নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক ও জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য অধ্যাপক মামুন মাহমুদ এর নেতৃত্বে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে এক বিশাল গণসংযোগ ও গণর‌্যালি অনুষ্ঠিত হয়েছে। 

কর্মী-সমর্থকদের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণে এ কর্মসূচিতে নির্বাচনী এলাকার মানুষজন তাকে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রার্থী হিসেবে দেখতে চাওয়ার জোরালো দাবি জানিয়েছেন।

বুধবার (১৯ নভেম্বর) বিকেল ৪টার দিকে সিদ্ধিরগঞ্জের হীরাঝিল ভূমীপল্লী থেকে গণসংযোগটি শুরু হয়। পরে এটি চিটাগাং রোড হয়ে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের দশতলা ভবনের সামনে গিয়ে শেষ হয়। র‌্যালির সমাপ্তিতে একটি খোলা ট্রাকের ওপর সংক্ষিপ্ত বক্তব্য রাখেন অধ্যাপক মামুন মাহমুদ। 

এসময় তিনি বলেন, নারায়ণগঞ্জ-৩ আসনে সম্ভাব্য প্রার্থী ঘোষণা করা হয়েছে, কিন্তু আপনাদের মনের দাবি যেহেতু এইটা অস্থায়ী কিংবা সম্ভাব্য প্রার্থী, কাজেই এখনো সুযোগ রয়েছে। আপনারা যা চান, আমি বিশ্বাস করি আপনারা কি আমাকে এমপি হিসেবে দেখতে চান? 

আপনারা যদি আমাকে এমপি হিসেবে দেখতে চান, তাহলে এই গণসংযোগ, গণসমাবেশ এবং গণর‌্যালি এটাই প্রমাণ করে। তার বহিঃপ্রকাশ ঘটিয়ে আপনাদের এই আওয়াজ আমাদের নেতা, আমাদের অভিভাবক জনাব তারেক রহমান-এর কান পর্যন্ত আপনারা পৌঁছে দিয়েছেন। 

আপনারাই আমার শক্তি, আপনারাই ধানের শীষের শক্তি, আপনারাই তারেক রহমানের শক্তি। দীর্ঘ ১৭ বছর রাজপথে আপনাদের সঙ্গে থেকে আমি আপনাদের দাবি-দাওয়া আদায়ে কখনো পিছপা হইনি। 

আজকেও আমি আপনাদের সঙ্গে রাজপথে আছি, রাজপথে থেকেই ইনশাআল্লাহ আপনাদের মনের যে দাবি আপনারা যে আমাকে এমপি হিসেবে দেখতে চান, সেই দাবি ইনশাআল্লাহ আদায় হবেই।

এসময় কর্মী-সমর্থকদের পক্ষ থেকেও অধ্যাপক মামুন মাহমুদকে এমপি হিসেবে দেখতে চাওয়ার জোরালো দাবি করেছেন তারা।
 

.

উৎস: Narayanganj Times

কীওয়ার্ড: স দ ধ রগঞ জ ন র য়ণগঞ জ গণস য গ আপন দ র আপন র

এছাড়াও পড়ুন:

মান্নানকে বাদ দিতে তারেকের কাছে চিঠি

নারায়ণগঞ্জ-৩ (সোনারগাঁ-সিদ্ধিরগঞ্জ) আসনে বিএনপি’র প্রাথমিক মনোনয়ন পরিবর্তনের দাবিতে বিক্ষোভ-মানববন্ধনের পর এবার বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের কাছে যৌথ চিঠি দিয়েছেন সাবেক মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী ও সাবেক সংসদ সদস্যসহ ৭ মনোনয়ন প্রত্যাশী।

চিঠিতে তারা বলেন, নারায়ণগঞ্জ-৩ আসনে আজহারুল ইসলাম মান্নান মনোনয়ন পাওয়ায় মানুষ হতাশ। এই মনোনয়ন বিরূপ প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করেছে। তারা এই আসনে শিক্ষিত, অভিজ্ঞ এবং যোগ্য যেকোনো প্রার্থীকে মনোনয়ন দেয়ার দাবি জানান, যিনি এলাকার উন্নয়নে বলিস্ট ভূমিকা পালন করতে পারবে। 

‎যৌথ এই চিঠিতে স্বাক্ষর করেন নারায়ণগঞ্জ-৩ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও সাবেক মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য অধ্যাপক রেজাউল করিম, নারায়ণগঞ্জ-৪ (ফতুল্লা-সিদ্ধিরগঞ্জ) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা মুহম্মদ গিয়াস উদ্দিন, জেলা বিএনপি’র আহবায়ক অধ্যাপক মামুন মাহমুদ, যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের সাবেক পরিচালক ওয়ালিউর রহমান আপেল, সোনারগাঁও উপজেলা বিএনপি’র সাবেক সভাপতি মোহাম্মদ আবু জাফর, কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবক দলের সাবেক সহ-সভাপতি অধ্যাপক ওয়াহিদ বিন ইমতিয়াজ বকুল, সোনারগাঁ উপজেলা বিএনপি’র সাবেক ১নং সহসভাপতি আল মুজাহিদ মল্লিক। দলীয় মহাসচিবের মাধ্যমে এই চিঠি তারেক রহমানের কাছে পাঠানো হয়। এর আগে তারা ১৮ নভেম্বর সকালে অধ্যাপক রেজাউল করিমের বাসায় যৌথ বৈঠক করেন। ‎

