Samakal:
2025-11-03@11:07:11 GMT

টিকার সংকটে উদ্বিগ্ন অভিভাবক

Published: 13th, January 2025 GMT

টিকার সংকটে উদ্বিগ্ন অভিভাবক

নবজাতককে টিকা দেওয়ার জন্য গত বৃহস্পতিবার স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে যান তাড়াশ পৌর এলাকার দীপা রানী মাল। তাঁকে জানানো হয়, সরকারিভাবে যে চারটি টিকা দেওয়া হয়, তার একটিরও সরবরাহ নেই। নির্ধারিত সময়ে শিশুকে টিকা দিতে পারবেন কিনা, এ নিয়ে দুশ্চিন্তায় আছেন দীপা।

দুশ্চিন্তায় আছেন ভাদাস মহল্লার মাহি পারভীনও। গতকাল সোমবার সন্তানকে নিয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এসে টিকা না দিয়েই বাড়ি ফিরে যাচ্ছিলেন। কথা হলে আক্ষেপ করে বলেন, সময়মতো টিকা দিতে পারলাম না। বাচ্চার কোনো ক্ষতি হয়ে যায় কিনা, দুশ্চিন্তায় আছি। 
স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ইপিআইয়ের ভারপ্রাপ্ত টেকনিশিয়ান আবুল কালাম আজাদ জানান, বছরের শেষে এসে ফুরিয়ে গেছে সরকারি সরবরাহের টিকা। ডিসেম্বরের শুরু থেকেই টিকাস্বল্পতা দেখা দিয়েছে। নতুন সরবরাহ না আসা পর্যন্ত এ সমস্যা মিটবে না।

টিকা সংকটের কথা স্বীকার করেছেন জেলা ইপিআই সুপারিনটেনডেন্ট মোহাম্মদ মোতালেব হোসেন। তাঁর ভাষ্য, ঢাকার মহাখালী ইপিআই কেন্দ্র থেকে টিকা সরবরাহ হয়। গত দুই মাসে চার ধরনের টিকা সরবরাহ করা হয়নি। এক মাসের মধ্যে টিকা আসবে। তখন এ সংকট থাকবে না।
সম্প্রসারিত টিকাদান কর্মসূচির (ইপিআই) আওতায় জন্মের পর থেকে ২৩ মাস বয়সের মধ্যে ১০টি বিভিন্ন রোগের প্রতিষেধক হিসেবে শিশুদের সাত ধরনের টিকা দেওয়া হয়। টিকাগুলো হলো– বিসিজি, ওপিডি বা পোলিও, আইপিভি, পিসিভি, পেন্টা ভ্যালেন্ট, এমআর-১ ও এমআর-২। কিন্তু এক মাস ধরে তাড়াশ উপজেলায় বিসিজি, পেন্টা ভ্যালেন্ট, ওপিডি ও এমআর (হাম ও রুবেলা) টিকার সংকট দেখা দিয়েছে। প্রতিদিন সরকারি হাসপাতালসহ বিভিন্ন কেন্দ্রে গিয়ে টিকা না পেয়ে হতাশ হয়ে বাড়ি ফিরে যাচ্ছেন শিশুদের মা ও স্বজনরা। নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে শিশুদের টিকা দিতে না পারায় তারা উদ্বিগ্ন। ইপিআই টিকাদানকারী স্বাস্থ্য সহকারী ও সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সঙ্গে প্রায়ই বাগ্‌বিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়ছেন টিকাবঞ্চিত শিশুর অভিভাবকরা। 
হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার স্থায়ী টিকাদান কেন্দ্রে সপ্তাহে গড়ে ৪৫ থেকে ৫০ জন এবং ১৯২টি অস্থায়ী কেন্দ্রে সপ্তাহের চার দিন ৪২০ থেকে ৪৬০ জন শিশুকে টিকা দেওয়া হয়। ঢাকার মহাখালী থেকে জেলা সিভিল সার্জন অফিসে আসে টিকাগুলো। এরপর উপজেলা পর্যায়ে সরবরাহ করে হয়ে থাকে। চলতি মাসে টিটি ও আইপিভি টিকা চাহিদামাফিক সরবরাহ পেলেও শিশুদের জন্য প্রয়োজনীয় চারটি টিকা সরবরাহ করা হচ্ছে না। এ কারণে শিশুদের টিকা দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না বলে জানায় সূত্রটি।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কর্মকর্তা এরফান আহমেদ বলেন, দূরদূরান্ত থেকে অভিভাবকরা শিশুদের নিয়ে আসেন। এরপর যখন শোনেন টিকা নেই, তখন খেপে যান। উদ্বিগ্ন 
হওয়ার কিছু নেই। চাহিদা পাঠানো হয়েছে। এক সপ্তাহের মধ্যেই টিকার সরবরাহ পাওয়া যাবে বলে জানান এ কর্মকর্তা। 
সোমবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে সিরাজগঞ্জ সিভিল সার্জন কর্মকর্তা মো.

