নারী কাবাডি বিশ্বকাপে জার্মানিকে উড়িয়ে দিল বাংলাদেশ
Published: 18th, November 2025 GMT
নারী কাবাডি বিশ্বকাপে নবাগত জার্মানিকে ৫৭-২৭ পয়েন্টে উড়িয়ে দিয়েছে বাংলাদেশ। মিরপুরের শহীদ সোহরাওয়ার্দী ইনডোর স্টেডিয়ামে আজ প্রথমার্ধেই আধিপত্য দেখিয়ে ২৮-৯ পয়েন্ট এগিয়ে যায় স্বাগতিকেরা। দ্বিতীয়ার্ধে খানিকটা ছন্দপতন হলেও বড় জয় পেতে অসুবিধা হয়নি কোচ শাহনাজ পারভীনের দলের। প্রথম ম্যাচে গতকাল উগান্ডাকে ৪২-২২ পয়েন্টে হারিয়েছিল বাংলাদেশ।
আগামীকাল নিজেদের তৃতীয় ম্যাচে বাংলাদেশের প্রতিপক্ষ বর্তমান বিশ্বকাপ চ্যাম্পিয়ন ভারত। আজ দিনের প্রথম ম্যাচে ভারত ৬৫-২০ পয়েন্টে থাইল্যান্ডকে হারিয়েছে। দুই অর্ধে সমান দাপট দেখান ভারতের মেয়েরা।
টানা দ্বিতীয় জয় পেয়েছে বাংলাদেশ নারী কাবাডি দল.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
আইনি ব্যবস্থা নারীর প্রতি সহিংসতা কমাতে পারছে না
নারী নির্যাতন প্রতিরোধে নানা আইনি ব্যবস্থা থাকলেও তা কার্যত নারীর প্রতি সহিংসতা কমাতে খুব বেশি কাজে আসছে না। নারীর প্রতি সহিংসতার ধরন ও মাত্রা বর্তমানে বদলেছে। সহিংসতা প্রতিরোধে প্রতিবাদ করতে হবে, নিজেদের সচেতন হতে হবে। নারীর প্রতি সহিংসতা বন্ধে গণমাধ্যমের ভূমিকা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ।
নারী নির্যাতন প্রতিরোধ পক্ষ-২০২৫ পালন শুরুর আগে গণমাধ্যমের নারী পাতার সম্পাদক এবং নারী বিটের সাংবাদিকদের সঙ্গে বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের আয়োজিত এক মতবিনিময় সভায় এসব কথা বলেন বক্তারা।
আজ মঙ্গলবার রাজধানীর সেগুনবাগিচায় মহিলা পরিষদের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের আনোয়ারা বেগম মুনিরা খান মিলনায়তনে এ মতবিনিময় সভার আয়োজন করা হয়।
সভাপতির বক্তব্যে মহিলা পরিষদের সভাপতি ফওজিয়া মোসলেম বলেন, ‘বর্তমানে নানা পশ্চাৎপদ অবস্থার মধ্যে মানুষের মধ্যে যে তার স্বাধীনতা ও মুক্তির আকাঙ্ক্ষা তৈরি হয়েছে, এটি আমাদের জন্য একটি বড় অর্জন। পরিবারে নারী-পুরুষের প্রতি পারিবারিক আচরণ পরিবর্তিত হবে, এটি স্বাভাবিক। তবে এই পরিবর্তন যেন মানুষকে এগিয়ে যেতে সাহায্য করে, সেদিকে লক্ষ রাখতে হবে।’
এ সময় পারিবারিক ও সামাজিক পরিবর্তনের দিকগুলো গণমাধ্যমকে ইতিবাচকভাবে তুলে ধরার জন্য আহ্বান জানান মহিলা পরিষদের সভাপতি। তিনি বলেন, ‘নারীর প্রতি সহিংসতা প্রতিরোধে আমাদের প্রতিবাদের রূপ ও ধরন বদলাবে। প্রতিবাদ করেই নারীর অগ্রযাত্রাকে অব্যাহত রাখতে হবে।’
সভায় স্বাগত বক্তব্যে মহিলা পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মালেকা বানু বলেন, আন্তর্জাতিক ও জাতীয়ভাবে নারী নির্যাতন প্রতিরোধে বিভিন্ন নীতিমালা গৃহীত হলেও বাস্তবে নারীর প্রতি সহিংসতা কমেছে, এমনটি বলা যাবে না। এই পরিপ্রেক্ষিতে আন্তর্জাতিক নারী নির্যাতন প্রতিরোধ পক্ষ পালনের একটি গুরুত্ব আছে।
মহিলা পরিষদের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘এই নারী নির্যাতন প্রতিরোধ পক্ষ পালনকালে সমগ্র বিশ্বের সঙ্গে আমরা নারীর প্রতি সহিংসতা প্রতিরোধে যে বার্তা দেব, যে কথাগুলো বলব এবং যে কর্মসূচিগুলো নেব ও বাস্তবায়ন করব, তা বৈশ্বিক পর্যায়ে প্রতিবেদন আকারে প্রকাশিত হবে। এর মধ্য দিয়ে আগামীর জন্য আবারও প্রতিরোধ ও প্রতিকারমূলক কর্মসূচি নির্ধারণ করা হবে। এবারের পক্ষের বিষয়বস্তু হচ্ছে সাইবার সহিংসতা প্রতিরোধ করা।’
সংগঠনের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সীমা মোসলেম বলেন, নারীর প্রতি সহিংসতার ধরন ও মাত্রা বর্তমানে বদলেছে। নারীর প্রতি সহিংসতা প্রতিরোধে শক্তিশালী নারী আন্দোলন গড়ে তুলতে গণমাধ্যম সব সময় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে আসছে। সে জন্য গণমাধ্যমের সঙ্গে আজকের কর্মসূচির আয়োজন করা হয়েছে।
সভায় মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন মহিলা পরিষদের প্রচার ও গণমাধ্যম সম্পাদক মাহফুজা জেসমিন। তিনি বলেন, দেশে নারী নির্যাতন প্রতিরোধে নানা আইনি ব্যবস্থা থাকলেও তা কার্যত নারীর প্রতি সহিংসতা কমাতে খুব বেশি কাজে আসছে না। এ পর্যায়ে নারীর প্রতি সহিংসতা বন্ধে গণমাধ্যমের ভূমিকা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। কেননা গণমাধ্যমই পারে অন্যায়ের প্রতিকারে সত্যকে সামনে নিয়ে আসতে।
সভায় মুক্ত আলোচনায় অংশ নেন দৈনিক সংবাদের নাসরিন গীতি, আমার দেশ পত্রিকার এমরানা আহমেদ, উইমেন আই ২৪ ডটকমের রীতা ভৌমিক, আজকের পত্রিকার অর্চি হক, দৈনিক ইত্তেফাকের রাবেয়া বেবী, দেশ রূপান্তর পত্রিকার তাপসী রাবেয়া, মহিলা পরিষদের প্রচার ও গণমাধ্যম উপপরিষদ সদস্য তাসকিনা ইয়াসমিন, খবরের কাগজের মারওয়া জান্নাত মাইশা ও দৈনিক ভোরের ডাকের আবদুর রহমান মল্লিক। সভা সঞ্চালনা করেন মহিলা পরিষদের প্রচার ও গণমাধ্যম উপপরিষদ সদস্য সেবিকা দেবনাথ।