ছয়জনের আপিল মঞ্জুর করা হয়।

আপিলে প্রার্থিতা ফিরে পাওয়া শিক্ষার্থীরা হলেন স্বতন্ত্র প্যানেলের সহসভাপতি (ভিপি) প্রার্থী মিঠুন চন্দ্র রায়, বাম জোট সমর্থিত ‘মওলানা ভাসানী বিগ্রেড’ প্যানেলের ক্রীড়া সম্পাদক প্রার্থী মুগ্ধ আনন, ছাত্রশিবির সমর্থিত ‘অদম্য জবিয়ান ঐক্য’ প্যানেলের ক্রীড়া সম্পাদক প্রার্থী মোহাম্মদ জর্জিস আনোয়ার নাঈম এবং স্বতন্ত্র প্যানেল থেকে কার্যনির্বাহী সদস্য প্রার্থী হাসনান আল সাবিত, মো. জাহিদুল ইসলাম রিফাত ও মো. শিহাব উদ্দীন হিফজু।

জকসু নির্বাচনে লড়তে ফরম সংগ্রহ করেন ২৬৭ জন। পরে ২১টি পদের বিপরীতে ২১১ জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দেন। প্রাথমিক প্রার্থী তালিকা থেকে ১৭ জন বাদ পড়েন। এরপর ১৯৪ জনের প্রাথমিক প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করে নির্বাচন কমিশন।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে জকসুর প্রধান নির্বাচন কমিশনার অধ্যাপক মোস্তফা হাসান বলেন, ‘বাদ পড়ে যাওয়া প্রার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের নিকট আবেদন করেন। সেখান থেকে যাচাই-বাছাই করে প্রার্থিতার অনুমোদন দেওয়া হয়।’

সম্পর্কিত নিবন্ধ