রাজধানীর মিরপুরে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ) এলাকায় এবং হাতিরঝিলের মধুবাগ ব্রিজের নিচে পৃথক দুটি ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। আজ শনিবার বিকেল সাড়ে পাঁচটা থেকে এক ঘণ্টার মধ্যে ঘটনা দুটি ঘটে। তবে এসব ঘটনায় কেউ হতাহত হয়নি বলে জানিয়েছে পুলিশ।

ঢাকা মহানগর পুলিশের মিরপুর বিভাগের সহকারী কমিশনার (এসি) মো.

মিজানুর রহমান প্রথম আলোকে বলেন, বিকেল সাড়ে পাঁচটার দিকে বিআরটিএ এলাকায় একটি ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। তবে কে বা কারা এই বিস্ফোরণ ঘটিয়েছে, তা এখনো জানা যায়নি। ঘটনাস্থলের সিসি ক্যামেরার ফুটেজ বিশ্লেষণ করে দেখা হচ্ছে।

এদিকে সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টার দিকে হাতিরঝিলের মধুবাগ ব্রিজের নিচে আরেকটি ককটেল বিস্ফোরণ করা হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছে হাতিরঝিল থানা–পুলিশ। থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ রাজু প্রথম আলোকে বলেন, বিস্ফোরণে কেউ হতাহত হয়নি। ঘটনাস্থলে পুলিশ কাজ করছে।

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

রাজনীতিতে ফ্যাসিবাদ প্রত্যাবর্তনের ষড়যন্ত্র নস্যাত করে দিতে হবে

বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের আমির আল্লামা মুহাম্মাদ মামুনুল হক বলেছেন, “আগামীর বাংলাদেশে রাজনীতি হবে পারস্পরিক সৌহার্দ্যপূর্ণ। আমাদের মধ্যে মতপার্থক্য থাকতে পারে, কিন্তু কোনো প্রকার দ্বন্দ্ব বা ষড়যন্ত্র চলতে দেওয়া যাবে না। জুলাই বিপ্লবের সব অংশীজনকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। বাংলাদেশের আগামী রাজনীতিতে পরাজিত ফ্যাসিবাদী শক্তির প্রত্যাবর্তনের সকল ষড়যন্ত্র নস্যাত করে দিতে হবে।”

শনিবার (১৫ নভেম্বর) বিকেলে রাজধানীর পুরানা পল্টনে বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর উপজেলার কৃষ্ণনগর ইউপি চেয়ারম্যান মুফতী আমজাদ হোসাইন আশরাফীর নেতৃত্বে বিপুল সংখ্যক ওলামায়ে কেরামের যোগদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

মামুনুল হক বলেন, “জুলাই সনদ বাস্তবায়ন না হলে সেই সুযোগ অবধারিতভাবেই ফিরে আসবে। পরাজিত শক্তি এ কারণেই নানামুখী ষড়যন্ত্রের জাল বিস্তার করছে। আমরা অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে আবারও বলছি—জাতীয় নির্বাচনের আগে স্বতন্ত্র দিনে গণভোট আয়োজন করে জুলাই সনদ বাস্তবায়ন নিশ্চিত করুন।”

‌তি‌নি বলেন, “বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস এদেশে চূড়ান্তভাবে খেলাফত রাষ্ট্রব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করতে চায়। এদেশের মানুষের সমর্থনে ভবিষ্যতে ইনশাআল্লাহ ইসলামী রাষ্ট্রব্যবস্থা প্রতিষ্ঠিত হবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন। এই লক্ষ্যেই বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের প্রতিটি পদক্ষেপ পরিচালিত হয়। যে বা যারাই এই লক্ষ্যের সাথে একমত হবেন—বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস তাদের নিয়েই আগামী নির্বাচনে আসনভিত্তিক সমঝোতা করবে বলে।”

আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে রিকশা প্রতীকের প্রার্থীদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে মামুনুল হক বলেন, “জনগণের সঙ্গে, জনগণের ভাষায় কাজ করলেই ইসলামী রাজনীতির স্বপ্ন বাস্তবায়ন সহজ হবে, ইনশাআল্লাহ।”

অনুষ্ঠানে আমিরের হাতে সদস্য ফরম জমা দিয়ে বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসে যোগদান করেন—নবীনগর উপজেলার কৃষ্ণনগর ইউনিয়নের বর্তমান চেয়ারম্যান মুফতী আমজাদ হোসাইন আশরাফী, মুফতী জুনায়েদ বিন মিজান, মুফতী ইকবাল মাহমুদ, মাওলানা তাওহীদ আল-মাআরেফী, মাওলানা গোলাম রব্বানী, মাওলানা শাহাদত হোসাইনসহ ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আরো বহু ওলামায়ে কেরাম।

অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন—বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা আতাউল্লাহ আমীন, মাওলানা তোফাজ্জল হোসাইন মিয়াজী, কেন্দ্রীয় বায়তুল মাল সম্পাদক মাওলানা ফজলুর রহমান, মুফতী আলাউদ্দিন সাবেরী, মাওলানা ফারুক আহমেদ প্রমুখ।

ঢাকা/নঈমুদ্দীন/এসবি

সম্পর্কিত নিবন্ধ