তিন ফরম্যাটে তিন অধিনায়কের পর তিন সহ-অধিনায়ক পেল বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দল। ক্রিকেট বিশ্বে এমন ঘটনা বিরল। তিন ফরম্যাটে তিন অধিনায়ক থাকার পর সহ-অধিনায়কেও তিন মুখ। মেহেদী হাসান মিরাজকে টেস্টের, নাজমুল হোসেন শান্তকে ওয়ানডে এবং সাইফ হাসানকে টি-টোয়েন্টির সহ-অধিনায়ক করা হয়েছে। 

অধিনায়কত্ব ছেড়ে দেওয়ার পর নাজমুল হোসেনকে আবার টেস্ট দলের দায়িত্ব দিয়েছে বিসিবি। আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে সেই যাত্রা শুরু হয়েছে নাজমুলের। টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের এবারের চক্র ২০২৫-২০২৭ পর্যন্ত নাজমুলের নেতৃত্বে সাদা পোশাকে খেলবে বাংলাদেশ। তার সহকারী কে হবেন তা নিয়ে আলোচনা চলছিল।

মঙ্গলবার বিসিবি তিন ফরম্যাটে তিন সহকারী অধিনায়ক নির্বাচন করেছে। টেস্টে নাজমুলের ডেপুটি হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন মেহেদী হাসান মিরাজ। এ ছাড়া ওয়ানডেতে মেহেদী হাসান মিরাজ দায়িত্ব সামলাচ্ছেন। আগামী জুন পর্যন্ত তার মেয়াদ। তার ডেপুটি হিসেবে দায়িত্বে থাকবেন নাজমুল।

এ ছাড়া টি-টোয়েন্টিতে বাংলাদেশের অধিনায়ক লিটন দাস। আগামী বছর টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ পর্যন্ত লিটন বাংলাদেশের নেতৃত্বে থাকবেন। তার ডেপুটি হিসেবে থাকবেন সাইফ হাসান।

সাইফের সহ-অধিনায়ক হওয়া আচমকাই। বলা যেতে পারে, ভালো খেলার পুরস্কার পেয়েছেন তিনি। ২৬ বছর বয়সী এই ক্রিকেটার প্রথমবার দলে বড় কোনো দায়িত্ব পেলেন।

ঢাকা/ইয়াসিন//

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

রূপগঞ্জে শ্রাবণ বাহিনীর তাণ্ডব, লুটপাট : ৪ জনকে কুপিয়ে জখম 

রূপগঞ্জে পূর্ব শত্রুতার জের ধরে শ্রাবণ বাহিনীর লোকজন একই পরিবারের চারজনকে কুপিয়ে   ও পিটিয়ে জখম করেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।

এ সময় প্রতিপক্ষের লোকজন বাড়ি ঘরে হামলা ভাঙচুর ও ব্যাপক লুটপাট চালিয়েছে বলেও অভিযোগ উঠেছে। গত সোমবার রাতে উপজেলার তারাবো পৌরসভার হাটিপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এদিকে মঙ্গলবার দুপুরে ভুক্তভোগী বিলকিস বেগম বাদী হয়ে রূপগঞ্জ থানা একটি অভিযোগ দেন। 

ভুক্তভোগী বিলকিস বেগম জানান, তারাবো পৌরসভার হাটিপাড়া এলাকার শ্রাবণ ওরফে কুত্তা শ্রাবণ ও তার চাচার সঙ্গে তাদের পরিবারের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে বিরোধ চলে আসছিল। তারাবো হাটিপাড়া এলাকায় শ্রাবণ ও তার বাহিনীর লোকজন সাধারণ মানুষের জন্য আতংকের নাম।

তারা এলাকায় মাদক,  চাঁদাবাজি  থেকে শুরু করে নানা অপকর্ম করে আসছে।  গত সোমবার রাতে রাসেল, রুবেল, শ্রাবণ ওরফে কুত্তা শ্রাবণ, সাহেব, সূর্য, মেহেদী, সিয়াম,  নিরব,  রাজু, আশিক, নাহিদ, আল-আমিন আকাশ, জিসান, রিয়াদ, রবিউলসহ অজ্ঞাত ৫০/ ৬০ জন বেশি অস্ত্রশস্ত্রে সজ্জিত হয়ে বিলকিস বেগমের বাড়িতে প্রবেশ করে হামলা ভাঙচুর চালাতে থাকে।  

এসময় বিলকিস বেগমের দেবর মামুন মিয়া ও রিফাত মিয়া বাধা দিলে প্রতিপক্ষের লোকজন তাদেরকে কুপিয়ে ও পিটিয়ে জখম করে। এ সময় প্রতিপক্ষের লোকজন ভাসুর মিয়া ও দেবর মোক্তার হোসেনের বসত করে হামলা ভাঙচুর চালিয়ে তাদের কুপিয়ে ও পিটিয়ে জখম করে।

এ সময় হামলাকারীরা দুই ঘর থেকে মোট নগদ আড়াই লাখ টাকা ও স্বর্ণালংকার সহ আসবাবপত্র লুট করে নিয়ে যায়। তাদের ডাক চিৎকারে আশপাশের লোকজন এগিয়ে আসলে শ্রাবণ ও তার লোকজন হুমকি ধামকি দিয়ে চলে যায়। আহতদের উদ্ধার করে নিয়ে রুপগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। 

এ ব্যাপারে রূপগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা তরিকুল ইসলাম বলেন, এ ধরনের অভিযোগ পেয়েছি। আইনগত ব্যবস্থা পক্রিয়াধীণ। 

সম্পর্কিত নিবন্ধ