ঈদের পর ঢিলেঢালা বাজার, পণ্যের দামও কমেছে
Published: 13th, June 2025 GMT
কোরবানি ঈদের চার দিন পরেও নিত্যপণ্যের বাজারে বেশ ঢিলেঢালা ভাব দেখা গেছে। বাজারে ক্রেতার উপস্থিতি যেমন কম, অন্যদিকে অনেক দোকানপাট বন্ধ রয়েছে। এ ছাড়া ঈদের আগমুহূর্তে মুরগি, শসাসহ কিছু পণ্যের যে দাম বেড়েছিল, সেটিও কমেছে।
গত শনিবার ঈদুল আজহা বা কোরবানির ঈদ অনুষ্ঠিত হয়। এবারের ঈদে টানা ১০ দিনের ছুটি রয়েছে, যা শেষ হবে ১৪ জুন শনিবার। লম্বা এই ছুটিতে যাঁরা রাজধানীর বাইরে গেছেন, তাঁদের অনেকে এখনো ঢাকায় ফেরেননি। সবজি, মাছ ইত্যাদি ছাড়া অন্যান্য ভোগ্যপণ্যের সরবরাহ–শৃঙ্খলও সেভাবে সচল হয়নি।
বিক্রেতারা জানান, ক্রেতা কম থাকায় গত কয়েক দিনেই খুবই ঢিলেঢালাভাবে বিক্রি হয়েছে। তবে আজ শুক্রবার থেকে বেচাকেনা ভালোভাবে শুরু হবে বলে আশা করছেন তাঁরা। গতকাল বৃহস্পতিবার রাজধানীর মোহাম্মদপুর কৃষি মার্কেট, টাউন হল বাজার ও কারওয়ান বাজার ঘুরে এবং বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে এসব তথ্য জানা গেছে।
কোরবানির ঈদের আগে হঠাৎ বাজারে শসা, কাঁচা মরিচ, গাজর, টমেটো ও লেবুর দাম বেড়ে গিয়েছিল। মূলত ওই সময় এসব পণ্যের চাহিদার তুলনায় সরবরাহ কম থাকায় দাম বেড়েছিল। তবে ঈদের পরে সেই দাম কমেছে। গতকাল বাজারে প্রতি কেজি শসা ৫০ থেকে ৬০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। ঈদের আগে শসার কেজি ছিল ১০০ থেকে ১২০ টাকা। কোথাও এর চেয়ে বেশি দামেও শসা বিক্রি হয়েছিল। বাজারে গতকাল প্রতি কেজি কাঁচা মরিচ বিক্রি হয়েছে ৫০-৬০ টাকায়, যা ঈদের আগে ১২০ থেকে ১৬০ টাকা ছিল। সালাদ পণ্যের মধ্যে টমেটোর দাম এখনো বেশি রয়েছে। গতকাল পর্যন্ত প্রতি কেজি টমেটো বিক্রি হয়েছে ১০০-১২০ টাকায়, যা ঈদের আগেও একই ছিল।
বাজারে অন্যান্য সবজির দামও স্থিতিশীল রয়েছে। অধিকাংশ সবজিই ৪০ থেকে ৬০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়েছে। যেমন লাউ, পেঁপে, পটোল, চিচিঙ্গা, ঝিঙে, ধুন্দুল প্রভৃতি সবজি ৪০-৫০ টাকায় এবং বরবটি, ঢ্যাঁড়স, কাঁকরোল, করলা, বেগুন প্রভৃতি সবজি ৫০-৬০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। এ ছাড়া প্রতি কেজি আলু ২০-২২ টাকা ও পেঁয়াজ ৫০-৬০ টাকায় বিক্রি হয়েছে।
কোরবানি ঈদের পরপর বাজারে গরু, খাসি ও মুরগির মাংসের চাহিদা তুলনামূলক কম। এ কারণে মাংসের দোকানগুলোতে ক্রেতাদের উপস্থিতিও কম দেখা গেছে। ঈদের আগে মুরগির দাম বেড়েছিল, সেটি কমেছে। তবে গরু ও খাসির দাম আগের মতোই রয়েছে। গতকাল প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগি ১৭০-১৮০ টাকা ও সোনালি মুরগি ২৫০-৩০০ টাকার মধ্যে বিক্রি হয়েছে। ঈদের আগে এই দাম কেজিতে ২০-৩০ টাকা বেশি ছিল। আর ফার্মের মুরগির ডিমের দাম আগের মতোই ডজন ১৩০ টাকা রয়েছে। মোহাম্মদপুর কৃষি মার্কেটে গরুর মাংস বিক্রেতা মো.
