লিবিয়া থেকে অনিয়মিত ১৭০ বাংলাদেশিকে আজ মঙ্গলবার ফিরিয়ে আনা হয়েছে। সকাল ৬টা ১০ মিনিটে বুরাক এয়ারের একটি চার্টার্ড ফ্লাইটে তাঁরা ঢাকার হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছান।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। সেখানে বলা হয়, লিবিয়ার বাংলাদেশ দূতাবাস, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এবং প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে লিবিয়া সরকার ও আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থার সহযোগিতায় তাঁদের ফিরিয়ে আনা হয়। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়সহ সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় ও আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থার কর্মকর্তারা তাঁদের বিমানবন্দরে অভ্যর্থনা জানান।

প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ফিরিয়ে আনা বাংলাদেশিদের বেশির ভাগই সমুদ্রপথে অবৈধভাবে ইউরোপ যাওয়ার উদ্দেশ্যে মানব পাচারকারীদের প্ররোচনায় ও সহযোগিতায় লিবিয়ায় অনুপ্রবেশ করেন বলে জানা যায়। তাঁদের অনেকে লিবিয়াতে বিভিন্ন সময়ে অপহরণ ও নির্যাতনের শিকার হয়েছিলেন বলে অভিযোগ রয়েছে।

জনসচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে তাঁদের দুর্বিষহ অভিজ্ঞতা সম্ভাব্য সবার সঙ্গে বিনিময় করতে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় অনুরোধ জানায়। আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থার পক্ষ থেকে তাঁদের প্রত্যেককে পথখরচা, কিছু খাদ্যসামগ্রী এবং প্রাথমিক চিকিৎসা প্রদান করা হয়।

প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, লিবিয়ার বিভিন্ন আটক কেন্দ্রে থাকা বাংলাদেশিদের নিরাপদে ফেরাতে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, লিবিয়ার বাংলাদেশ দূতাবাস, প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় এবং আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থা একসঙ্গে কাজ করছে।

.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

বিচারকদের নিরাপত্তায় কী ব্যবস্থা, কমিটি গঠন করে প্রতিবেদন দিতে নির্দেশ

দেশের সব আদালত ও ট্রাইব্যুনালের বিচারক এবং তাঁদের এজলাস ও বাসভবনের সার্বিক নিরাপত্তায় কী ব্যবস্থা রয়েছে, তা জানাতে কমিটি গঠন করে ৯০ দিনের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেলের প্রতি এ নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

এক রিট আবেদনের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে বিচারপতি শিকদার মাহমুদুর রাজী ও বিচারপতি রাজিউদ্দিন আহমেদের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ আজ মঙ্গলবার রুলসহ এ আদেশ দেন।

রাজশাহীতে এক বিচারকের বাড়িতে ঢুকে তাঁর ছেলে হত্যার প্রেক্ষাপটে রিট আবেদন এবং আদালতের আদেশটি এসেছে।

সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণ, উচ্চ আদালতের বিচারপতিসহ অধস্তন সব আদালত ও ট্রাইব্যুনালের বিচারক এবং তাঁদের এজলাস ও বাসভবনের সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিতে গত বছরের ২৮ নভেম্বরের এ–সংক্রান্ত সার্কুলারের (সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেলের দেওয়া) নির্দেশনার বাস্তবায়ন চেয়ে আইনজীবী মো. মেহেদী হাসান চলতি সপ্তাহে রিট আবেদনটি করেন।

আবেদনের পক্ষে শুনানিতে ছিলেন আইনজীবী মো. ওমর ফারুক ও মোকাদ্দাস আহমদ। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মোহাম্মদ মেহেদী হাসান।

আরও পড়ুনবিচারকদের দুই দাবি, ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে না মানলে রোববার থেকে কলমবিরতি১৪ নভেম্বর ২০২৫

পরে আইনজীবী ওমর ফারুক প্রথম আলোকে বলেন, সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণ, উচ্চ আদালতের বিচারপতিসহ সারা দেশের অধস্তন সব আদালত ও ট্রাইব্যুনালে কর্মরত বিচারক, তাঁদের এজলাস ও বাসভবন এবং আদালত সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা–কর্মচারীদের সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিতে বর্তমানে কী ব্যবস্থা রয়েছে, তা জানাতে কমিটি গঠন করে ৯০ দিনের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।’

আদালত, আদালতের বিচারক ও আদালত সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা–কর্মচারীদের সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নিষ্ক্রিয়তা কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না, এই রুল আদালত দিয়েছে বলে এই আইনজীবী জানান। স্বরাষ্ট্রসচিব, আইজিপি ও র‍্যাবের মহাপরিচালকসহ বিবাদীদের রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।

আরও পড়ুনদাবি পূরণের আশ্বাসে বিচারকদের কলমবিরতি কর্মসূচি প্রত্যাহার১৫ নভেম্বর ২০২৫

১৩ নভেম্বর রাজশাহীতে জেলা জজ মোহাম্মদ আবদুর রহমানের বাড়িতে ঢুকে ছুরিকাঘাতে তাঁর ১৭ বছরের ছেলেকে হত্যা করা হয়। তাঁর স্ত্রীও আহত হন।

এরপর বাংলাদেশ জুডিশিয়াল সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশন বিচারকদের নিরাপত্তা নিশ্চিতের দাবিতে কলমবিরতি কর্মসূচি ডেকেছিল। পরে আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুলের আশ্বাসে তারা কর্মসূচি প্রত্যাহার করে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