গাজীপুরের কাশিমপুর হাইসিকিউরিটি কেন্দ্রীয় কারাগারে বন্দী মিরপুর-১২ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক কমিশনার মুরাদ হোসেন (৬৫) মারা গেছেন।

মঙ্গলবার (১৮ নভেম্বর) বিকেল ৫টার দিকে কারারক্ষীরা অচেতন অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিলে চিকিৎসক পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে মৃত ঘোষণা করেন।

আরো পড়ুন:

উখিয়ায় কৃষি জমিতে পড়েছিল বন্য হাতির মরদেহ

নেত্রকোণায় বিদ্যুৎস্পৃষ্টে যুবকের মৃত্যু

কাশিমপুর হাইসিকিউরিটি কারাগারের জেল সুপার আবদুল্লাহ আল মামুন বলেন, ‘‘মুরাদ হোসেন হাজতি হিসেবে কাশিমপুর কারাগারে বন্দী ছিলেন। তার বিরুদ্ধে হত্যাসহ তিনটি মামলা ছিল। মঙ্গলবার কারাগারে অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসক পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে তাকে মৃত ঘোষণা করেন। কারাবিধি অনুযায়ী পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।’’

ঢাকা/রেজাউল/রাজীব

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

লিবিয়া থেকে দেশে ফিরিয়ে আনা হলো ১৭০ জনকে

লিবিয়া থেকে অনিয়মিত ১৭০ বাংলাদেশিকে আজ মঙ্গলবার ফিরিয়ে আনা হয়েছে। সকাল ৬টা ১০ মিনিটে বুরাক এয়ারের একটি চার্টার্ড ফ্লাইটে তাঁরা ঢাকার হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছান।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। সেখানে বলা হয়, লিবিয়ার বাংলাদেশ দূতাবাস, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এবং প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে লিবিয়া সরকার ও আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থার সহযোগিতায় তাঁদের ফিরিয়ে আনা হয়। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়সহ সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় ও আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থার কর্মকর্তারা তাঁদের বিমানবন্দরে অভ্যর্থনা জানান।

প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ফিরিয়ে আনা বাংলাদেশিদের বেশির ভাগই সমুদ্রপথে অবৈধভাবে ইউরোপ যাওয়ার উদ্দেশ্যে মানব পাচারকারীদের প্ররোচনায় ও সহযোগিতায় লিবিয়ায় অনুপ্রবেশ করেন বলে জানা যায়। তাঁদের অনেকে লিবিয়াতে বিভিন্ন সময়ে অপহরণ ও নির্যাতনের শিকার হয়েছিলেন বলে অভিযোগ রয়েছে।

জনসচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে তাঁদের দুর্বিষহ অভিজ্ঞতা সম্ভাব্য সবার সঙ্গে বিনিময় করতে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় অনুরোধ জানায়। আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থার পক্ষ থেকে তাঁদের প্রত্যেককে পথখরচা, কিছু খাদ্যসামগ্রী এবং প্রাথমিক চিকিৎসা প্রদান করা হয়।

প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, লিবিয়ার বিভিন্ন আটক কেন্দ্রে থাকা বাংলাদেশিদের নিরাপদে ফেরাতে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, লিবিয়ার বাংলাদেশ দূতাবাস, প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় এবং আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থা একসঙ্গে কাজ করছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