বিরতির পর আবারও অভিনয়ে ফিরতে যাচ্ছেন বিদ্যা সিনহা মিম। প্রায় দুই বছর কোনো নতুন কাজ নিয়ে দর্শকের সামনে হাজির হননি এই নায়িকা। তাকে সর্বশেষ দেখা গেছে ২০২৩ সালের অক্টোবরে, জিতের বিপরীতে টালিউডের ‘মানুষ’ সিনেমায়। ওটিটিতেও দীর্ঘদিন ধরেই অনুপস্থিত তিনি। মাঝখানে সরকারি অনুদানের সিনেমা ‘দিগন্তে ফুলের আগুন’–এর শুটিং করলেও সেটিও রিলিজের অপেক্ষায় রয়েছে। এরপর আর কোনো সিনেমা বা ওয়েব কনটেন্টে অংশ নেওয়ার খবর পাওয়া যায়নি।

তবে এবার বিরতি ভেঙে পুনরায় অভিনয়ের প্রস্তুতি নিচ্ছেন মিম। শনিবার (২২ নভেম্বর) রাজধানীতে একটি ফ্যাশন হাউসের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত হয়ে তিনি জানান, ২০২৬ সালকে নিজের কামব্যাকের বছর হিসেবে দেখছেন।

মিম বলেন, “এই দুই বছরে সিনেমার কাজ না আসলেও আমি ব্যস্ত ছিলাম বিভিন্ন ব্র্যান্ড–সংক্রান্ত ইভেন্ট ও প্রমোশনে। তবে অভিনয়ে ফিরে আসার পরিকল্পনা অনেকদিন ধরেই করছি।”

তিনি জানান, আগামী বছরই নতুন সিনেমা নিয়ে প্রেক্ষাগৃহে ফিরবেন। এরই মধ্যে একটি নতুন চলচ্চিত্র ও একটি ওয়েব সিরিজের শুটিং শেষ করেছেন। তবে আনুষ্ঠানিক ঘোষণা না আসা পর্যন্ত বিস্তারিত জানাতে রাজি নন এই অভিনেত্রী। 

দুই বছর পর্দায় অনুপস্থিত থাকলেও প্রস্তাবের কমতি ছিল না, বরং স্বেচ্ছায় সময় নিয়েছেন। মিমের ভাষায়, “ভালো মানের প্রজেক্টে কাজ করা আমার লক্ষ্য। তাই অপেক্ষা করেছি। অবশেষে সেই অপেক্ষার ফল মিলছে। আগামী মাসে নতুন কাজগুলোর ঘোষণা আসবে।”

মিম অভিনীত সর্বশেষ আলোচিত কাজ ছিল রায়হান রাফির ‘পরাণ’। ২০২২ সালে এই সিনেমা তাকে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে তুলে আনে। একই নির্মাতার ‘দামাল’ সিনেমাতেও তার অভিনয় প্রশংসিত হয়। পরের বছর তিনি দীপংকর দীপনের ‘অন্তর্জাল’ এবং সানি সানোয়ারের ওয়েব সিরিজ ‘মিশন হান্টডাউন’ এ অভিনয় করেন।

ঢাকা/রাহাত//

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

ভূমিকম্পের সময় কী করব, কী করব না, আগে কী করণীয়

ভূমিকম্পের সময় আমি কী করব, কী করব না, এখন এইটাই সবচেয়ে বড় প্রশ্ন।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বাংলাদেশে বড় ভূমিকম্প হতে পারে। দীর্ঘ মেয়াদে কর্তৃপক্ষ কী করবে, বাড়িওয়ালা কী করবেন, তা নিয়ে পরে আলোচনা করা যাবে। প্রথম প্রসঙ্গ হলো, ভূমিকম্প হলে আমি কী করব, আপনি কী করবেন।

ইউএসজিএস বা ইউনাইটেট স্টেটস জিওলজিক্যাল সার্ভে ভূমিকম্পের তথ্যের জন্য একটা নির্ভরযোগ্য উৎস। তারা কী বলছে! ভূমিকম্পের সময় আপনি কী করবেন?

