আবার শুরু। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের নাইজেরিয়ায় সামরিক শক্তি মোতায়েন করার সর্বশেষ হুমকি ওয়াশিংটনের চিরন্তন বিভ্রান্তির আরেকটি অধ্যায় উপস্থাপন করছে। সেটা হলো আমেরিকান শক্তি বিশ্বের যেকোনো প্রান্তে থাকা একটি জটিল সমাজকেও পুনর্গঠন করতে পারে। 

সন্ত্রাসবিরোধী অভিযান, মার্কিন স্বার্থ রক্ষা বা গণতন্ত্রের বিকাশ—যে যুক্তিই দেওয়া হোক না কেন, সেটি অতিপরিচিত চিত্রনাট্যের পুনরাবৃত্তি মাত্র। আমরা সেটি ইরাক, লিবিয়া, সিরিয়া ও আফগানিস্তানে আগেও দেখেছি। এসব গল্পের মূল জমিনটা কখনোই বদলায় না। প্রথমে সামরিক সাফল্য, এরপর সেখানে নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা, অনিচ্ছাকৃত পরিণতি এবং শেষমেশ বিশৃঙ্খলভাবে মার্কিনদের পিছু হটা।

নাইজেরিয়ার জনসংখ্যা ২২ কোটি। এটি আফ্রিকার বৃহত্তম অর্থনীতি এবং সবচেয়ে জনবহুল দেশ। মুসলিম–অধ্যুষিত উত্তরাঞ্চল এবং খ্রিষ্টান–অধ্যুষিত দক্ষিণাঞ্চল জাতিগত উত্তেজনায় গভীরভাবে বিভক্ত। উত্তর-পূর্বাঞ্চলে ইসলামপন্থী বিদ্রোহ, দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলে বিচ্ছিন্নতাবাদী আন্দোলন দেশটিতে রয়েছে। সারা দেশে দুর্নীতি মহামারির রূপ নিয়েছে। এই জটিল ও অস্থিতিশীল একটি দেশে ট্রাম্প মার্কিন সেনা মোতায়েনের প্রস্তাব করেছেন। তাঁর এ প্রস্তাব ঠিকঠাক বলেই মনে হচ্ছে?

আরও পড়ুনট্রাম্প কেন মাদুরোকে ক্ষমতা থেকে সরাতে চান১২ নভেম্বর ২০২৫

বাস্তবসম্মত মূল্যায়নটা এখানে স্পষ্ট—নাইজেরিয়া যুক্তরাষ্ট্রের নিরাপত্তার জন্য সরাসরি কোনো হুমকি নয়। সন্ত্রাসবাদ, মানবাধিকার লঙ্ঘন বা শাসনব্যবস্থার ব্যর্থতার মতো নাইজেরিয়ায় যেসব সমস্যা ওয়াশিংটন অনুভব করছে, তার কোনোটিই সামরিক হস্তক্ষেপকে যৌক্তিক করে না। বোকো হারাম বিদ্রোহ, যতই ট্র্যাজিক হোক না কেন, সেটা একটি আঞ্চলিক সমস্যা, মার্কিন সমস্যা নয়।

এ ছাড়া বাস্তব বাধাগুলোও অত্যন্ত জটিল। নাইজেরিয়ার ভৌগোলিক অবস্থান, জনসংখ্যার ঘনত্ব ও রাজনৈতিক জটিলতা—সব মিলিয়ে দেশটি ইরাক বা আফগানিস্তানের তুলনায় অনেক বেশি চ্যালেঞ্জিং। দুর্বলতা থাকা সত্ত্বেও নাইজেরিয়ার সামরিক বাহিনী বিদেশি হস্তক্ষেপের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে পারে। দক্ষিণ আফ্রিকার মতো আঞ্চলিক শক্তিও এই হস্তক্ষেপের বিরোধিতা করবে। আফ্রিকান ইউনিয়নও নিন্দা করবে। তাহলে আর কোন কৌশলগত লাভটা এখানে থেকে থাকতে পারে?

