আয়ারল্যান্ড কি ইচ্ছা করেই আজ মুশফিককে সেঞ্চুরি করতে দেয়নি
Published: 19th, November 2025 GMT
নাজমুল হোসেন আউট হয়ে যাওয়ার পর ড্রেসিংরুম থেকে বের হতে একটু দেরিই করলেন মুশফিকুর রহিম। গ্যালারিতে বসে থাকা দর্শকদের প্রায় সবার ফোনের ক্যামেরাই তখন বাংলাদেশ দলের ড্রেসিংরুমের দরজায় তাক করা। মুশফিকের শততম টেস্টে ব্যাটিং করতে যাওয়ার মুহূর্তটাকে ফ্রেমবন্দী করে রাখতে চান তাঁরা।
আজ মিরপুরের শেরেবাংলা স্টেডিয়ামের পুরো দিনই যেন সাজিয়ে রাখা হয়েছিল তাঁর জন্য। সকালে ম্যাচ শুরুর আগে মিনিট দশেকের অনুষ্ঠানে তাঁর জন্য স্মারক বিশেষ ক্যাপ ছিল। মাঠের একপ্রান্তে টানানো হয়েছিল বড় ব্যানার। গ্যালারির দর্শকদের গায়ে ছিল শততম টেস্টে তাঁকে শুভেচ্ছা জানানো জার্সি।
এত সব আয়োজন আরও রঙিন করার দ্বারপ্রান্তে পৌঁছে গেছেন মুশফিক। শততম টেস্টে সেঞ্চুরি পাওয়ার বিরল কীর্তিতে নাম লেখাতে তাঁর দরকার আর মাত্র ১ রান। সেই অপেক্ষাটা যেন না করতে হয়, সেজন্য শেরেবাংলার গ্যালারিতে একটা বাড়তি উন্মাদনাই তৈরি হয়েছিল।
একটা দৃশ্যের বর্ণনা করলে ঘটনাটা বুঝতে সহজ হবে— আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে দ্বিতীয় টেস্টের প্রথম দিনের শেষ ওভারে তাঁর দরকার ছিল ৩ রান। গ্যাবিন হোইয়ের সেই ওভারে স্ট্রাইকে ছিলেন মুশফিকই। তৃতীয় বলে গিয়ে প্রথম রান নেন তিনি। স্ট্রাইকে আসেন লিটন দাস।
সঙ্গে সঙ্গেই গ্যালারি থেকে আওয়াজ উঠতে থাকে ‘সিঙ্গেল’, ‘সিঙ্গেল’। লিটন তা নিয়ে পঞ্চম বলে মুশফিককে স্ট্রাইক দেন। এবার গ্যালারি থেকে ভেসে আসে ‘মুশফিক’, ‘মুশফিক’ স্লোগান। কিন্তু এক রানের বেশি নিতে পারেননি তিনি।
শেষ ওভারে ৩ রান দরকার হলেও মুশফিক নিতে পেরেছেন ১.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
মুশফিকের মধ্যে ১৫০ টেস্টের ক্ষুধা দেখেন সিমন্স
একটি, দুটি, তিনটি করে মুশফিকুর রহিম এখন শততম টেস্ট খেলার দ্বারপ্রান্তে। মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে কাল থেকে শুরু দ্বিতীয় টেস্ট খেলতে নামলেই ১০০ টেস্ট খেলা বাংলাদেশের প্রথম ক্রিকেটার হয়ে যাবেন তিনি।
বাংলাদেশের ক্রিকেটে এটি বড় এক ব্যক্তিগত অর্জনই হবে। তবে মুশফিকের কাছে এক শ টেস্ট হয়তো শুধুই একটা সংখ্যা। তাঁর মধ্যে এক শ থেকে আরও এগিয়ে যাওয়ার ক্ষুধাটা এখনো দেখেন বাংলাদেশ দলের কোচ ফিল সিমন্সও। মিরপুর আজ সংবাদ সম্মেলনে কোচ সে কথাই বলেছেন, ‘তাঁর মধ্যে এখনো সেই ইচ্ছা, সেই ক্ষুধা আছে, যা ১৫০ টেস্ট খেলা খেলোয়াড়দের মধ্যেই দেখা যায়। সে ক্রমাগত ভালো করতে চায়, এটাই সবচেয়ে বড় ব্যাপার। নিজেকে আরও উন্নত করার মনোভাবই তাঁকে এখানে নিয়ে এসেছে।’
২০০৫ সালের ২৬ মে লর্ডসে অভিষেক। ২০ বছরেরও বেশি সময়ের আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ক্যারিয়ারে কাল মুশফিক নামবেন শততম টেস্ট খেলতে। তাঁর আগের কিংবা সমসাময়িক বাংলাদেশি ক্রিকেটারদের কেউও যখন এই মাইলফলক ছুঁতে পারলেন না, তাঁর চেয়ে নামে ভারী বড় তারকারাও যখন তা পারলেন না, তখন মুশফিক কীভাবে পারছেন এক শর গণ্ডিতে পা রাখতে?
অনুশীলনে হাস্যোজ্জ্বল মুশফিক। শততম টেস্টে তাঁর ব্যাটেও এমন হাসি দেখার অপেক্ষা