১৫১ বছরের পুরনো ঘড়ির সামনে ট্রফি উন্মোচন
Published: 9th, November 2025 GMT
সিলেটে আয়ারল্যান্ড ও বাংলাদেশ টেস্ট সিরিজ শুরু ১১ নভেম্বর থেকে। রোববার বেলা পৌনে একটায় সিরিজের ট্রফি উন্মোচন করে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)।
বিসিবি সম্প্রতি বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ডের সঙ্গে একটি সমঝোতা চুক্তি করেছে, যার আওতায় দেশের ঐতিহাসিক ও দর্শনীয় স্থানগুলোতে আন্তর্জাতিক সিরিজের ট্রফি উন্মোচন আয়োজন করা হচ্ছে। এর লক্ষ্য বাংলাদেশের ঐতিহ্য, সংস্কৃতি ও পর্যটন সম্ভাবনাকে বিশ্ববাসীর সামনে তুলে ধরা।
আরো পড়ুন:
‘আমরা যা করছি, রেকর্ড হয়ে যাচ্ছে’
সিরিজ জয়ের সঙ্গে মিলল স্বস্তি
সেই ধারাবাহিকতার অংশ হিসেবেই এবার বেছে নেওয়া হয় সুরমা নদীর তীরবর্তী ১৫১ বছর পুরনো ঐতিহাসিক আলী আমজাদের ঘড়ির সামনে। ট্রফি উন্মোচন করেন বাংলাদেশ অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত এবং আয়ারল্যান্ড অধিনায়ক এন্ডু ব্যালবির্নে।
১৮৭৪ সালে নির্মিত ঘড়িঘরটি সিলেটের প্রবেশদ্বার, কিন ব্রিজের ডানপার্শ্বে অবস্থিত। সিলেটের কুলাউড়ায় পৃত্থিমপাশার জমিদার আলী আহমদ খান পুত্র আলী আমজাদের নামে ঘড়িটি নির্মাণ করেন। লোহার খুঁটির ওপর ঢেউটিন দিয়ে সুউচ্চ গম্বুজাকৃতির স্থাপত্যশৈলীতে তৈরি ঘড়ি আজও সিলেট শহরের অন্যতম ঐতিহাসিক নিদর্শন। ঘড়ির ব্যাসার্ধ আড়াই ফুট, কাটার দৈর্ঘ্য দুই ফুট।
ঘড়ি টাওয়ারটি সিলেটের ঔপনিবেশিক যুগের ঐতিহ্য এবং ব্রিটিশ ভারতের বিস্তৃত ইতিহাসের সংযোগের প্রতীক। এর মার্জিত স্থাপত্য এবং দীর্ঘস্থায়ী উপস্থিতি সেসময়ের কারুশিল্পকে প্রতিফলিত করে।
ট্রফি উন্মোচন অনুষ্ঠানে দুই অধিনায়ক আসন্ন সিরিজ নিয়ে আশাবাদ ব্যক্ত করেন। বাংলাদেশের অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত বলেন, “নিজেদের মাঠে খেলতে নামা সবসময়ই গর্বের বিষয়। সিলেটে দারুণ একটি ম্যাচ হবে বলে আমি বিশ্বাস করি। আমরা চেষ্টা করব ভালো ক্রিকেট উপহার দিতে।”
অন্যদিকে আয়ারল্যান্ডের অধিনায়ক অ্যান্ডু বালবিরনি বলেন, “বাংলাদেশে খেলতে আসা সবসময়ই বিশেষ অভিজ্ঞতা। এই পরিবেশ, এই উচ্ছ্বাস-সবকিছু আমাদের অনুপ্রাণিত করে। আশা করি, দর্শকরা উপভোগ্য টেস্ট ম্যাচ দেখতে পাবেন।”
ঢাকা/ইয়াসিন/আমিনুল
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
আমি শারীরিক গড়ন নিয়ে সবসময়ই খুশি ছিলাম: কারিনা
বলিউড অভিনেত্রী কারিনা কাপুর খান। ২০০০ সালে ‘রিফিউজি’ সিনেমার মাধ্যমে বলিউডে পা রাখেন। রুপালি পর্দায় তার ‘ক্যারিশমাটিক’ উপস্থিতি ভক্তদের মনে ঝড় তোলে। অভিষেক চলচ্চিত্রে নজর কাড়লেও তার ক্যারিয়ারে প্রথম বাজিমাত ঘটায় ‘কাভি খুশি কাভি গাম’ সিনেমা। পারিবারিক ড্রামা ও রোমান্টিক ঘরানার সিনেমাটি ২০০১ সালে মুক্তি পায়।
ক্যারিয়ারের শুরুর দিকে শারীরিক গড়ন নিয়ে সমালোচনার মুখে পড়েছিলেন কারিনা কাপুর খান। পুরোনো সেই ইস্যু নিয়ে খোলামেলা কথা বলেছেন এই অভিনেত্রী।
পিঙ্কভিলাকে কারিনা কাপুর খান বলেন, “আমি সবসময়ই আমার শারীরিক (সাইজ) গড়ন ও আকার নিয়ে খুশি ছিলাম। আমি একটু মোটাসোটা ছিলাম, আর আমার প্রথম সিনেমাতেও মোটাসোটা ছিলাম। কারণ আমি খুব পরিষ্কারভাবে জানতাম যে, আমি পরোটা ভালোবাসি। আমি একদম খাঁটি পাঞ্জাবি কুড়ি!”