‎চিঠিতে তারা আরও বলেন, এই আসনে জামায়াতের মনোনয়ন দেয়া হয়েছে ডঃ মুহাম্মদ ইকবাল হোসেন ভূঁইয়াকে যিনি একটি কলেজের প্রতিষ্ঠাতা ও প্রিন্সিপাল।

অন্যদিকে বিএনপির মনোনয়ন যাকে দেয়া হয়েছে ৫ আগস্টের পরে তিনি সোনারগাঁয়ে চাঁদাবাজি, জায়গা জমি দখল, নৌ পথে সন্ত্রাস, মামলা মোকদ্দমা বাণিজ্য, অবৈধ বালুর ব্যবসা, বিপুল পরিমাণ অর্থের বিনিময়ে আওয়ামী লীগ ও জাতীয় পার্টির মেম্বারদেরকে ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান পদে নিয়োগ করেছেন। 

‎তিনি দল ও দলের সিনিয়র নেতাদের বিরুদ্ধে অশ্লীল  বক্তব্য দেন এবং সাধারণ মানুষের সঙ্গে অশালীন আচরণ করেন।  

‎চিঠিতে আরও উল্লেখ করা হয়, গত বছরেরর ৫ আগস্ট থেকে ৪ দিন তিনি মেঘনা সেতুর টোল প্লাজার টোল জোরপূর্বক নিয়ে যান। সিদ্ধিরগঞ্জ থানাবাসিকে সন্ত্রাসী আখ্যায়িত করে বক্তৃতা দেয়ায় এলাকাবাসী তার উপর ক্ষুব্ধ। সাম্প্রতিক সময়ে নিজের অপকর্ম ঢাকতে তিনি বিএনপি সারা দেশে চাঁদাবাজি করে, কেন্দ্রীয় নেতা মির্জা আব্বাসের লোকেরা ঢাকায় চাঁদাবাজি করে- এমন বক্তব্য দেয়।

তার এই বক্তব্যের রেকর্ড ভাইরাল হয়েছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। তার কোন শিক্ষাগত যোগ্যতা নেই। ‎তার এসব কর্মকাণ্ড ও বক্তব্যের কারণে দলীয় ভাবমূর্তি দেশে-বিদেশে ব্যাপকভাবে ক্ষুন্ন হয়েছে। তাকে মনোনয়ন দিলে তিনি বিজয় হতে পারবেন না বলে এই ৭ মনোনয়ন প্রত্যাশী মনে করেন।

আজহারুল ইসলাম মান্নানকে বাদ দিয়ে এই সাতজনের মধ্যে থেকে যেকোনো একজনকে দলীয় মনোনয়ন দেয়ার আবেদন জানিয়ে তারা বলেন, যাকেই মনোনয়ন দেয়া হবে তার পক্ষে বাকিরা যৌথভাবে কাজ করবেন। 

‎এই চিঠি সম্পর্কে আজহারুল ইসলাম মান্নান বলেন,  যে কাজ করে তারই ভুল ত্রুটি হয়। বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ অনেক যাচাই-বাছাই করে আমাকে প্রাথমিক মনোনয়ন দিয়েছেন।

আমি শক্তিশালী প্রার্থী বলেই তারা সাত জন একত্রিত হয়ে আমার বিরুদ্ধে নামতে হয়েছে। দুর্বল প্রার্থী হলে একজন নেমেই হয়তো কিছু করে ফেলতে পারতো। তারা সবাই মিলে এখন যদি প্রার্থী চেঞ্জ করতে পারে করবে, এখানে আমার কিছু বলার নেই।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • মান্নানের প্রার্থীতা বাতিলের দাবিতে সিদ্ধিরগঞ্জে মশাল মিছিল
  • নবাগত জেলা প্রশাসকের সাথে সাংবাদিকদের মতবিনিময় 
  • না’গঞ্জে বালক (অনূর্ধ্ব -১৫) ডেভেলপমেন্ট ফুটবল প্রতিযোগিতার বাছাই ও প্রশিক্ষণ
  • ফতুল্লায় দুর্বৃত্তের আগুনে যাত্রীবাহী বাস পুড়ে ছাই
  • মান্নানকে বাদ দিতে তারেকের কাছে চিঠি
  • আড়াইহাজারে মনোনয়ন বঞ্চিত ৩ প্রার্থীর  কর্মী-সমর্থকদের মশাল মিছিল
  •  সোনারগাঁয়ে অবৈধ চুনা ও ঢালাই কারখানার গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্ন
  • মান্নানের মনোনয়ন বাতিল ও বহিস্কারের দাবিতে সিদ্ধিরগঞ্জে বিক্ষোভ
  • পোড়া ভোজ্যতেল সড়কে, মোটরসাইকেল পিছলে পড়ার হিড়িক