অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে অ্যাশেজের প্রথম টেস্টের জন্য ১২ জনের দল ঘোষণা করেছে ইংল্যান্ড। পার্থের এই ম্যাচ দিয়ে শুরু হচ্ছে টেস্ট ক্রিকেটের সবচেয়ে পুরোনো মহারণ। প্রশ্ন হলো: ২১ নভেম্বর শুরু হতে যাওয়া এই টেস্টে ইংল্যান্ড কি তাদের পরিকল্পনামতো শুধুই পেসারদের নিয়ে আক্রমণ সাজাবে, নাকি শেষ মুহূর্তে যোগ হবে স্পিন?

আপাতত পেসার মার্ক উডের সঙ্গে স্পিনার শোয়েব বশিরকেও স্কোয়াডে রেখেছে ইংল্যান্ড। তবে ইংল্যান্ডের থিঙ্কট্যাংক—অধিনায়ক বেন স্টোকস এবং কোচ ব্রেন্ডন ম্যাককালামের মাথায় ঘুরছে অন্য চিন্তা। ইএসপিএনক্রিকইনফোর খবর অনুযায়ী, অ্যাশেজের সবচেয়ে দ্রুতগতির উইকেটে এবার পেস দিয়েই প্রতিপক্ষকে গুঁড়িয়ে দেওয়ার কৌশল সাজাচ্ছেন তাঁরা।

মার্ক উডকে বেশ ফিট মনে করা হচ্ছে। গত সপ্তাহে লায়নসের বিপক্ষে প্রস্তুতি ম্যাচে সামান্য চোট পেলেও তিনি এখন পুরোপুরি প্রস্তুত। বলা যায়, একাদশে উডের জায়গা প্রায় নিশ্চিত। কিন্তু পুরো আক্রমণ শুধুই পেসনির্ভর হবে কি না, সেই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য আরও কিছুটা সময় নিতে চায় ইংলিশ টিম ম্যানেজমেন্ট।

শোয়েব বশিরকে দলে টেনেছে ইংল্যান্ড.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

‘এই টয়লেটে আমিই যাইতে পারি না, বাচ্চা কীভাবে যাবে!’

ঢাকা জেলা ও দায়রা জজ আদালতের ভিড় তখন বাড়তে শুরু করেছে। হাতে ফাইল, বগলে বাচ্চা, মাথায় দুশ্চিন্তা—বিচারপ্রার্থীদের অপেক্ষার যেন শেষ নেই। দুই বছর ধরে বিচারের আশায় এ পথেই ঘুরছেন ৩০ বছর বয়সী ফাতেমা বেগম। যেদিন মামলার শুনানি থাকে, সেদিন সকাল নয়টার আগেই তাঁকে আদালতে পৌঁছাতে হয়। সারা দিন অপেক্ষা আর ভিড় ছাড়াও টয়লেট নিয়ে বিড়ম্বনায় পড়তে হয় তাঁকে।

গতকাল মঙ্গলবার আদালত প্রাঙ্গণে ফাতেমার সঙ্গে কথা হয়। এর আগের শুনানির দিনের অভিজ্ঞতা কথা জানিয়েছেন তিনি। ফাতেমা বলেন, ‘এখানকার টয়লেটের অবস্থা একেবারে নাজেহাল। অপরিষ্কার, দুর্গন্ধ, সিগারেটের টুকরা—যাওয়ার কোনো উপায় নেই। আমার চার বছর বয়সী মেয়ের সেদিন খুব টয়লেটের প্রয়োজন হয়। যেখানে আমিই যাইতে পারি না, বাচ্চা মেয়ে কীভাবে যাবে!’

পরে আইনজীবী সমিতির টয়লেট ব্যবহার করার অনুমতি নিয়ে তবেই মেয়েকে নিয়ে যেতে পেরেছেন বলে জানিয়েছেন ফাতেমা।

ফাতেমার মতো অভিজ্ঞতা আদালত প্রাঙ্গণে আসা প্রায় সব নারী বিচারপ্রার্থীরই আছে। বাসার বাইরে অন্য কোনো স্থানে দীর্ঘ সময় কাটাতে হলে বা দূর যাত্রায় টয়লেট নিয়ে এমন ভোগান্তির গল্প কম-বেশি সব নারীর আছে। এ নিয়ে মায়ের সঙ্গে শিশুদেরও ভুগতে হয়।