নুরুল আমীন উপজেলা ৫০ শয্যা হাসপাতাল পরিদর্শন করেন। টিকা সংকটের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি ক্ষিপ্ত হয়ে বলেন, ‘আপনি এখান থেকে চলে যান। সিরাজগঞ্জ আমার অফিসে আসেন, কথা হবে।’ 
 

উৎস: Samakal

এছাড়াও পড়ুন:

নির্বাচনের দিন অমোচনীয় কালি সরবরাহ না হলে ভোট গ্রহণ বন্ধ থাকবে: ছাত্রদল

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (জকসু) নির্বাচনে অমোচনীয় কালি সরবরাহ না করলে ভোট গ্রহণ বন্ধ থাকবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদলের নেতারা। এ ছাড়া এমফিল কোর্সে অধ্যয়নরত শিক্ষার্থীদের ভোটার ও প্রার্থী হওয়ার যোগ্যতা না দিয়ে ইচ্ছাকৃতভাবে ছাত্রদলকে ভোট প্রক্রিয়া থেকে বাদ দেওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে বলেও অভিযোগ করেছেন তাঁরা।

রোববার উপাচার্যের সভাকক্ষে রাজনৈতিক ও সক্রিয় সংগঠনের নেতাদের সঙ্গে অনুষ্ঠিত জকসু ও হল সংসদ নির্বাচন ২০২৫–এর আচরণবিধিবিষয়ক এক মতবিনিময় সভায় ছাত্রদলের নেতারা এমন মন্তব্য করেন।

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদলের সদস্যসচিব শামসুল আরেফিন বলেন, ‘নির্বাচনে যদি কোনো ধরনের অনিয়মের ঘটনা ঘটে, তাহলে আমরা একচুল ছাড় দেব না। আমি প্রতিজ্ঞা করছি, যদি কোনো ধরনের অনিয়ম হয়— কোনো ছাড় হবে না। নির্বাচনের সময় অমোচনীয় কালি ব্যবহার করতে হবে। যদি নির্বাচন কমিশন অমোচনীয় কালি ব্যবহার করতে ব্যর্থ হয়, তাহলে ভোট গ্রহণ বন্ধ থাকবে।’

ভোটের স্বচ্ছতা নিশ্চিত করতে ‘ম্যানুয়ালি’ ভোট গণনার দাবি জানিয়ে শামসুল আরেফিন বলেন, ‘কত ব্যালট ছাপানো হলো, কত ভোট গণনা হলো, কত ব্যালট নষ্ট হলো—এসব তথ্য স্বচ্ছতার সঙ্গে প্রকাশ করতে হবে। কারণ, আমরা ডাকসুতে ব্যালট কেলেঙ্কারির অভিযোগ সম্পর্কে জানি।’

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদলের আহ্বায়ক মেহেদী হাসান অভিযোগ করেন, কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদ বিধিমালায় এমফিল শিক্ষার্থীদের ভোটার ও প্রার্থী হওয়ার যোগ্যতা না দিয়ে ছাত্রদলকে ‘মাইনাস’ করার একটি মাস্টারপ্ল্যান করা হয়েছে। তিনি বলেন, ‘জকসু গঠন ও পরিচালনা বিধিমালায় বলা হয়েছে, তফসিল ঘোষণার পর নিয়মিত শিক্ষার্থী ভোটার কিংবা প্রার্থী ছাড়া কেউ বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রবেশ করতে পারবে না। অন্যদিকে এমফিল শিক্ষার্থীদের ভোটার ও প্রার্থীর যোগ্যতা না দিয়ে আমাদের মাইনাস করা ছিল মাস্টারপ্ল্যান—আর সেই মাস্টারপ্ল্যান সফল হয়েছে।’

প্রধান নির্বাচন কমিশনার অধ্যাপক মোস্তফা হাসানের সভাপতিত্বে এ মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে উপস্থিত ছিলেন উপাচার্য রেজাউল করিম, প্রক্টর, সিন্ডিকেটের সদস্য, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদ ও হল শিক্ষার্থী সংসদ নির্বাচন ২০২৫-এর নির্বাচন কমিশনার এবং বিশ্ববিদ্যালয়ে সক্রিয় বিভিন্ন সংগঠনের নেতারা।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • দুই সপ্তাহের মধ্যে তেহরানে সুপেয় পানি ফুরিয়ে যেতে পারে
  • চলন্ত অবস্থায় বৈদ্যুতিক গাড়ি চার্জ করতে সক্ষম সড়ক চালু ফ্রান্সে
  • জ্বালানি খাতে দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা প্রয়োজন
  • বাজারে আগাম সবজি আসতে দেরি, দাম চড়া
  • নির্বাচনের দিন অমোচনীয় কালি সরবরাহ না হলে ভোট গ্রহণ বন্ধ থাকবে: ছাত্রদল
  • যশোরে জিআই পণ্য খেজুর গুড় তৈরির রস সংগ্রহে গাছ প্রস্তুতির উদ্বোধন
  • টমাহক কত দূরে আঘাত হানতে পারে, রাডারে কেন ধরা পড়ে না
  • সামুদ্রিক মাছে ভরপুর আড়ত, দাম কেমন
  • যুক্তরাষ্ট্রকে পারমাণবিক অস্ত্র পরীক্ষার নির্দেশে আতঙ্ক-উত্তেজনা, ট্রাম্প আসলে কী চান
  • ইউক্রেনকে টমাহক ক্ষেপণাস্ত্র দিতে পেন্টাগনের সায়, চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবেন ট্রাম্প