টানা ড্রয়ের হতাশা সত্ত্বেও দলকে নিয়ে শান্ত থাকার আহ্বান জানিয়েছেন রিয়াল মাদ্রিদের কোচ জাবি আলোনসো। তাঁর ভাষায়, “মৌসুম অনেক লম্বা। সময় আছে ঘুরে দাঁড়ানোর।”

রবিবার লা লিগায় জিরোনার মাঠে ১-১ ব্যবধানে থেমেছে রিয়াল, যা তাদের টানা তৃতীয় ড্র। মন্টিলিভিতে বিরতির ঠিক আগ মুহূর্তে আজ্জেদিন উনাহির গোলে পিছিয়ে পড়ে মাদ্রিদ। পরে পেনাল্টি থেকে গোল করে দলকে সমতায় ফেরান কিলিয়ান এমবাপ্পে। কিন্তু জয়ের প্রয়োজনীয় গোলটি আর করতে পারেনি লস ব্ল্যাঙ্কোস।

আরো পড়ুন:

রোনালদোর রেকর্ড ভেঙে চ্যাম্পিয়নস লিগে এমবাপ্পের দ্রুততম হ্যাটট্রিক

বেলিংহামের শেষ মুহূর্তের গোলে হার এড়াল রিয়াল

এই ড্রয়ের ফলে শীর্ষে থাকা বার্সেলোনার থেকে এক পয়েন্ট পিছিয়ে থাকল রিয়াল। বার্সেলোনা আবার মঙ্গলবার খেলবে চতুর্থস্থানের আতলেতিকোর বিপক্ষে।

আলোনসো ম্যাচ শেষে বলেন, “দ্বিতীয়ার্ধে আমরা অনেক ভালো খেলেছি, সুযোগও তৈরি করেছি। কিন্তু তিন পয়েন্ট তুলে নেওয়ার মতো নিখুঁত হতে পারিনি। তারপরও মৌসুমটা দীর্ঘ এবং আমাদের লড়ে যেতে হবে।”

মৌসুমের শুরুটা দুর্দান্ত কাটিয়েছিল রিয়াল। প্রথম ১১ ম্যাচের ১০টিতেই জয়। কিন্তু নভেম্বর মাসে ভায়েকানো, এলচে ও জিরোনার বিপক্ষে তিন ড্র, সঙ্গে চ্যাম্পিয়ন্স লিগে লিভারপুলের কাছে হারের পর প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে আলোনসোর প্রকল্প নিয়ে।

আলোনসো বলেন, “মৌসুমের আলাদা আলাদা পর্যায় থাকে। শুরুতে আমরা অ্যাওয়ে ম্যাচে বেশি ধারাবাহিক ছিলাম। আজ ১-০ পিছিয়ে থেকেও দলটা ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা করেছে। দ্বিতীয় গোল করার মতো তিন-চারটা পরিষ্কার সুযোগ তো ছিলই।”

নিজেদের চেষ্টা নিয়ে তিনি কোনো নেতিবাচক মন্তব্য করেননি, “পিছিয়ে যাওয়ার পর দলের প্রতিক্রিয়া আমার ভালো লেগেছে। যদিও যথেষ্ট ছিল না, তবু আমরা খুব কাছাকাছি ছিলাম। এখন একসঙ্গে থাকতে হবে, আত্মসমালোচনাও দরকার এবং জেতার মানসিকতা ধরে রাখতে হবে। সামনে আবার অ্যাওয়ে ম্যাচ, বুধবার বিলবাওতে সুযোগ আছে।”

ম্যাচে রদ্রিগোকে বক্সে ফাউল করা নিয়ে ভিএআর না দেখায় কিছুটা বিস্ময়ও প্রকাশ করেন আলোনসো, “আমি ঘটনাটা দেখিনি, কিন্তু শুনেছি ভিএআর দেখতে পারত। এমন মুহূর্তগুলোই অনেক সময় ম্যাচের ভাগ্য বদলে দেয়।” 

ঢাকা/আমিনুল

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ফ টবল

এছাড়াও পড়ুন:

রাজবাড়ী আ.লীগ নেতা ইরাদত আলীর পরিবারের ৬৫ কোটি টাকার সম্পত্তি ক্রোকের আদেশ

রাজবাড়ী জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক কাজী ইরাদত আলী এবং তার স্ত্রী, ছেলে, মেয়ে ও জামাতার অবৈধভাবে অর্জিত ৬৫ কোটি ৬৫ লাখ ৫৫ হাজার ৮৬৩ টাকার সম্পত্তি ক্রোকের আদেশ দিয়েছেন বিশেষ জজ আদালত।

দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) ফরিদপুর জেলা কার্যালয়ের পক্ষে পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) অ্যাডভোকেট বিজন কুমার বোসের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে সোমবার (১ ডিসেম্বর) রাজবাড়ীর বিশেষ জজ আদালতের বিচারক মো. আনিসুর রহমান এ আদেশ দেন। 

আরো পড়ুন:

নোয়াখালীতে ৯ কোটি টাকা আত্মসাৎ, ব্যাংকের ব্যবস্থাপক গ্রেপ্তার

ঝালকাঠি সদর হাসপাতালের সাবেক তত্ত্বাবধায়কের বিরুদ্ধে মামলা

দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয়, ফরিদপুরের উপ-পরিচালক মোস্তাফিজুর রহমান মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইনে কাজী ইরাদত আলীসহ তার পরিবারের সদস্যদের বিষয়ে অনুসন্ধান শুরু করেন। প্রাথমিক অনুসন্ধানে কাজী ইরাদত আলী, তার স্ত্রী রাবেয়া পারভীন, ছেলে কাজী রাকিবুল ইসলাম শান্তনু, মেয়ে কাজী সিরাজুম মনিরা ও জামাতা মো. নুরুল ইসলামের বিরুদ্ধে অবৈধভাবে ৬৫ কোটি ৬৫ লাখ ৫৫ হাজার ৮৬৩ টাকার সম্পদ অর্জনের তথ্য পায় দুদক।

সোমবার দুপুরে রাজবাড়ী জজ আদালত প্রাঙ্গণে প্রেস ব্রিফিংয়ে পিপি সাংবাদিকদের এসব তথ্য জানিয়েছেন। 

কাজী ইরাদত আলীর পরিবারের সদস্যদের অবৈধভাবে অর্জিত সম্পদের মধ্যে রাজবাড়ী গোল্ডেশিয়া জুট মিল, পেট্রোল পাম্প, রাজধানীর বসুন্ধরা আবাসিক এলাকায় বহুতল ভবনসহ বিভিন্ন সম্পদ আছে।

ঢাকা/রবিউল/রফিক

সম্পর্কিত নিবন্ধ