এখানকার টয়লেটের অবস্থা একেবারে নাজেহাল। অপরিষ্কার, দুর্গন্ধ, সিগারেটের টুকরা—যাওয়ার কোনো উপায় নেই। আমার চার বছর বয়সী মেয়ের সেদিন খুব টয়লেটের প্রয়োজন হয়। যেখানে আমিই যাইতে পারি না, বাচ্চা মেয়ে কীভাবে যাবে!—ফাতেমা বেগম

এমন প্রেক্ষাপটে আজ ১৯ নভেম্বর দেশে পালিত হচ্ছে বিশ্ব শৌচাগার দিবস। বিশ্বব্যাপী স্যানিটেশন সংকট এবং মানসম্পন্ন টয়লেটের ব্যবহার সম্পর্কে মানুষকে সচেতন করা; পয়োনিষ্কাশনের সংকট নিরসনে পদক্ষেপ নিতে উৎসাহিত করার লক্ষ্যে প্রতিবছর দিবসটি পালন করা হয়। এই দিনে নিরাপদ স্যানিটেশনের গুরুত্ব তুলে ধরা হয়, যা জনস্বাস্থ্য এবং পরিবেশ সুরক্ষার জন্য অত্যন্ত জরুরি।

নারী ও শিশুর জন্য টয়লেট ২৪ শতাংশ আদালতে

বাংলাদেশে নারী ও শিশুর ন্যায়বিচারে প্রবেশাধিকার নিশ্চিত করতে আদালত প্রাঙ্গণের পরিবেশ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তবে অধিকাংশ আদালতে এখনো নারীবান্ধব মৌলিক সুবিধা—যেমন আলাদা টয়লেট, ব্রেস্ট ফিডিং কর্নার (সন্তানকে মাতৃদুগ্ধ পানের স্থান) বা অপেক্ষার স্থান অপর্যাপ্ত ও অকার্যকর।

আদালত প্রাঙ্গণে বিচারপ্রার্থীদের দীর্ঘ সময় থাকতে হয়। সেখানে টয়লেট নিয়ে মানুষের যে বিড়ম্বনা, বিশেষ করে নারীদের যে কষ্ট, তা অবর্ণনীয়। আমার পরিচিত পরিসরে অনেককে (নারী) দেখেছি, যাঁরা আদালতে ভালো টয়লেট নেই বলে তাঁদের পেশা থেকে সরে এসেছেন। —হাসিন জাহান, ওয়াটারএইডের কান্ট্রি ডিরেক্টর

‘নারী ও শিশুবান্ধব আদালত পরিবেশ: মৌলিক অবকাঠামোর অভাব এখন ন্যায়বিচারে প্রবেশাধিকারের অন্তরায়’ শিরোনামে ব্র্যাকের এক গবেষণা প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দেশের ৬৪ জেলার মাত্র ২৪ শতাংশ আদালতে নারীদের জন্য আলাদা টয়লেটের ব্যবস্থা আছে। এর মধ্যেও অনেক টয়লেট তালাবদ্ধ, অচল বা ব্যবহারের অনুপযোগী।

২০২৩ সালের অক্টোবরে ৬৪ জেলার ১৯২টি আদালত পর্যবেক্ষণ করে সংস্থাটি। এর মধ্যে আছে জেলা ও দায়রা জজ আদালত, চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত এবং নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল।

সুপ্রিম কোর্টে টয়লেটের অবস্থা এখন আগের চেয়ে অনেকটাই উন্নত। আমরা বর্তমানে টয়লেটের পরিচ্ছন্নতাকে গুরুত্ব দিচ্ছি। চার-পাঁচ মাস আগে সুপ্রিম কোর্টে দুটি স্বাস্থ্যকর ওয়াশরুম এলাকা (জোন) করা হয়েছে। মূল ভবনে আরও তিনটি টয়লেট জোনের কাজ চলছে। আগামী এক মাসের মধ্যেই এই টয়লেটগুলো চালু হবে। যেখানে নারীদের জন্য আলাদা টয়লেট থাকছে।—মো. মোয়াজ্জেম হোছাইন, বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগের স্পেশাল অফিসার

ব্র্যাকের পর্যবেক্ষণে দেখা যায়, প্রতিদিন গড়ে ১৪০ জন নারী ও শিশু এসব আদালতে আসেন। কিন্তু বেশির ভাগ আদালতে তাঁদের জন্য প্রয়োজনীয় মৌলিক অবকাঠামো অনুপস্থিত। আবার কিছু কিছু আদালতে টয়লেট থাকলেও তা ব্যবহার উপযোগী নয়।