মাছের বাজারেও কমসংখ্যক ক্রেতা দেখা গেছে। অধিকাংশ মাছের দাম কিছুটা কমেছে। গতকাল প্রতি কেজি চাষের রুই ৩২০-৩৮০
টাকা, তেলাপিয়া ২২০-২৪০ টাকা, পাঙাশ ২০০-২৩০ টাকা, কই ২৩০-২৫০ টাকা, চিংড়ি ৭০০-৮৫০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। আকারভেদে ইলিশের দামও কেজিতে ১০০-৩০০ টাকার মতো কমেছে।
অন্যান্য মুদিপণ্যের মধ্যে চাল, ডাল, তেল প্রভৃতি আগের দামেই বিক্রি হতে দেখা গেছে। বর্তমানে বাজারে ডায়মন্ড, মঞ্জুর, সাগরসহ অধিকাংশ মিনিকেট চাল প্রতি কেজি ৭২-৭৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। আর প্রতি লিটার বোতলজাত সয়াবিন তেলের দাম রাখা হচ্ছে ১৮৯ টাকা।
রাজধানীর মোহাম্মদপুর টাউন হল বাজারে কথা হয় একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা সাব্বির আলমের সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘ঈদের ছুটি শেষে গতকাল সকালেই ঢাকায় ফিরেছি। বাসায় মাছ, মাংস আছে; শুধু সবজি কিনতে বাজারে এসেছি।’
উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ৬০ ট ক য় গতক ল প ক রব ন
এছাড়াও পড়ুন:
পায়রা বন্দরসহ দুই প্রকল্পের ক্রয় প্রস্তাব অনুমোদন
পায়রা বন্দরের জন্য সংশ্লিষ্ট পরিসেবাসহ দুটি শিপ টু শোর ক্রেন সরবরাহ এবং নারায়ণগঞ্জের খানপুরে অভ্যন্তরীণ কন্টেইনার এবং বাল্ক টার্মিনাল নির্মাণ প্রকল্পে কাজের ক্রয় প্রস্তাবে অনুমোদন দিয়েছে সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটি। প্রস্তাব দুটিতে ব্যয় হবে ৪৫০ কোটি ১১ লাখ ১০ হাজার ২৫৪ টাকা।
মঙ্গলবার (২৯ জুলাই) সচিবালয়ে মন্ত্রি পরিষদ বিভাগের সম্মেলন কক্ষে অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় কমিটির সদস্য ও উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
সভা সূত্রে জানা যায়, পায়রা সমুদ্র বন্দরের প্রথম টার্মিনাল এবং আনুষঙ্গিক সুবিধাদি নির্মাণ (২য় সংশোধিত)’ প্রকল্পের আওতায় সংশ্লিষ্ট পরিসেবাসহ দুটি শিপ টু শোর ক্রেন সরবরাহ এবং স্থাপন কাজের জন্য দরপত্র আহ্বান করা হলে ৪টি প্রতিষ্ঠান দরপ্রস্তাব দাখিল করে। দরপত্রের সব প্রক্রিয়া শেষে টিইসি কর্তৃক সুপারিশকৃত রেসপনসিভ সর্বনিম্ন দরদাতা প্রতিষ্ঠান যৌথভাবে (১) এইচপি এবং (২) এনজে, চায়না প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করবে। এতে ব্যয় হবে ১৬২ কোটি ২ লাখ ১১ হাজার ৫৬৮ টাকা।
নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের ‘নারায়ণগঞ্জের খানপুরে অভ্যন্তরীণ কন্টেইনার এবং বাল্ক টার্মিনাল নির্মাণ (১ম সংশোধিত)’ প্রকল্পের প্যাকেজ নম্বর দুইয়ের পূর্ত কাজের ক্রয় প্রস্তাবে অনুমোদন দিয়েছে কমিটি। এ জন্য উন্মুক্ত দরপত্র পদ্ধতিতে দরপত্র আহ্বান করা হলে ২টি প্রতিষ্ঠান দরপত্র দাখিল করে। দরপত্রের সকল প্রক্রিয়া শেষে টিইসি কর্তৃক সুপারিশকৃত রেসপনসিভ সর্বনিম্ন দরদাতা প্রতিষ্ঠান যৌথভাবে (১) স্পেক্ট্রা ইঞ্জিনিয়ার্স এবং (২) এসএস রহমান ইন্টারন্যানাল লিমিটেড প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করবে। এতে ব্যয় হবে ২৮৮ কোটি ৮ লাখ ৯৮ হাজার ৬৮৬ টাকা।
ঢাকা/হাসনাত//