সিলেটে বিএনপির আরেক নেতার বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার
Published: 18th, November 2025 GMT
সিলেট জেলা বিএনপির আরও এক নেতার বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার করে প্রাথমিক সদস্যপদ ফিরিয়ে দেওয়া হয়েছে। আজ মঙ্গলবার বিএনপির কেন্দ্রীয় দপ্তরের এক চিঠিতে বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহারের বিষয়টি জানানো হয়।
বিএনপির ওই নেতার নাম শাহ আলম। তিনি সিলেট জেলা বিএনপির সাবেক কোষাধ্যক্ষ। ২০২৪ সালের মে মাসে দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করে উপজেলা চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করায় তাঁকে বহিষ্কার করা হয়েছিল। ওই নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে তিনি নির্বাচিতও হয়েছিলেন।
এর আগে ৯ নভেম্বর বিএনপির এক বিজ্ঞপ্তিতে ২০২৩ সালে সিলেট সিটি করপোরেশন নির্বাচনে দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করে কাউন্সিলর পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতাকারী মহানগর বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের ৪০ নেতার বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার করা হয়।
আজ বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী স্বাক্ষরিত বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহারের চিঠিতে উল্লেখ করা হয়, শাহ আলমকে দলীয় শৃঙ্খলাবিরোধী কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে প্রাথমিক সদস্যপদসহ সব পর্যায়ের দায়িত্ব থেকে বহিষ্কার করা হয়েছিল। পরবর্তী সময় তাঁর আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বিষয়টি পর্যালোচনায় দলের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার করে দলের প্রাথমিক সদস্যপদ ফিরিয়ে দেওয়া হয়েছে। সিদ্ধান্তটি অবিলম্বে কার্যকর হবে। দলীয় নীতি ও শৃঙ্খলা মেনে দলকে শক্তিশালী ও গতিশীল করতে তাঁর ভূমিকা রাখার প্রত্যাশা করছে বিএনপি।
চিঠির অনুলিপি সিলেট বিভাগের সাংগঠনিক সম্পাদক জি কে গউছ, সহসাংগঠনিক সম্পাদক কলিমউদ্দিন আহমেদ, মিফতাহ সিদ্দিকীসহ সিলেট জেলা বিএনপির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের কাছে পাঠানো হয়েছে।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ব এনপ র
এছাড়াও পড়ুন:
প্রসিকিউটর ভবনের সামনে বিকট শব্দে বিস্ফোরণ, পুলিশ বলছে চকলেট বোমা
ঢাকার মহানগর দায়রা জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) কক্ষের বাইরে সামনে দিকে বিকট শব্দে বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। আজ মঙ্গলবার বিকেল সোয়া চারটার দিকে এ ঘটনা ঘটে। তবে এ ঘটনায় কেউ হতাহত হয়নি।
পাবলিক প্রসিকিউটর বলছেন, ককটেল বিস্ফোরণ হয়েছে। অন্যদিকে পুলিশ বলছে, এটা ছোট পটকা বোমা বা চকলেট বোমা–জাতীয় কিছু হতে পারে।
রেবতী ম্যানশন নামেন এ ভবনের নিচতলায় অনেক পাবলিক প্রসিকিউটর বসেন। ভবনের ওপরের দিকে আদালতও রয়েছে।
ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর ওমর ফারুক ফারুকী বলেন, ‘আমরা আমাদের অফিসে বসে কাজ করছি। এমন সময়ে বিকট শব্দের একটি ককটেল বিস্ফোরণের শব্দ পাই। রুম থেকে বের হয়ে দেখি, ড্রেনের সামনে কাদা ছিটিয়ে রয়েছে। ড্রেনের সমস্ত কাদা আদালতের দেয়ালে লেগে রয়েছে।’
এ ঘটনা আদালত প্রাঙ্গণে সতর্কবার্তা বলে এই আইনজীবী মনে করেন। তিনি বলেন, আদালতে আতঙ্ক সৃষ্টি করতে এটি করা হয়ে থাকতে পারে। প্রশাসনের বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে দেখা উচিত।
দুদকের পাবলিক প্রসিকিউট জহিরুল ইসলাম বলেন, ঘটনার পরপরই বিষয়টি কোতোয়ালি থানায় জানানো হয়। তারা এসে বিষয়টি পর্যবেক্ষণ করেছে।
ঢাকা আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ নজরুল ইসলাম এ ঘটনায় নিন্দা জানান ও উদ্বেগ প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, ‘আমার ধারণা গতকাল শেখ হাসিনাকে দেওয়া রায়কে কেন্দ্র করে সারা দেশে নিরবিচ্ছিন্ন ঘটনার এটা একটি অংশ হতে পারে।’ এ ঘটনায় জড়িতদের দ্রুত আইনের আওতায় আনার দাবি জানান তিনি।
রাজধানীর কোতোয়ালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মনিরুজ্জামান বলেন, ‘ঘটনাস্থল আমরা পরিদর্শক করেছি। ককটেল বিস্ফোরণের কোনো আলামত আমরা পাইনি। এটা ছোট ছোট পটকা বোমা বা চকলেট বোমা–জাতীয় কিছু হতে পারে।’