রক্ষণাবেক্ষণের অভাব

ছেলের মামলার কাজে ফরিদপুর থেকে প্রায়ই সুপ্রিম কোর্টে আসতে হয় ৫০ বছর বয়সী বিলকিস বেগমকে। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, ‘সুপ্রিম কোর্টের টয়লেটগুলো নোংরা। কাছাকাছি কোথায় ভালো টয়লেট আছে, তা জানি না। তাই বাধ্য হইয়া এখানেই যাইতে হয়।’

আজ ১৯ নভেম্বর দেশে পালিত হচ্ছে বিশ্ব শৌচাগার দিবস। বিশ্বব্যাপী স্যানিটেশন সংকট এবং মানসম্পন্ন টয়লেটের ব্যবহার সম্পর্কে মানুষকে সচেতন করা; পয়োনিষ্কাশনের সংকট নিরসনে পদক্ষেপ নিতে উৎসাহিত করার লক্ষ্যে প্রতিবছর এই দিবস পালন করা হয়। এই দিনে নিরাপদ স্যানিটেশনের গুরুত্ব তুলে ধরা হয়, যা জনস্বাস্থ্য এবং পরিবেশ সুরক্ষার জন্য অত্যন্ত জরুরি।

সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মাসুমা আক্তার প্রথম আলোকে বলেন, প্রতি তলায় নারী-পুরুষের আলাদা ওয়াশরুম আছে, কিন্তু রক্ষণাবেক্ষণ নেই। বেশির ভাগ সময় নারীদের ওয়াশরুম পুরুষেরাও ব্যবহার করেন। টয়লেটের সামনে নারী-পুরুষের নির্দেশিকা তুলে ফেলা হয়েছে। ওয়াশরুমগুলো অপরিচ্ছন্ন থাকে। এ কারণে অনেক নারীর প্রস্রাবে সংক্রমণের মতো রোগ হয়।

এসব ওয়াশরুম পরিষ্কার করার জন্য বরাদ্দ সরঞ্জামের অর্ধেকই চুরি হয়ে যায় বলেও মন্তব্য করেছেন এই আইনজীবী।

ঢাকার আদালতে অনেক টয়লেট আদালতকর্মীদের জন্য সংরক্ষিত এবং তালাবদ্ধ। বাকিগুলোর বেশির ভাগই অস্বাস্থ্যকর। কোথাও কোথাও টয়লেট ব্যবহার করতে হলে টাকা দিতে হয়। এ কারণে নারী বিচারপ্রার্থীরা আদালতে ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষা করার সময় মৌলিক এই প্রয়োজন মেটাতে না পেরে অস্বস্তিতে পড়েন।

মামলার কাজে গতকাল ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেটের আদালতে এসেছিলেন কেরানীগঞ্জের বাসিন্দা ৪৫ বছর বয়সী কোহিনূর বেগম। প্রথম আলোকে তিনি বলেন, ‘এইখানে টয়লেট মোটামুটি পরিষ্কার। কিন্তু টাকা দিতে হয়। এইখানে আরও টয়লেট আছে, যাইতে টাকা লাগে না, ওগুলা আবার নোংরা।’

ব্র্যাকের গবেষণায় বলা হয়েছে, রক্ষণাবেক্ষণ ও প্রশিক্ষিত কর্মীর অভাব এবং প্রশাসনের উদাসীনতার কারণে টয়লেটগুলো ব্যবহার অনুপযোগী থাকছে।

‘নারী ও শিশুবান্ধব আদালত পরিবেশ: মৌলিক অবকাঠামোর অভাব এখন ন্যায়বিচারে প্রবেশাধিকারের অন্তরায়’ শিরোনামে ব্র্যাকের এক গবেষণা প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দেশের ৬৪ জেলার মাত্র ২৪ শতাংশ আদালতে নারীদের জন্য আলাদা টয়লেটের ব্যবস্থা আছে। এর মধ্যেও অনেক টয়লেট তালাবদ্ধ, অচল বা ব্যবহারের অনুপযোগী।

ওয়াটারএইডের কান্ট্রি ডিরেক্টর হাসিন জাহান বলেন, ‘আদালতে প্রাঙ্গণে বিচারপ্রার্থীদের দীর্ঘ সময় থাকতে হয়। সেখানে টয়লেট নিয়ে মানুষের যে বিড়ম্বনা, বিশেষ করে নারীদের যে কষ্ট, তা অবর্ণনীয়। আমার পরিচিত পরিসরে অনেককে (নারী) দেখেছি, যাঁরা আদালতে ভালো টয়লেট নেই বলে তাঁদের পেশা থেকে সরে এসেছেন।’

