প্রশাসনে কর্মরত ২২ কর্মকর্তাকে সহকারী সচিব (ক্যাডার বহির্ভূত) পদে পদোন্নতি দিয়েছে সরকার।

সোমবার (১ ডিসেম্বর) জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সচিবালয় শাখা থেকে এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়।

আরো পড়ুন:

সচিবালয়ে কর্মরত ঠাকুরগাঁও কল্যাণ পরিষদের নতুন কমিটি

ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে জাতীয় নির্বাচন: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

সিনিয়র সহকারী সচিব শিফা নুসরাতের সই করা ওই প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশন সচিবালয়ের স্মারকে প্রদানকৃত পরামর্শের পরিপ্রেক্ষিতে বর্ণিত কর্মকর্তাদের জাতীয় বেতন স্কেল, ২০১৫ অনুযায়ী ৯ম গ্রেডভুক্ত (২২,০০০-৫৩,০৬০) সহকারী সচিব (ক্যাডারবহির্ভূত) পদে পদোন্নতি প্রদান করে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের বিশেষ ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা পদে নিয়োগ করা হলো।

যথাযথ কর্তৃপক্ষের অনুমোদনক্রমে জারি করা এ আদেশ অবিলম্বে কার্যকর হবে বলেও প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ রয়েছে।

পদোন্নতিপ্রাপ্ত কর্মকর্তারা হলেন-স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের প্রশাসনিক কর্মকর্তা মো.

শরীফ উল্লাহ, মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রশাসনিক কর্মকর্তা মো. মাইন উদ্দিন, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের প্রশাসনিক কর্মকর্তা মো. আবদুল হাই, শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের প্রশাসনিক কর্মকর্তা মো. গোলজার আলম, মোহাম্মদ শাহীনুর ইসলাম ও বদরুন্নাহার, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের প্রশাসনিক কর্মকর্তা বিমল চন্দ্র তালুকদার ও ফাতেমা বেগম, নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের ব্যক্তিগত কর্মকর্তা মো. সেকান্দার আলী খান ও আবু নাসের এবং পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের প্রশাসনিক কর্মকর্তা মো. আব্দুল গফুর সরদার।

এছাড়া পদোন্নতিপ্রাপ্ত অন্যরা হলেন প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের ব্যক্তিগত কর্মকর্তা মো. আবুল কালাম আজাদ, মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের প্রশাসনিক কর্মকর্তা শিকদার মো. নসরত আলী, প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের প্রশাসনিক কর্মকর্তা মো. ভাষানী মির্জা, মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের ব্যক্তিগত কর্মকর্তা মো. আবুল কালাম আজাদ, গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের প্রশাসনিক কর্মকর্তা শামছুন্নাহার বেগম ও মোল্যা খসরুজ্জামান, ভূমি মন্ত্রণালয়ের ব্যক্তিগত কর্মকর্তা প্রদীপ কুমার বিশ্বাস, মল্লিকা খাতুন ও মোহাম্মদ রাজিউর রহমান, পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের প্রশাসনিক কর্মকর্তা মো. সাফায়েত হোসেন এবং মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের ব্যক্তিগত কর্মকর্তা মো. ইমদাদুল ইসলাম।

রবিবার জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের পৃথক এক প্রজ্ঞাপনে অতিরিক্ত সচিব মো. ফিরোজ সরকারকে সচিব পদে পদোন্নতি দিয়ে খাদ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব হিসেবে নিয়োগ দিয়েছে সরকার। জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন নিয়োগ-১ শাখা থেকে এ বিষয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়।

ঢাকা/আসাদ/সাইফ

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ত কর মকর ত সরক র

এছাড়াও পড়ুন:

ভোলায় সাগরে মাছ ধরতে গিয়ে নিখোঁজ ১৩ জেলে ভারতের কারাগারে বন্দী

সাগরে মাছ ধরতে গিয়ে ২০ দিন ধরে নিখোঁজ ভোলার লালমোহনের ১৩ জেলের খোঁজ মিলেছে। আজ সোমবার দুপুরে পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে ভিডিও কলে কথা বলেন তাঁরা। হঠাৎ বিকল হয়ে যাওয়া তাঁদের ট্রলার স্রোতের টানে ভারতের সীমানায় ঢুকে পড়ে। বর্তমানে তাঁরা পশ্চিমবঙ্গের একটি জেলে আটক রয়েছেন বলে ভিডিও কলে জানিয়েছেন।