যুক্তরাষ্ট্রের দিক থেকে নাইজেরিয়ার যা দরকার, সেটা সামরিক হস্তক্ষেপ নয়; বরং বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও এমন কূটনৈতিক সম্পৃক্ততা, যা দেশটির সার্বভৌমত্বের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। ওয়াশিংটনের উচিত আঞ্চলিক অংশীদারদের সঙ্গে কাজ করা, আফ্রিকানদের নেতৃত্বে পরিচালিত সমাধানগুলোকে সমর্থন দেওয়া এবং মার্কিন শক্তির সীমাবদ্ধতাকে স্বীকার করা।

যুক্তরাষ্ট্রের সাধারণ যুক্তি হতে পারে, আমরা যদি না করি, তাহলে অন্য কেউ কেউ শূন্যস্থান পূরণ করবে। সম্ভবত চীন বা রাশিয়া। এই জিরো সাম চিন্তাপদ্ধতি এই বাস্তবতা উপেক্ষা করে যে প্রতিটি বৈশ্বিক সমস্যায় মার্কিন সমাধান প্রয়োজন নয়। নাইজেরিয়ার চ্যালেঞ্জগুলো সমাধান করতে হবে আফ্রিকার আঞ্চলিক শক্তিগুলোর সমর্থনে নাইজেরিয়ানদের নিজস্ব উপায়ে।

আমেরিকা যখন নিজস্ব আর্থিক চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি, তখন নাইজেরিয়ায় সামরিক শক্তি মোতায়েনের অর্থনৈতিক ব্যয়ও ভয়াবহ হবে। যুক্তরাষ্ট্র, নাইজেরিয়া—দুই দেশের মানবিক ক্ষয়ক্ষতিও হবে অসীম। আর রাজনৈতিক ব্যর্থতার কারণে আফ্রিকা ও বৈশ্বিক দক্ষিণে যুক্তরাষ্ট্রের গ্রহণযোগ্যতা অনেকখানি ক্ষয় পাবে। কয়েক দশকের দ্বিচারিতার কারণে এমনিতেই বিশ্বের বিভিন্ন দেশে মার্কিন ভাবমূর্তি এরই মধ্যে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

ট্রাম্পের এই হুমকি একই সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রনীতিতে দ্বিদলীয় অবাস্তব চিন্তার ধারাবাহিকতারই বহিঃপ্রকাশ। রিপাবলিকান ও ডেমোক্র্যাট—কেউই এটা বুঝতে, শিখতে সক্ষম নয় যে সামরিক শক্তি রাজনৈতিক সমস্যার সমাধান করতে পারে না। কোনো একটি দেশ নির্মাণের প্রকল্প কখনো কাজ করে না, যখন সেই দেশ নিজেই চায় না যে বিদেশিরা সেটা গড়ে তুলুক।

পরিহাসটা কিন্তু গভীর। একজন প্রেসিডেন্ট, যিনি ‘অনন্ত যুদ্ধ’ শেষ করার প্রতিশ্রুতি নিয়ে নির্বাচনী প্রচার চালিয়েছিলেন, এখন তিনি পশ্চিম আফ্রিকায় নতুন যুদ্ধের কথা ভাবছেন। ট্রাম্পের এই হুমকির পেছনে নাইজেরিয়া যতটা তার চেয়ে বেশি যুক্তরাষ্ট্রের অভ্যন্তরীণ রাজনীতির মঞ্চে শক্তি প্রদর্শন করা, দেশের সমস্যা থেকে জনগণের মনোযোগ অন্যদিকে ঘোরানো এবং সমর্থকগোষ্ঠীকে সন্তুষ্ট করা।

