ঢাকা-২ (ঢাকার কেরানীগঞ্জের একাংশ) আসনে নির্বাচনী প্রচারের সময় জামায়াতে ইসলামীর নারী কর্মীদের মারধর ও লাঞ্ছিত করার অভিযোগ উঠেছে বিএনপির নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে।

এমন অভিযোগে আজ বুধবার রাত আটটার দিকে ঢাকা-২ আসনে জামায়াতের সহকারী আসন পরিচালক মহিউদ্দিন সেলিম থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন। এতে উল্লেখ করা হয়, গত মঙ্গলবার সন্ধ্যায় কেরানীগঞ্জের কলাতিয়া ইউনিয়নের নীলটেক এলাকায় এই ঘটনা ঘটে।

মহিউদ্দিন সেলিম সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমাদের নারী কর্মীরা বাড়ি বাড়ি গিয়ে নির্বাচনী প্রচারপত্র বিলি করছিলেন। তখন আরেক নারী কর্মী মুঠোফোনে দৃশ্য ধারণ করছিলেন। ঠিক সে সময় বিএনপির কিছু নেতা-কর্মী ভিডিও ধারণকারীর মুঠোফোন কেড়ে নেওয়ার চেষ্টা করেন। তখন অন্য নারী কর্মীরা বাধা দিলে তাঁদের ভ্যানিটি ব্যাগ ও ওড়না টেনে ছিঁড়ে ফেলা হয়। একপর্যায়ে বিএনপির নেতা-কর্মীরা আমাদের নারী কর্মীদের লাথি ও কিল-ঘুষি দেন।’ তিনি আরও বলেন, ‘এ ঘটনায় থানায় অভিযোগ করার পর ওসি সাহেব ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন।’

ঢাকা-২ আসনে জামায়াতে ইসলামীর মনোনীত প্রার্থী তৌফিক হাসান বলেন, ইতিপূর্বে বিএনপির কর্মীরা তাঁর নির্বাচনী গণসংযোগে হামলা করেছেন। তাঁরা তাঁর নির্বাচনী পোস্টার ক্রমাগত ছিঁড়ে ফেলছেন। এ ছাড়া তাঁরা জামায়াতের কর্মীদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে হুমকি-ধমকিও দিচ্ছেন।

কেরানীগঞ্জ মডেল থানা বিএনপির সভাপতি (ভারপ্রাপ্ত) শামীম হাসান বলেন, ‘জামায়াত উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে আমাদের নেতা-কর্মীদের ওপর মিথ্যা অভিযোগ দিচ্ছে। আমার জানামতে এ ধরনের ঘটনা ঘটেনি। আমি এ ব্যাপারে কিছু শুনিনি।’

কেরানীগঞ্জ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মনিরুল হক বলেন, ‘নির্বাচনী প্রচারণাকালে জামায়াতের নারী কর্মীদের লাঞ্ছিত করার অভিযোগ পেয়েছি। ঘটনাটি তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: কর ম দ র ব এনপ র কর ম র

এছাড়াও পড়ুন:

পলেস্তারা খসে পড়ল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই হলে, শিক্ষার্থী আহত

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কবি জসীমউদ্‌দীন হলের কক্ষে পলেস্তারা খসে পড়ে এক শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন। গতকাল মঙ্গলবার মধ্যরাতে হলের ৩২৪ নম্বর কক্ষে এ ঘটনা ঘটে। এ ছাড়া আজ বুধবার সকালে শহীদ সার্জেন্ট জহুরুল হক হলের মূল ভবনের ৩৪৯ নম্বর কক্ষে ছাদের পলেস্তারা খসে পড়ে।

জসীমউদ্‌দীন হলে আহত শিক্ষার্থীর নাম এমদাদুল হক (দুর্জয়)। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের ২০২৩-২৪ সেশনের শিক্ষার্থী। এমদাদুল হক বলেন, ‘আমি ঘুমানোর প্রস্তুতি নিচ্ছিলাম। হঠাৎ আমার বিছানার পাশের দেয়াল থেকে বিরাট এক পলেস্তারা খসে পড়ে। এতে আমার চোখে বালু ঢুকে যায়। এ ছাড়া সামান্য আহত হই। পরে প্রাথমিক চিকিৎসা নিই।’

অন্যদিকে জহুরুল হক হলের ওই কক্ষের শিক্ষার্থী সৈয়দ জাহেদ ইকবাল জানান, অল্পের জন্য তিনি বেঁচে গেছেন। ক্লাসে যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন তিনি। এমন সময় হঠাৎ পেছনে তাকিয়ে দেখেন ছাদের পলেস্তারা খসে পড়েছে। এদিক–ওদিক হলে বড় ধরনের দুর্ঘটনা হতে পারত।

জহুরুল হক হলের আবাসিক শিক্ষার্থী ইসমাঈল নাহিদ বলেন, ‘প্রায়ই এ ধরনের ঘটনা ঘটছে। বড় কোনো দুর্ঘটনার আগে মনে হয় না কেউ সজাগ হবে।’ ‘শহীদ সার্জেন্ট জহুরুল হক হল শিক্ষার্থী সংসদ’ নামের একটি ফেসবুক গ্রুপে হলের আরেক আবাসিক শিক্ষার্থী হাসান জামিল মন্তব্য করেছেন, ‘৩৩০ নম্বর কক্ষেও একই অবস্থা, প্রতিদিনই একটু একটু করে পলেস্তারা খসে পড়ছে।’

কবি জসীমউদ্‌দীন হলের প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক শাহিন খান জানান, বিষয়টি জানার পরপরই হাউস টিউটর ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়কে অবগত করা হয়েছে।

অন্যদিকে সার্জেন্ট জহুরুল হক হলের প্রাধ্যক্ষ মো. ফারুক শাহ প্রথম আলোকে বলেন, ‘প্রথম ধাপে আমরা সংস্কার কাজ করেছি। যেগুলো বাকি ছিল, সেগুলোও করা হবে। এ বিষয়ে প্রশাসনকে জানানো হয়েছে।’

সম্পর্কিত নিবন্ধ