১৩ সেনা কর্মকর্তাসহ ২৮ আসামির বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ গঠনের বিষয়ে শুনানির তারিখ ধার্য
Published: 23rd, November 2025 GMT
আওয়ামী লীগ সরকারের শাসনামলে গুম-নির্যাতনের ঘটনায় করা মানবতাবিরোধী অপরাধের পৃথক দুই মামলায় ১৩ সেনা কর্মকর্তাসহ ২৮ জনের বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ গঠনের বিষয়ে শুনানির তারিখ ধার্য করা হয়েছে। একটি মামলায় শুনানি হবে ৩ ডিসেম্বর, অন্যটিতে ৭ ডিসেম্বর।
বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন দুই সদস্যের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ আজ রোববার এই তারিখ ধার্য করেন। ট্রাইব্যুনালের অপর সদস্য হলেন বিচারক মো.
টাস্কফোর্স ফর ইন্টারোগেশন সেলে (টিএফআই সেল) গুম করে রাখার ঘটনায় করা মানবতাবিরোধী অপরাধের একটি মামলায় ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ মোট ১৭ জন আসামি। এই মামলায় ৩ ডিসেম্বর আনুষ্ঠানিক অভিযোগ গঠনের বিষয়ে শুনানির তারিখ ধার্য করা হয়েছে।
এই মামলায় ১০ জন গ্রেপ্তার আছেন। তাঁরা হলেন ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. জাহাঙ্গীর আলম, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল তোফায়েল মোস্তফা সারোয়ার, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. কামরুল হাসান, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. মাহাবুব আলম, ব্রিগেডিয়ার কে এম আজাদ, কর্নেল আবদুল্লাহ আল মোমেন, কর্নেল আনোয়ার লতিফ খান (অবসর প্রস্তুতিমূলক ছুটিতে), লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. মশিউর রহমান, লেফটেন্যান্ট কর্নেল সাইফুল ইসলাম সুমন ও লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. সারওয়ার বিন কাশেম।
জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে এই আসামিদের প্রথম সাতজন র্যাবের অতিরিক্ত মহাপরিচালক হিসেবে এবং শেষের তিনজন র্যাবের গোয়েন্দা শাখার পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।
এ মামলায় ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান, সাবেক প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা তারিক আহমেদ সিদ্দিকসহ সাত আসামি পলাতক।
জয়েন্ট ইন্টারোগেশন সেলে (জেআইসি) গুম করে রাখার ঘটনায় মানবতাবিরোধী অপরাধের আরেকটি মামলায় শেখ হাসিনাসহ ১৩ জনকে আসামি করা হয়েছে। এ মামলায় ৭ ডিসেম্বর আনুষ্ঠানিক অভিযোগ গঠনের বিষয়ে শুনানি হবে।
এ মামলায় তিন আসামি গ্রেপ্তার আছেন। তাঁরা হলেন প্রতিরক্ষা গোয়েন্দা মহাপরিদপ্তরের (ডিজিএফআই) সাবেক তিনজন পরিচালক মেজর জেনারেল শেখ মো. সরওয়ার হোসেন, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. মাহবুবুর রহমান সিদ্দিকী ও ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আহমেদ তানভির মাজাহার সিদ্দিকী।
এ মামলায় ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, সাবেক প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা তারিক আহমেদ সিদ্দিকসহ ১০ আসামি পলাতক।
উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ক ষমত চ য ত ড স ম বর কর ন ল অপর ধ
এছাড়াও পড়ুন:
ভূমিকম্পের সময় কী করব, কী করব না, আগে কী করণীয়
ভূমিকম্পের সময় আমি কী করব, কী করব না, এখন এইটাই সবচেয়ে বড় প্রশ্ন।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বাংলাদেশে বড় ভূমিকম্প হতে পারে। দীর্ঘ মেয়াদে কর্তৃপক্ষ কী করবে, বাড়িওয়ালা কী করবেন, তা নিয়ে পরে আলোচনা করা যাবে। প্রথম প্রসঙ্গ হলো, ভূমিকম্প হলে আমি কী করব, আপনি কী করবেন।
ইউএসজিএস বা ইউনাইটেট স্টেটস জিওলজিক্যাল সার্ভে ভূমিকম্পের তথ্যের জন্য একটা নির্ভরযোগ্য উৎস। তারা কী বলছে! ভূমিকম্পের সময় আপনি কী করবেন?
