দেশের বাজারে স্বর্ণের দামে বড় লাফ
Published: 19th, November 2025 GMT
দেশের বাজারে স্বর্ণের দাম কমেছিল আবারও বেড়েছে। ভালো মানের স্বর্ণ ভরিতে ২ হাজার ৬১২ টাকা বাড়ানো হয়েছে। এতে ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম দাঁড়িয়েছে ২ লাখ ৯ হাজার ৫২০ টাকা।
বুধবার (১৯ নভেম্বর) রাতে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানায় বাংলাদেশ জুয়েলার্স সমিতি (বাজুস)।
আরো পড়ুন:
স্বর্ণের দাম কমল
ধামরাইয়ের বাজারে বাড়ছে সবজির সরবরাহ, দাম অপরিবর্তিত
বাজুস জানায়, বৃহস্পতিবার থেকে নতুন দাম কার্যকর হবে। নতুন দাম অনুযায়ী, ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম হবে ২ লাখ ৯ হাজার ৫২০ টাকা, ২১ ক্যারেট স্বর্ণের দাম হবে ২ লাখ ৩ টাকা, ১৮ ক্যারেটের দাম হবে এক লাখ ৭১ হাজার ৪২৬ টাকা ও সনাতন পদ্ধতির ভরিপ্রতি স্বর্ণের দাম পড়বে এক লাখ ৪২ হাজার ৫৯২ টাকা।
বুধবার পর্যন্ত ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণ ২ লাখ ৬ হাজার ৯০৮ টাকা, ২১ ক্যারেট স্বর্ণ এক লাখ ৯৭ হাজার ৪৯৫ টাকা, ১৮ ক্যারেট এক লাখ ৬৯ হাজার ২৯১ টাকা ও সনাতন পদ্ধতির ভরিপ্রতি স্বর্ণ এক লাখ ৪০ হাজার ৭৬১ টাকায় বিক্রি হয়েছে।
এর আগে ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম দুই লাখ আট হাজার ২৭২ টাকা, ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি এক লাখ ৯৮ হাজার ৪০১ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি এক লাখ ৭০ হাজার ৩৯৯ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি সোনার দাম এক লাখ ৪১ হাজার ৭১৭ টাকায় বিক্রি হয়েছিল।
বাজুস জানিয়েছে, পরবর্তী ঘোষণা না দেওয়া পর্যন্ত এই নতুন দাম দেশের সব জুয়েলারি দোকানে কার্যকর থাকবে। তবে বিক্রয়মূল্যের সঙ্গে সরকার নির্ধারিত ৫ শতাংশ মূল্য সংযোজন কর (ভ্যাট) ও বাজুস নির্ধারিত ন্যূনতম ৬ শতাংশ মজুরি যোগ হবে। গয়নার ডিজাইন ও মানভেদে মজুরির পরিমাণে পরিবর্তন হতে পারে বলে জানিয়েছে সংগঠনটি।
ঢাকা/নাজমুল/সাইফ
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর স বর ণ র দ ম এক ল খ
এছাড়াও পড়ুন:
সলিলের গানের ভেতরেই ছিল মিছিলের স্লোগান
‘গণসংগীত মানুষের রক্তে আগুন জ্বেলে দিয়েছে, উজ্জীবিত করেছে, মুক্তির পথ দেখিয়েছে’—আজ শহীদ মিনারে এই উচ্চারণে আবারও ফিরে এলেন সলিল চৌধুরী। বুধবার, সন্ধ্যায় উদীচীর আয়োজনে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে অনুষ্ঠিত হলো কিংবদন্তি গণসংগীতকার সলিল চৌধুরীর জন্মশতবর্ষ উপলক্ষে বিশেষ আয়োজন ‘সতত সলিল’।
আলোচনা, গান, কবিতা ও নৃত্যে সজ্জিত এই আয়োজন ছিল একাধারে স্মরণ, শ্রদ্ধা ও চেতনার পুনর্জাগরণ। সভাপতিত্ব করেন উদীচী কেন্দ্রীয় সংসদের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি হাবিবুল আলম। আলোচনায় অংশ নেন লেখক–গবেষক ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সায়েম রানা এবং উদীচী কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক জামসেদ আনোয়ার। অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন সহসাধারণ সম্পাদক ইকবালুল হক খান।
সলিল চৌধুরী সম্পর্কে আলোচনা করতে গিয়ে আলোচকেরা বলেন, জাতির যে ঐতিহাসিক ধারাক্রম রয়েছে, সেই ধারার এক গুরুত্বপূর্ণ সময়ের একজন অন্যতম পুরোধা ব্যক্তি ছিলেন সলিল চৌধুরী। ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলন থেকে শুরু করে বাংলার মানুষের প্রতিটি লড়াই–সংগ্রামে গণসংগীত মানুষের রক্তে আগুন জ্বেলেছে, মানুষকে উজ্জীবিত করেছে, মানুষকে তার মুক্তির পথ দেখিয়েছে। সলিল চৌধুরী ছিলেন সেই গণসংগীতের একজন কিংবদন্তি কারিগর। তাঁর হাত ধরে গণসংগীত পেয়েছে এক নতুন মাত্রা। তিনি কবিতাকে, মিছিলের স্লোগানকে যেমন গানে রূপান্তর করেছেন, তেমনি তাঁর রচিত সংগীত হয়ে উঠেছে মিছিলের স্লোগান। বক্তারা আরও বলেন, ‘গণমানুষের মুক্তির বাণী নিয়ে যে গান, তা আমাদের যুগে যুগে রাষ্ট্রব্যবস্থায় শাসকশ্রেণি থেকে শুরু করে অনেকেরই পছন্দের নয়। তাই হয়তো আমাদের সমাজে গণসংগীত যথাযথ স্বীকৃতি পায়নি। কিন্তু তারপরও মানবমুক্তির প্রতিটি লড়াইয়ে, প্রতিটি সংগ্রামে গণসংগীত আমাদের শক্তি জোগায়, সাহস জোগায়। বাংলা আধুনিক গানের অবিস্মরণীয় সুরস্রষ্টা ও গণসংগীতের প্রবাদপ্রতিম ব্যক্তি সলিল চৌধুরীর তৈরি করা গণসংগীত সর্বকালের জন্য প্রাসঙ্গিক।’
আলোচনা শেষে আয়োজন মাতিয়ে তোলে সাংস্কৃতিক পরিবেশনা। বৃন্দগান পরিবেশন করে উদীচী সংগীত বিভাগ ও ‘কোরাস’। একক গান করেন তানভীর আলম সজীব এবং মনসুর আহমেদ। বৃন্দনৃত্য পরিবেশন করে স্পন্দন; একক নৃত্যে অংশ নেন আদৃতা আনোয়ার প্রকৃতি। আবৃত্তিতে অংশ নেয় উদীচী আবৃত্তি বিভাগ; একক আবৃত্তি করেন শাহেদ নেওয়াজ।
আলোচনা শেষে আয়োজন মাতিয়ে তোলে সাংস্কৃতিক পরিবেশনা