কক্সবাজারের টেকনাফে অভিযান চালিয়ে ২ কেজি ১৩০ গ্রাম ক্রিস্টালমেথ (আইস), ১০ হাজার পিস ইয়াবা ও গাঁজাসহ ৬ জনকে আটক করেছে বিজিবি।

সোমবার (১৫ জানুয়ারি) দিবাগত রাতে বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে তাদেরকে আটক করা হয়।

আটকেরা হলেন- মো. ফয়সাল (২০), মো. আরমান (২০), জসিম উদ্দিন (২১), মো. বুখার উদ্দিন (৩০), মো. শফিক উদ্দিন (২০) ও মো.

কামাল হোসেন (রোহিঙ্গা)।

বিজিবির টেকনাফ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফট্যান্ট কর্নেল আশিকুর রহমান মাদকসহ ৬ জনকে আটকের বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

তিনি জানান, সম্প্রতি নাফ নদীর মোহনা দিয়ে সাগর পথে মাদক পাচার ও মানব পাচার ঠেকাতে বিজিবি নজরদারি বাড়ায়। সোমবার রাতে টেকনাফ সাগরে বিশেষ অভিযান পরিচালনা করা হয়। এ সময় একটি নৌকাটি তল্লাশি করে ২ কেজি ১৩০ গ্রাম ক্রিস্টালমেথ (আইস), ১০ হাজার পিস ইয়াবা, কিছু গাঁজা এবং ৪টি মোবাইল ফোন জব্দ করা হয়। 

তিনি আরো জানান, আটক হওয়াদের বিরুদ্ধে নিয়মিত মামলার মাধ্যমে জব্দকৃত মাদক, মোবাইল ফোন এবং নৌকাটি টেকনাফ থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে। 

সীমান্ত সুরক্ষা ও মাদকদ্রব্য পাচার রোধে বিজিবি সবসময় সতর্ক ও সক্রিয় রয়েছে। এ ধরনের অভিযান ভবিষ্যতেও অব্যাহত থাকবে বলেও জানান বিজিবির এই কর্মকর্তা।

ঢাকা/তারেকুর/ইমন

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

পুরান ঢাকায় অস্ত্র–মাদকসহ গ্রেপ্তার ৩, মাদক ব্যবসা টেকাতে অস্ত্রবাজি চলত, বলছে পুলিশ

রাজধানীর পুরান ঢাকার কদমতলী এলাকায় অভিযান চালিয়ে তিনটি বিদেশি পিস্তলসহ তিনজনকে গ্রেপ্তারের কথা জানিয়েছে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা বিভাগ (ডিবি)। এ সময় তাঁদের কাছে থাকা মাদকও জব্দ করা হয়।

আজ মঙ্গলবার ডিএমপির মিডিয়া সেন্টারে সংবাদ সম্মেলন করে ডিবি এসব তথ্য জানায়।

গ্রেপ্তার তিনজন হলেন জাহাঙ্গীর আলম টিটু (৩৬), আবদুর রাজ্জাক শানু (৩৮) ও মো. মামুন (৩৭)।

গতকাল সোমবার কদমতলী এলাকা থেকে এই তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। এ সময় তাঁদের কাছ থেকে ৩টি বিদেশি পিস্তল, ৩টি ম্যাগাজিন, ৬০টি গুলি, ৮০০টি ইয়াবা বড়ি ও সাড়ে ৮ কেজি গাঁজা উদ্ধার করা হয়।

সংবাদ সম্মেলনে ডিবি রমনা বিভাগের উপপুলিশ কমিশনার আমীর খসরু বলেন, গ্রেপ্তার তিনজনই এলাকায় সন্ত্রাসী ও মাদক ব্যবসায়ী হিসেবে পরিচিত। তাঁরা মাদকের ব্যবসা নিয়ন্ত্রণ ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড পরিচালনার জন্য এসব অস্ত্র ব্যবহার করতেন। তাঁদের আস্তানা থেকে ৮০০টি ইয়াবা ও সাড়ে ৮ কেজি গাজা উদ্ধার করা হয়েছে।

আমীর খসরু আরও বলেন, জুলাই গণ–অভ্যুত্থানের সময় পুলিশসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর লুট হওয়া অস্ত্রের সঙ্গে জব্দ অস্ত্রের মিল আছে কি না, তা মিলিয়ে দেখা হবে। অস্ত্রগুলো ভাড়ায় ব্যবহৃত হয়েছে কি না, সেটি নিয়েও তদন্ত করা হবে।

পুলিশের এই কর্মকর্তা বলেন, গ্রেপ্তার ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে দুটি করে অস্ত্র ও মাদক মামলা আছে। এ ছাড়া এ ঘটনায় কদমতলী থানায় দুটি মামলা হয়েছে।

সাম্প্রতিক অপরাধ পরিস্থিতি সম্পর্কে আমীর খসরু বলেন, সাম্প্রতিক সময়ের সব কটি অপরাধের ঘটনা ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ সফলভাবে উদ্‌ঘাটন করতে পেরেছে। অস্ত্রও উদ্ধার করেছে। সর্বশেষ পুরান ঢাকায় যে খুনের ঘটনা ঘটেছে, সেখানেও অস্ত্র উদ্ধার হয়েছে। আসামিরা গ্রেপ্তার হয়েছেন।

এর আগে হাইকোর্ট এলাকা থেকে ২৬ টুকরা লাশ উদ্ধারের ঘটনাও উদ্‌ঘাটন করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন আমীর খসরু। তিনি বলেন, পুলিশের পক্ষ থেকে সর্বোচ্চ চেষ্টা থাকে, কোনো ঘটনা ঘটলে নেপথ্যের কারণগুলো উদ্‌ঘাটন করে আনা।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • পুরান ঢাকায় অস্ত্র–মাদকসহ গ্রেপ্তার ৩, মাদক ব্যবসা টেকাতে অস্ত্রবাজি চলত, বলছে পুলিশ