যদি ঘরের ভেতরে থাকেন১. যেখানে আছেন, সেখানেই থাকুন। ড্রপ, কভার, হোল্ডঅন। হামাগুড়ি দিয়ে টেবিলের নিচে ঢুকুন। স্থির থাকুন। রান্নাঘরে থাকলে বেরিয়ে যান। আশপাশে বা মাথার ওপর থেকে ভারী কিছু পড়বে কি না, খেয়াল করে নিজের অবস্থান নিন। ঘরের বিমের নিচে বা কোনায় আশ্রয় নিতে পারেন।
২. দৌড়াবেন না। সিঁড়িতে যাবেন না।
৩. চুলা, কাচের জানালা, দরজা, বই বা বাসনকোসন সমেত শেল্ফ থেকে, বা পড়ে যেতে পারে, এমন আলমারি থেকে দূরে থাকুন।
৪. ভূমিকম্প থেমে গেলে সিঁড়ি দিয়ে বাড়ির বাইরে আসুন। আশপাশে ভবন নেই, ইলেকট্রিকের তার নেই, চিমনি নেই, গাছ নেই, মাথার ওপরে পড়তে পারে, এমন কিছু নেই—এমন জায়গায় গিয়ে দাঁড়ান। সেতুর ওপরে উঠবেন না। ফ্লাইওভারের নিচে দাঁড়াবেন না।
কখনোই করবেন না১. জানালা দিয়ে বা বারান্দা থেকে লাফ দেবেন না।
২. জনবহুল ভবনে সিঁড়ি দিয়ে নামার চেষ্টা করবেন না।
বাংলাদেশে ২১ নভেম্বর ২০২৫-এ ভূমিকম্পে যাঁরা মারা গেছেন, তাঁদের বেশির ভাগই বাড়ির বাইরে ছিলেন। আর যাঁরা আহত হয়েছেন, তাঁদের প্রায় সবাই সিঁড়িতে পায়ের নিচে পড়ে বা লাফিয়ে নামার কারণে আহত হয়েছেন।
যদি গাড়িতে থাকেন
দেখেশুনে আস্তে আস্তে গাড়ি থামান। ফাঁকা জায়গায় গাড়ি পার্ক করে রাখুন। লাইটপোস্ট, ভবন, গাছ, সেতু, ওভারব্রিজ, ফ্লাইওভারের নিচে গাড়ি রাখবেন না।
অন্য গাড়ির চলাচলে বাধা হয়ে গাড়ি রাখবেন না।
যদি পাহাড়ে থাকেন
খেয়াল রাখুন, কোনো পাথর গড়িয়ে এসে পড়তে পারে কি না। ভূমিধস হতে পারে। গাছ উপড়ে যেতে পারে।
যদি সমুদ্রের ধারে থাকেন
সুনামির পূর্বাভাস থাকলে নিরাপদ জায়গায় সরে যান।
ভূমিকম্পের আগের প্রস্তুতিভূমিকম্প কখন, কোথায় হবে—কেউই আগে থেকে নিশ্চিতভাবে বলতে পারে না। কিন্তু কিছু সহজ প্রস্তুতি আমাদের জীবন রক্ষা করতে পারে, দুর্ঘটনা কমাতে পারে। নিচে চারটি গুরুত্বপূর্ণ ধাপ সহজ ভাষায় তুলে ধরা হলো। এগুলো তৈরি করেছে আর্থকোয়েক কান্ট্রি অ্যালায়েন্স, যেখানে ইউএসজিএস একটি সহযোগী প্রতিষ্ঠান।
ধাপ ১: নিজের ঘরটাই আগে নিরাপদ করুন
ভূমিকম্পে বেশির ভাগ মানুষ আঘাত পান ঘরের ভেতরের জিনিসপত্র পড়ে গিয়ে। তাই—
ভারী বুকশেলফ, আলমারি, টিভি—দেয়ালের সঙ্গে ভালোভাবে আটকানো আছে কি না দেখে নিন।
কাচের বোতল, ফুলদানি, ভারী জিনিস মাথার ওপর বা উঁচু তাকে রাখবেন না।
বিছানার পাশে বড় বড় জিনিস রাখার অভ্যাস বাদ দিন।
ভবনের নিচতলার খোলা কলাম বিপজ্জনক