ভোলার লালমোহন উপজেলার ধলীগৌড়নগর ইউনিয়নে ‘মা বাবার দোয়া’ নামের একটি ট্রলার গত ১০ নভেম্বর রাতে ১৩ জন জেলে নিয়ে চরফ্যাশন উপজেলার সামরাজ ঘাট থেকে সাগরে মাছ শিকারের উদ্দেশ্যে ছেড়ে যায়। পাঁচ দিন পরে ফিরে আসার কথা থাকলেও ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত তাঁদের কোনো খোঁজ না মেলায় পরিবারগুলো হতাশ হয়ে পড়ে।

নিখোঁজ জেলেরা হলেন ধলীগৌরনগর ইউনিয়নের চরকালাচাঁদ গ্রামের মো. সাব্বির হোসেন, কুলচড়া গ্রামের মো. হেলাল উদ্দিন, মো. শামীম, মাসুদুর রহমান, মো. খোকন, মো. সজিব, হরধরিঞ্জ গ্রামের মো. জাহাঙ্গীর আলম, ভেদুরিয়া গ্রামের মো. নাছির, ধলীগৌরনগর গ্রামের মো. আলম, মো. ফারুক মাঝি, মো. মাকসুদুর রহমান, মোহাম্মদ ফারুক ও আব্দুল মালেক।

জেলে মো. খোকনের স্ত্রী মোসাম্মত নিপা আক্তার কান্নাজড়িত কণ্ঠে বলেন, ‘১০ নভেম্বর আমার স্বামী সমুদ্রে যায়। আজ ভিডিওতে শুধু তার চোখের পানি দেখেছি। আমার একটা প্রতিবন্ধী ছেলে আর ছোট একটা মেয়ে সারা দিন বাবাকে ডাকতে ডাকতে কান্না করে। আমি নিজেও অসুস্থ, সন্তানসম্ভবা। সরকারের কাছে মিনতি—আমার স্বামীসহ সব জেলেকে ফিরিয়ে এনে দিন।’

জেলে মো. সাব্বির হোসেনের স্ত্রী সীমা আক্তার বলেন, ‘চার মাস হলো আমাদের বিয়ে হয়েছে। আজ দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে স্বামীর সঙ্গে কথা হয়েছে। কিছু বলতে পারেনি, শুধু কাঁদছিল। সবাইকে যেন দ্রুত দেশে আনা হয়, এই আবেদন করছি।’

নিখোঁজ জেলেদের পরিবারের দাবি, ভিডিও কলটি ভারতীয় পুলিশের সহায়তায় সম্ভব হয়েছে। কয়েক সেকেন্ডের মধ্যেই কান্নায় ভেঙে পড়েছিলেন জেলেরা। তাঁরা জানিয়েছেন, খাওয়াদাওয়াসহ অনেক কষ্টে তাঁদের দিন কাটছে। তাঁরা দ্রুত দেশে ফেরার আকুতি জানিয়েছেন স্বজনদের কাছে।

ট্রলারের প্রধান ফারুক মাঝির ছেলে আব্দুর রাজ্জাক বলেন, ১৩ জন জেলের কেউ না ফেরায় তাঁরা লালমোহন থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন। ফেসবুকে পোস্ট দিয়েছেন। ঘাটে ঘাটে খুঁজেছেন। সড়ক অবরোধ করে মানববন্ধন করেছেন। সব গণমাধ্যমে এসব সংবাদ প্রচার হয়েছে। অবশেষে খোঁজ পাওয়া গেছে।

লালমোহন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সিরাজুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, সাগরে মাছ শিকার করার সময় লালমোহনের জেলেদের ফিশিংবোট বিকল হয়ে যায়। ভাসতে ভাসতে ভারতের সীমানায় চলে গেলে ভারতের নৌবাহিনী তাঁদের আটক করে পশ্চিমবঙ্গের পুলিশের হাতে সোপর্দ করে। পুলিশ তাঁদের বিরুদ্ধে নিয়মিত মামলা করে জেলহাজতে পাঠিয়েছে। আজ সোমবার দুপুরের দিকে নিখোঁজ জেলেদের একজনের মুঠোফোনে ভিডিও কল দেন তাঁর চাচাতো ভাই। সেই সূত্র ধরে পশ্চিমবঙ্গের জেল-পুলিশের সহযোগিতায় নিখোঁজ জেলেদের সঙ্গে স্বজনেরা কথা বলে জানতে পারেন এসব ঘটনা। ওসি আরও বলেন, ‘আমরা ইমিগ্রেশনে চিঠি লিখেছি। পরবর্তীতে সরকার তাঁদের ফিরিয়ে আনার ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।’

সম্পর্কিত নিবন্ধ