সিরাজদিখানে পুলিশের সামনে ছাত্রলীগ-যুবলীগের মিছিল, এসআই প্রত্যাহার
Published: 18th, November 2025 GMT
মুন্সিগঞ্জের সিরাজদিখান উপজেলায় শেখ হাসিনার রায়ের প্রতিবাদে পুলিশের টহল দলের সামনে নিষিদ্ধঘোষিত ছাত্রলীগ ও যুবলীগের ব্যানারে বিক্ষোভ মিছিল হয়েছে। আজ মঙ্গলবার সকালে উপজেলার বাসাইল ইউনিয়নের ইমামগঞ্জ বাজারে এ মিছিল করেন ছাত্রলীগ ও যুবলীগের নেতা-কর্মীরা।
এ ঘটনায় পুলিশের এক উপপরিদর্শককে (এসআই) প্রত্যাহার করা হয়েছে। তাঁর নাম কামরুজ্জামান সিকদার। তাঁকে থানা থেকে প্রত্যাহার করে মুন্সিগঞ্জ পুলিশ লাইনসে সংযুক্ত করা হয়েছে।
স্থানীয় লোকজন জানান, সিরাজদিখান উপজেলা যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক জহিরুল ইসলামের নেতৃত্বে আজ সকাল ৯টার দিকে ইমামগঞ্জ বাজারে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করা হয়। মিছিলে কার্যক্রম-নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের অর্ধশত নেতা-কর্মী অংশ নেন। মিছিলে গতকাল সোমবার আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে দেওয়া শেখ হাসিনার মৃত্যুদণ্ডের রায়ের প্রতিবাদে স্লোগান দেওয়া হয়। মিছিলটি ইমামগঞ্জ বাজারের প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করার সময় সেখানে টহলরত পুলিশের একটি গাড়ি ছিল। তবে পুলিশ কোনো ব্যবস্থা নেয়নি। এ ঘটনা জানাজানি হলে টহলের দায়িত্বে থাকা সিরাজদিখান থানার উপপরিদর্শক কামরুজ্জামান সিকদারকে প্রত্যাহার করা হয়।
সিরাজদিখান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু বকর সিদ্দিক প্রথম আলোকে বলেন, মিছিলটি তাৎক্ষণিক হয়ে যায়। তখন ঘটনাস্থলের কাছাকাছি পুলিশের একটি টহল গাড়ি যাচ্ছিল। পুলিশ কর্মকর্তা কিছু বুঝে ওঠার আগেই মিছিলের লোকজন পালিয়ে যান। এ ঘটনার পর এসআই কামরুজ্জামানকে প্রত্যাহার করে পুলিশ লাইনসে নেওয়া হয়েছে। মিছিলে থাকা তিনজনকে অভিযান চালিয়ে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: য বল গ র
এছাড়াও পড়ুন:
‘লকডাউন’ ঘিরে গোপালগঞ্জে পৃথক মামলায় আসামি ৩৬৭
কার্যক্রম নিষিদ্ধ দল আওয়ামী লীগের অনলাইনে ডাকা গত ১৩ নভেম্বরের ‘লকডাউন’ কর্মসূচির ঘটনায় গোপালগঞ্জে পৃথক মামলায় ৮২ জনের নাম উল্লেখ করে ও অজ্ঞাতনামা ২৮৫ জনসহ মোট ৩৬৭ জনকে আসামি করা হয়েছে। এখন পর্যন্ত এই দুই মামলায় পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
শুক্রবার (১৪ নভেম্বর) দিবাগত রাতে গোপালগঞ্জ সদর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) নয়ন ও কোটালীপাড়া থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) সুব্রত বালা বাদী হয়ে সংশ্লিষ্ট থানায় এ দুটি মামলা করেন।
গোপালগঞ্জ সদর থানার ওসি মো. শাহ আলম বলেন, ‘‘১৩ নভেম্বর আওয়ামী লীগের লকডাউন কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে গোপালগঞ্জের কয়েকটি স্থানে সন্ত্রাসী কার্যক্রম চালায় আওয়ামী লীগ ও এর সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা। এসব ঘটনায় গোপালগঞ্জ-২ আসনের আওয়ামী লীগের সাবেক সংসদ সদস্য শেখ ফজলুল করিম সেলিমের ছেলে শেখ নাইমকে প্রধান আসামি করে ৬৮ জনের নাম উল্লেখ করে এবং ২৫০ জন অজ্ঞাতনামাসহ ৩১৮ জনকে আসামি করা হয়েছে। এর মধ্যে, চারজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।’’
কোটালীপাড়া থানার ওসি খন্দকার হাফিজুর রহমান বলেন, ‘‘কোটালীপাড়া থানায় সন্ত্রাসবিরোধী আইনের মামলায় ১৪ জনের নাম উল্লেখ করে এবং ১৫ জন অজ্ঞাতনামাসহ মোট ২৯ জনকে আসামি করা হয়েছে। এর মধ্যে, একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গ্রেপ্তারকৃত ব্যক্তিকে শনিবার আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।’’
ঢাকা/বাদল/রাজীব