যুক্তরাষ্ট্রের দিক থেকে নাইজেরিয়ার যা দরকার, সেটা সামরিক হস্তক্ষেপ নয়; বরং বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও এমন কূটনৈতিক সম্পৃক্ততা, যা দেশটির সার্বভৌমত্বের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। ওয়াশিংটনের উচিত আঞ্চলিক অংশীদারদের সঙ্গে কাজ করা, আফ্রিকানদের নেতৃত্বে পরিচালিত সমাধানগুলোকে সমর্থন দেওয়া এবং মার্কিন শক্তির সীমাবদ্ধতাকে স্বীকার করা।

ট্রাম্পের জন্য সবচেয়ে সেরা কাজটা হবে নাইজেরিয়াকে যুক্তরাষ্ট্রের আরেকটি ব৵র্থ সামরিক অভিযানে যুক্ত করার প্রলোভন থেকে সরে আসা। কিন্তু এর জন্য দরকার প্রজ্ঞা, সংযম এবং মার্কিন স্বার্থ ও সামর্থ্যের বাস্তব মূল্যায়ন। এই গুণগুলো ওয়াশিংটনের পররাষ্ট্রনীতি নির্ধারকদের মধ্যে বরাবরই অনুপস্থিত।

বাস্তবসম্মত অবস্থান এখানে স্পষ্ট, সেটা হলো দূরে থাকুন। নাইজেরিয়ার সমস্যার সমাধান নাইজেরিয়ার নাগরিকদের করতে দিন। মার্কিন সম্পদকে প্রকৃত নিরাপত্তা-হুমকির মোকাবিলায় ব্যয় করুন। এই বিভ্রান্তি ত্যাগ করুন যে বিশ্বের প্রতিটি সংকটেই যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক প্রতিক্রিয়া প্রয়োজন।

লিওন হাডার রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক বিশ্লেষক

এশিয়া টাইমস থেকে নেওয়া, ইংরেজি থেকে অনূদিত

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: য ক তর ষ ট র র ন ইজ র য় র ন ইজ র য র জন ত ক সমস য

এছাড়াও পড়ুন:

নাইজেরিয়ায় যুদ্ধ নিয়ে ট্রাম্পের বিপজ্জনক জুয়া

আবার শুরু। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের নাইজেরিয়ায় সামরিক শক্তি মোতায়েন করার সর্বশেষ হুমকি ওয়াশিংটনের চিরন্তন বিভ্রান্তির আরেকটি অধ্যায় উপস্থাপন করছে। সেটা হলো আমেরিকান শক্তি বিশ্বের যেকোনো প্রান্তে থাকা একটি জটিল সমাজকেও পুনর্গঠন করতে পারে। 

সন্ত্রাসবিরোধী অভিযান, মার্কিন স্বার্থ রক্ষা বা গণতন্ত্রের বিকাশ—যে যুক্তিই দেওয়া হোক না কেন, সেটি অতিপরিচিত চিত্রনাট্যের পুনরাবৃত্তি মাত্র। আমরা সেটি ইরাক, লিবিয়া, সিরিয়া ও আফগানিস্তানে আগেও দেখেছি। এসব গল্পের মূল জমিনটা কখনোই বদলায় না। প্রথমে সামরিক সাফল্য, এরপর সেখানে নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা, অনিচ্ছাকৃত পরিণতি এবং শেষমেশ বিশৃঙ্খলভাবে মার্কিনদের পিছু হটা।

নাইজেরিয়ার জনসংখ্যা ২২ কোটি। এটি আফ্রিকার বৃহত্তম অর্থনীতি এবং সবচেয়ে জনবহুল দেশ। মুসলিম–অধ্যুষিত উত্তরাঞ্চল এবং খ্রিষ্টান–অধ্যুষিত দক্ষিণাঞ্চল জাতিগত উত্তেজনায় গভীরভাবে বিভক্ত। উত্তর-পূর্বাঞ্চলে ইসলামপন্থী বিদ্রোহ, দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলে বিচ্ছিন্নতাবাদী আন্দোলন দেশটিতে রয়েছে। সারা দেশে দুর্নীতি মহামারির রূপ নিয়েছে। এই জটিল ও অস্থিতিশীল একটি দেশে ট্রাম্প মার্কিন সেনা মোতায়েনের প্রস্তাব করেছেন। তাঁর এ প্রস্তাব ঠিকঠাক বলেই মনে হচ্ছে?

