মুখোমুখি জিতু-দিতিপ্রিয়া, রুদ্ধদ্বার বৈঠকে সংকট কী কাটল?
Published: 18th, November 2025 GMT
কলকাতার জনপ্রিয় জুটি জিতু কমল ও দিতিপ্রিয়া রায়। রোমান্টিক ঘরানার ‘চিরদিনই তুমি যে আমার’ টিভি ধারাবাহিকে জুটি বেঁধে পরিচিতি পেয়েছেন তারা।
কয়েক মাস আগে ব্যক্তিগত কারণে দ্বন্দ্বে জড়ান জিতু-দিতিপ্রিয়া। সেই দ্বন্দ্ব পেশাগত জীবনে গড়িয়েছে। জিতুর সঙ্গে রোমান্টিক দৃশ্য করবেন না—এমন দাবি দিতিপ্রিয়ার। এরপর থেকেই বিষয়টি নিয়ে আলোচনার ঝড় বইছে। কেবল তাই নয়, ধারাবাহিকটি বন্ধ হওয়ার উপক্রম হয়েছে।
আরো পড়ুন:
জামিনের পর মামলা নিয়ে মেহজাবীনের বিবৃতি
আত্মসমর্পণ করে জামিন পেলেন মেহজাবীন চৌধুরী
এ পরিস্থিতিতে ধারাবাহিকটির ভবিষ্যৎ কী হতে চলেছে, তা নিয়েও চলছে নানা জল্পনা। জিতু-দিতিপ্রিয়ার মুখ দেখাদেখি বন্ধ হওয়ার উপক্রম থাকলেও গতকাল বিষয়টি নিয়ে প্রযোজনা সংস্থা এসভিএফের অফিসে বৈঠকে বসেন সংশ্লিষ্টরা। আর তাতে মুখোমুখি হন এই দুই তারকা।
ভারতীয় একটি গণমাধ্যম জানিয়েছে, গতকাল সময়মতো প্রযোজনা প্রতিষ্ঠানটির অফিসে হাজির হন জিতু-দিতিপ্রিয়া। প্রায় তিন ঘণ্টা রুদ্ধদ্বার বৈঠক চলে।
গতকালের বৈঠক নিয়ে জিতু কিংবা দিতিপ্রিয়া কেউই মুখ খুলেননি। তাহলে কী ধারাবাহিকটি বন্ধ হয়ে যাচ্ছে, না কি জিতু বা দিতিপ্রিয়ার বদলে অন্য কেউ যুক্ত হচ্ছেন? এ প্রশ্নের উত্তর অজানা।
তবে এ বিষয়ে একটি সূত্র ভারতীয় গণমাধ্যমে জানিয়েছে, এ দিন কোনো সিদ্ধান্তই গৃহীত হয়নি। এমনকি আলোচনার মাধ্যমে সমস্যা সমাধানের যে আশার আলো দেখা যাচ্ছিল তাও নিরাশায় পরিণত হয়েছে। ঝামেলা মেটেনি। ধারাবাহিকের ভবিষ্যৎ স্থির হয়নি। মোট কথা, এই বৈঠকে কোনো সিদ্ধান্তই নিতে পারেননি সংশ্লিষ্টরা।
ঢাকা/শান্ত
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
রূপগঞ্জে শ্রাবণ বাহিনীর তাণ্ডব, লুটপাট : ৪ জনকে কুপিয়ে জখম
রূপগঞ্জে পূর্ব শত্রুতার জের ধরে শ্রাবণ বাহিনীর লোকজন একই পরিবারের চারজনকে কুপিয়ে ও পিটিয়ে জখম করেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
এ সময় প্রতিপক্ষের লোকজন বাড়ি ঘরে হামলা ভাঙচুর ও ব্যাপক লুটপাট চালিয়েছে বলেও অভিযোগ উঠেছে। গত সোমবার রাতে উপজেলার তারাবো পৌরসভার হাটিপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এদিকে মঙ্গলবার দুপুরে ভুক্তভোগী বিলকিস বেগম বাদী হয়ে রূপগঞ্জ থানা একটি অভিযোগ দেন।
ভুক্তভোগী বিলকিস বেগম জানান, তারাবো পৌরসভার হাটিপাড়া এলাকার শ্রাবণ ওরফে কুত্তা শ্রাবণ ও তার চাচার সঙ্গে তাদের পরিবারের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে বিরোধ চলে আসছিল। তারাবো হাটিপাড়া এলাকায় শ্রাবণ ও তার বাহিনীর লোকজন সাধারণ মানুষের জন্য আতংকের নাম।
তারা এলাকায় মাদক, চাঁদাবাজি থেকে শুরু করে নানা অপকর্ম করে আসছে। গত সোমবার রাতে রাসেল, রুবেল, শ্রাবণ ওরফে কুত্তা শ্রাবণ, সাহেব, সূর্য, মেহেদী, সিয়াম, নিরব, রাজু, আশিক, নাহিদ, আল-আমিন আকাশ, জিসান, রিয়াদ, রবিউলসহ অজ্ঞাত ৫০/ ৬০ জন বেশি অস্ত্রশস্ত্রে সজ্জিত হয়ে বিলকিস বেগমের বাড়িতে প্রবেশ করে হামলা ভাঙচুর চালাতে থাকে।
এসময় বিলকিস বেগমের দেবর মামুন মিয়া ও রিফাত মিয়া বাধা দিলে প্রতিপক্ষের লোকজন তাদেরকে কুপিয়ে ও পিটিয়ে জখম করে। এ সময় প্রতিপক্ষের লোকজন ভাসুর মিয়া ও দেবর মোক্তার হোসেনের বসত করে হামলা ভাঙচুর চালিয়ে তাদের কুপিয়ে ও পিটিয়ে জখম করে।
এ সময় হামলাকারীরা দুই ঘর থেকে মোট নগদ আড়াই লাখ টাকা ও স্বর্ণালংকার সহ আসবাবপত্র লুট করে নিয়ে যায়। তাদের ডাক চিৎকারে আশপাশের লোকজন এগিয়ে আসলে শ্রাবণ ও তার লোকজন হুমকি ধামকি দিয়ে চলে যায়। আহতদের উদ্ধার করে নিয়ে রুপগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
এ ব্যাপারে রূপগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা তরিকুল ইসলাম বলেন, এ ধরনের অভিযোগ পেয়েছি। আইনগত ব্যবস্থা পক্রিয়াধীণ।