যদি ঘরের ভেতরে থাকেন

১. যেখানে আছেন, সেখানেই থাকুন। ড্রপ, কভার, হোল্ডঅন। হামাগুড়ি দিয়ে টেবিলের নিচে ঢুকুন। স্থির থাকুন। রান্নাঘরে থাকলে বেরিয়ে যান। আশপাশে বা মাথার ওপর থেকে ভারী কিছু পড়বে কি না, খেয়াল করে নিজের অবস্থান নিন। ঘরের বিমের নিচে বা কোনায় আশ্রয় নিতে পারেন।

২. দৌড়াবেন না। সিঁড়িতে যাবেন না।

৩. চুলা, কাচের জানালা, দরজা, বই বা বাসনকোসন সমেত শেল্ফ থেকে, বা পড়ে যেতে পারে, এমন আলমারি থেকে দূরে থাকুন।

৪. ভূমিকম্প থেমে গেলে সিঁড়ি দিয়ে বাড়ির বাইরে আসুন। আশপাশে ভবন নেই, ইলেকট্রিকের তার নেই, চিমনি নেই, গাছ নেই, মাথার ওপরে পড়তে পারে, এমন কিছু নেই—এমন জায়গায় গিয়ে দাঁড়ান। সেতুর ওপরে উঠবেন না। ফ্লাইওভারের নিচে দাঁড়াবেন না।

কখনোই করবেন না

১. জানালা দিয়ে বা বারান্দা থেকে লাফ দেবেন না।

২. জনবহুল ভবনে সিঁড়ি দিয়ে নামার চেষ্টা করবেন না।

বাংলাদেশে ২১ নভেম্বর ২০২৫-এ ভূমিকম্পে যাঁরা মারা গেছেন, তাঁদের বেশির ভাগই বাড়ির বাইরে ছিলেন। আর যাঁরা আহত হয়েছেন, তাঁদের প্রায় সবাই সিঁড়িতে পায়ের নিচে পড়ে বা লাফিয়ে নামার কারণে আহত হয়েছেন।

যদি গাড়িতে থাকেন

দেখেশুনে আস্তে আস্তে গাড়ি থামান। ফাঁকা জায়গায় গাড়ি পার্ক করে রাখুন। লাইটপোস্ট, ভবন, গাছ, সেতু, ওভারব্রিজ, ফ্লাইওভারের নিচে গাড়ি রাখবেন না।

অন্য গাড়ির চলাচলে বাধা হয়ে গাড়ি রাখবেন না।

যদি পাহাড়ে থাকেন

খেয়াল রাখুন, কোনো পাথর গড়িয়ে এসে পড়তে পারে কি না। ভূমিধস হতে পারে। গাছ উপড়ে যেতে পারে।

যদি সমুদ্রের ধারে থাকেন

সুনামির পূর্বাভাস থাকলে নিরাপদ জায়গায় সরে যান।

ভূমিকম্পের আগের প্রস্তুতি

ভূমিকম্প কখন, কোথায় হবে—কেউই আগে থেকে নিশ্চিতভাবে বলতে পারে না। কিন্তু কিছু সহজ প্রস্তুতি আমাদের জীবন রক্ষা করতে পারে, দুর্ঘটনা কমাতে পারে। নিচে চারটি গুরুত্বপূর্ণ ধাপ সহজ ভাষায় তুলে ধরা হলো। এগুলো তৈরি করেছে আর্থকোয়েক কান্ট্রি অ্যালায়েন্স, যেখানে ইউএসজিএস একটি সহযোগী প্রতিষ্ঠান।

ধাপ ১: নিজের ঘরটাই আগে নিরাপদ করুন

ভূমিকম্পে বেশির ভাগ মানুষ আঘাত পান ঘরের ভেতরের জিনিসপত্র পড়ে গিয়ে। তাই—

ভারী বুকশেলফ, আলমারি, টিভি—দেয়ালের সঙ্গে ভালোভাবে আটকানো আছে কি না দেখে নিন।

কাচের বোতল, ফুলদানি, ভারী জিনিস মাথার ওপর বা উঁচু তাকে রাখবেন না।

বিছানার পাশে বড় বড় জিনিস রাখার অভ্যাস বাদ দিন।

ভবনের নিচতলার খোলা কলাম বিপজ্জনক

সম্পর্কিত নিবন্ধ