আরও পড়ুনট্রাম্প কেন মাদুরোকে ক্ষমতা থেকে সরাতে চান১২ নভেম্বর ২০২৫

বাস্তবসম্মত মূল্যায়নটা এখানে স্পষ্ট—নাইজেরিয়া যুক্তরাষ্ট্রের নিরাপত্তার জন্য সরাসরি কোনো হুমকি নয়। সন্ত্রাসবাদ, মানবাধিকার লঙ্ঘন বা শাসনব্যবস্থার ব্যর্থতার মতো নাইজেরিয়ায় যেসব সমস্যা ওয়াশিংটন অনুভব করছে, তার কোনোটিই সামরিক হস্তক্ষেপকে যৌক্তিক করে না। বোকো হারাম বিদ্রোহ, যতই ট্র্যাজিক হোক না কেন, সেটা একটি আঞ্চলিক সমস্যা, মার্কিন সমস্যা নয়।

এ ছাড়া বাস্তব বাধাগুলোও অত্যন্ত জটিল। নাইজেরিয়ার ভৌগোলিক অবস্থান, জনসংখ্যার ঘনত্ব ও রাজনৈতিক জটিলতা—সব মিলিয়ে দেশটি ইরাক বা আফগানিস্তানের তুলনায় অনেক বেশি চ্যালেঞ্জিং। দুর্বলতা থাকা সত্ত্বেও নাইজেরিয়ার সামরিক বাহিনী বিদেশি হস্তক্ষেপের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে পারে। দক্ষিণ আফ্রিকার মতো আঞ্চলিক শক্তিও এই হস্তক্ষেপের বিরোধিতা করবে। আফ্রিকান ইউনিয়নও নিন্দা করবে। তাহলে আর কোন কৌশলগত লাভটা এখানে থেকে থাকতে পারে?

যুক্তরাষ্ট্রের দিক থেকে নাইজেরিয়ার যা দরকার, সেটা সামরিক হস্তক্ষেপ নয়; বরং বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও এমন কূটনৈতিক সম্পৃক্ততা, যা দেশটির সার্বভৌমত্বের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। ওয়াশিংটনের উচিত আঞ্চলিক অংশীদারদের সঙ্গে কাজ করা, আফ্রিকানদের নেতৃত্বে পরিচালিত সমাধানগুলোকে সমর্থন দেওয়া এবং মার্কিন শক্তির সীমাবদ্ধতাকে স্বীকার করা।

যুক্তরাষ্ট্রের সাধারণ যুক্তি হতে পারে, আমরা যদি না করি, তাহলে অন্য কেউ কেউ শূন্যস্থান পূরণ করবে। সম্ভবত চীন বা রাশিয়া। এই জিরো সাম চিন্তাপদ্ধতি এই বাস্তবতা উপেক্ষা করে যে প্রতিটি বৈশ্বিক সমস্যায় মার্কিন সমাধান প্রয়োজন নয়। নাইজেরিয়ার চ্যালেঞ্জগুলো সমাধান করতে হবে আফ্রিকার আঞ্চলিক শক্তিগুলোর সমর্থনে নাইজেরিয়ানদের নিজস্ব উপায়ে।