হাসিন জাহান বলেন, পাবলিক টয়লেটগুলোর প্রধান সমস্যা রক্ষণাবেক্ষণের অভাব। এটার জন্য মডেল আছে। সিটি করপোরেশনের সঙ্গে এ নিয়ে কথা বলা হয়েছে। কর্তৃপক্ষের উচিত টয়লেটের পুরো ব্যবস্থাপনা বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কাছে দেওয়া এবং তাদের কাজের মূল্যায়নের (পাবলিক ফিডব্যাক) ভিত্তিতে চুক্তি নবায়ন করা।

বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গেছে, অপরিষ্কার টয়লেট ব্যবহারে মানুষের মূত্রনালির সংক্রমণ হয়। এ ছাড়া দীর্ঘ সময় একই ঘটনা ঘটতে থাকলে সেটা থেকে কিডনির সমস্যা হতে পারে বলে জানিয়েছেন হাসিন জাহান।

তবে পরিস্থিতি বদলাচ্ছে

সুপ্রিম কোর্টের মেইন বিল্ডিংয়ে চলতি বছর পুরুষ এবং অ্যানেক্স ভবনে একটি পুরুষ, একটি নারী ও একটি প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের জন্য ওয়াশ ব্লক পুনর্নির্মাণ করেছে ব্র্যাক।

ব্র্যাকের গবেষণায় বলা হয়েছে, রক্ষণাবেক্ষণ ও প্রশিক্ষিত কর্মীর অভাব এবং প্রশাসনের উদাসীনতার কারণে টয়লেটগুলো ব্যবহার অনুপযোগী থাকছে। নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের চিত্রও অনেকটা একই। এখানে ৮০ ভাগ জায়গায় নারীদের জন্য পৃথক টয়লেট বা মাতৃদুগ্ধ পান করানোর স্থান নেই। ৬৭ শতাংশ আদালতে সন্তানকে মাতৃদুগ্ধ পান করানোর স্থান আছে। তবে এর মধ্যে কার্যকর ৪৭ শতাংশ।

সংস্থার কমিউনিকেশন বিভাগ থেকে জানানো হয়েছে, সেখানে ওয়াশরুম দেখভালের দায়িত্বপ্রাপ্ত ব্যক্তি আছেন। যে কেউ ১০ টাকার বিনিময়ে এই টয়লেট ব্যবহার করতে পারেন। এ ছাড়া দেয়ালে টানানো নির্দেশনা অনুযায়ী কিউআর কোড স্ক্যান করে যে কেউ ১০ টাকা বিকাশসহ কয়েকটি মাধ্যমে পে করে টয়লেট ব্যবহার করতে পারবেন। এসব টয়লেটে গন্ধ পর্যবেক্ষণ করার জন্য অটো মনিটরিং ডিভাইস ও অটো ফ্লাশ বসানো আছে।

এ ছাড়া ব্র্যাকের উদ্যোগে ঢাকা জেলা ও দায়রা জজ আদালত ও নারায়ণগঞ্জ জেলা ও দায়রা জজ আদালতে দুটি করে মোট চারটি টয়লেট স্থাপনের কাজ নির্মাণাধীন।

সুপ্রিম কোর্টে টয়লেটের মান উন্নয়নে জোর দেওয়া হচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগের স্পেশাল অফিসার মো. মোয়াজ্জেম হোছাইন। প্রথম আলোকে তিনি বলেন, ‘সুপ্রিম কোর্টে টয়লেটের অবস্থা এখন আগের চেয়ে অনেকটাই উন্নত। আমরা বর্তমানে টয়লেটের পরিচ্ছন্নতাকে গুরুত্ব দিচ্ছি। চার-পাঁচ মাস আগে সুপ্রিম কোর্টে দুটি স্বাস্থ্যকর ওয়াশরুম এলাকা (জোন) করা হয়েছে। মূল ভবনে আরও তিনটি টয়লেট জোনের কাজ চলছে। আগামী এক মাসের মধ্যেই এই টয়লেটগুলো চালু হবে। যেখানে নারীদের জন্য আলাদা টয়লেট থাকছে।’

মোয়াজ্জেম হোছাইন আরও বলেন, তাঁদের মূল লক্ষ্য টয়লেটের পরিষ্কার–পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখা। পরিচ্ছন্নতাকর্মীরা এখন প্রতি ছয় ঘণ্টা পরপর টয়লেট পরিষ্কার করছেন এবং টয়লেট যেন ভেজা না থাকে, সেদিকে খেয়াল রাখছেন। কিছুদিনের মধ্যে আরও ভালো ফল পাওয়া যাবে বলে আশা করা যাচ্ছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