কারিনা তার কর্মজীবনকে নিজের প্রতিভা, পছন্দের চরিত্র, যেসব গল্প তাকে আকৃষ্ট করত, তার ওপর ভিত্তি করে গড়েছেন। কারিনার ভাষায়—“আমি আমার প্রতিভা বিক্রি করতে এসেছি, অন্য কিছুর জন্য নয়।”
ফিটনেস ও স্বাস্থ্যের বিষয়ে কারিনা কাপুর সবসময়ই কথা বলেছেন। বিশেষ করে নারীদের মাংসপেশি গঠন, স্ট্রেংথ ট্রেনিংয়ের গুরুত্ব নিয়ে কথা বলেন। ইনস্টাগ্রামের মতো সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তার ফিটনেস রুটিন ও ডায়েট নিয়ে খোলামেলা পোস্ট করে থাকেন। ফিটনেস ও ডায়েট নিয়ে তার মনোযোগ মূলত আসল অর্থেই—ফিট থাকা এবং পুষ্টিকর, স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়া; কখনো ফ্যাড ডায়েট বা জটিল ওয়ার্কআউট প্ল্যান অনুসরণ করেন না। তার লক্ষ্য—ফিটনেসকে মজাদার করে তোলা, এটিকে অভ্যাসে পরিণত করা বলেও জানান এই অভিনেত্রী।
কারিনা স্বীকার করেন, এই ইন্ডাস্ট্রি সবসময় এতটা সহনশীল নয়। এ অভিনেত্রী বলেন, “এরপর চাপ আসতে শুরু করল। মানুষ যখন বলতে লাগল, ‘সে ক্যামেরার সামনে ভালো। কিন্তু গ্ল্যামারাস চরিত্রে ভালো লাগবে কি না?’ মূলত, তখনই ভাবতে শুরু করি।”
২০০৮ সালে ‘তাশান’ সিনেমার জন্য ‘জিরো ফিগার’ তৈরি করে আলোচনায় আসেন কারিনা। দেড় বছর কঠোর পরিশ্রম, নির্দিষ্ট খাদ্যতালিকা এবং যোগব্যায়ামের মাধ্যমে নিজেকে ফিট করেন। ‘তাশান’ সিনেমার পর কারিনা আবার পূর্বের লুকে ফিরেন। এ বিষয়ে একাধিকবার কারিনা বলেন, “তারপর কখনো ‘জিরো ফিগার’ তৈরির প্রয়োজন অনুভব করিনি।”
বর্তমানে চলচ্চিত্রে খুব একটা দেখা যায় না কারিনা কাপুর খানকে। প্রতি বছর একটি বা দুটো সিনেমায় কাজ করে থাকেন তিনি। বাকি সময় স্বামী-সন্তানদের সঙ্গে কাটান কারিনা। এখন তার হাতে ‘দায়রা’ নামে একটি সিনেমার কাজ রয়েছে। এরই মধ্যে সিনেমাটির দৃশ্যধারণের কাজ শুরু করেছেন পরিচালক মেঘনা গুলজার।
ঢাকা/শান্ত