আমেরিকা যখন নিজস্ব আর্থিক চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি, তখন নাইজেরিয়ায় সামরিক শক্তি মোতায়েনের অর্থনৈতিক ব্যয়ও ভয়াবহ হবে। যুক্তরাষ্ট্র, নাইজেরিয়া—দুই দেশের মানবিক ক্ষয়ক্ষতিও হবে অসীম। আর রাজনৈতিক ব্যর্থতার কারণে আফ্রিকা ও বৈশ্বিক দক্ষিণে যুক্তরাষ্ট্রের গ্রহণযোগ্যতা অনেকখানি ক্ষয় পাবে। কয়েক দশকের দ্বিচারিতার কারণে এমনিতেই বিশ্বের বিভিন্ন দেশে মার্কিন ভাবমূর্তি এরই মধ্যে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

ট্রাম্পের এই হুমকি একই সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রনীতিতে দ্বিদলীয় অবাস্তব চিন্তার ধারাবাহিকতারই বহিঃপ্রকাশ। রিপাবলিকান ও ডেমোক্র্যাট—কেউই এটা বুঝতে, শিখতে সক্ষম নয় যে সামরিক শক্তি রাজনৈতিক সমস্যার সমাধান করতে পারে না। কোনো একটি দেশ নির্মাণের প্রকল্প কখনো কাজ করে না, যখন সেই দেশ নিজেই চায় না যে বিদেশিরা সেটা গড়ে তুলুক।

পরিহাসটা কিন্তু গভীর। একজন প্রেসিডেন্ট, যিনি ‘অনন্ত যুদ্ধ’ শেষ করার প্রতিশ্রুতি নিয়ে নির্বাচনী প্রচার চালিয়েছিলেন, এখন তিনি পশ্চিম আফ্রিকায় নতুন যুদ্ধের কথা ভাবছেন। ট্রাম্পের এই হুমকির পেছনে নাইজেরিয়া যতটা তার চেয়ে বেশি যুক্তরাষ্ট্রের অভ্যন্তরীণ রাজনীতির মঞ্চে শক্তি প্রদর্শন করা, দেশের সমস্যা থেকে জনগণের মনোযোগ অন্যদিকে ঘোরানো এবং সমর্থকগোষ্ঠীকে সন্তুষ্ট করা।

যুক্তরাষ্ট্রের দিক থেকে নাইজেরিয়ার যা দরকার, সেটা সামরিক হস্তক্ষেপ নয়; বরং বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও এমন কূটনৈতিক সম্পৃক্ততা, যা দেশটির সার্বভৌমত্বের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। ওয়াশিংটনের উচিত আঞ্চলিক অংশীদারদের সঙ্গে কাজ করা, আফ্রিকানদের নেতৃত্বে পরিচালিত সমাধানগুলোকে সমর্থন দেওয়া এবং মার্কিন শক্তির সীমাবদ্ধতাকে স্বীকার করা।

ট্রাম্পের জন্য সবচেয়ে সেরা কাজটা হবে নাইজেরিয়াকে যুক্তরাষ্ট্রের আরেকটি ব৵র্থ সামরিক অভিযানে যুক্ত করার প্রলোভন থেকে সরে আসা। কিন্তু এর জন্য দরকার প্রজ্ঞা, সংযম এবং মার্কিন স্বার্থ ও সামর্থ্যের বাস্তব মূল্যায়ন। এই গুণগুলো ওয়াশিংটনের পররাষ্ট্রনীতি নির্ধারকদের মধ্যে বরাবরই অনুপস্থিত।

বাস্তবসম্মত অবস্থান এখানে স্পষ্ট, সেটা হলো দূরে থাকুন। নাইজেরিয়ার সমস্যার সমাধান নাইজেরিয়ার নাগরিকদের করতে দিন। মার্কিন সম্পদকে প্রকৃত নিরাপত্তা-হুমকির মোকাবিলায় ব্যয় করুন। এই বিভ্রান্তি ত্যাগ করুন যে বিশ্বের প্রতিটি সংকটেই যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক প্রতিক্রিয়া প্রয়োজন।

লিওন হাডার রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক বিশ্লেষক

এশিয়া টাইমস থেকে নেওয়া, ইংরেজি থেকে অনূদিত

সম্পর্কিত নিবন্ধ