মিচেল স্যান্টনার যখন ব্যাট করতে নামেন, নিউজিল্যান্ডের দরকার ২৯ বলে ৫৪ রান। ওভারপ্রতি প্রায় সাড়ে ১১ রান। নেপিয়ারে সিরিজের দ্বিতীয় ওয়ানডে কার্যত টি-টোয়েন্টি ম্যাচ হয়ে গেছে তখন। আর ‘টি-টোয়েন্টি ছোঁয়া’র সেই লড়াইটা কিউইদের অনেকটা একাই পার করিয়ে দিলেন স্যান্টনার। ১৫ বলের ইনিংসে ২ ছক্কা ও ৩ চারে নিলেন ৩৪ রান, নিউজিল্যান্ড লক্ষ্যে পৌঁছে গেল ৩ বল হাতে রেখেই।

বৃষ্টিতে ৩৪ ওভারে নেমে আসা ম্যাচে প্রথমে ব্যাট করা ওয়েস্ট ইন্ডিজ শাহ হোপের সেঞ্চুরিতে করে ৯ উইকেটে ২৪৭। তাড়া করতে নেমে স্বাগতিকেরা ম্যাচ জিতেছে ৫ উইকেট হাতে রেখে।

তাড়া করতে নামা নিউজিল্যান্ড ডেভন কনওয়ে ও রাচিন রবীন্দ্রর উদ্বোধনী জুটি থেকে ১৬.

৩ ওভারে পেয়ে যায় ১০৬ রান। রবীন্দ্র ৪৬ বলে ৫৬ রান করে আউট হওয়ার পর একপ্রান্ত আগলে ছিলেন কনওয়ে। অন্য প্রান্তে উইল ইয়াং, মার্ক চ্যাপম্যানরা আসা-যাওয়ার মধ্যে থাকলেও কনওয়ে এগিয়ে যাচ্ছিলেন সেঞ্চুরির দিকে।

তবে ইনিংসের ২৬তম ওভারে বড় ধাক্কা খায় নিউজিল্যান্ড। ৯০ রান করা কনওয়ে ব্যাকওয়ার্ড পয়েন্টে রোস্টন চেজের দুর্দান্ত ক্যাচে পরিণত হলে রানের গতি কমে আসে দলটির। তবে পঞ্চম উইকেট হিসেবে মাইকেল ব্রেসওয়েল ফিরে যাওয়ার পর স্যান্টনারই হয়ে ওঠেন শেষের নায়ক। তাঁর সঙ্গে ২৯ বলে ৩৯ রান করে অপরাজিত থাকেন ল্যাথাম।

অবশ্য ম্যাচের সেরা খেলোয়াড় এরা কেউ নন, হয়েছেন ওয়েস্ট ইন্ডিজের হোপ। ২৪তম ওভারে ক্যারিবীয়দের স্কোরে ছিল ৬ উইকেটে ১৩০ রান। সেখান থেকে দলকে ২৪৭-এ নিয়ে যাওয়ার কৃতিত্বটা হোপেরই। শেষ দশ ওভারে ১১৭ করে ওয়েস্ট ইন্ডিজ।

হোপ অপরাজিত থাকেন ৬৯ বলে ১০৯ রান করে। ইনিংসটিতে ছিল ৪টি ছক্কা ও ১৩টি চার। ওয়েস্ট ইন্ডিজের হয়ে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ২২ রান করে আসে জাস্টিন গ্রিভস, আকিম অগাস্ট ও রোমারিও শেফার্ডের ব্যাট থেকে। এঁদের কারও ইনিংস আরেকটু বড় হলেই ওয়েস্ট ইন্ডিজের স্কোরবোর্ডে জমা হতে পারত আরও বেশি। হয়তো বদলাতো ম্যাচের ফলও।

তবে চূড়ান্ত সত্য হচ্ছে, সিরিজের প্রথম ওয়ানডের মতো দ্বিতীয় ওয়ানডেতেও হেরেছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। তিন ওয়ানডে সিরিজে এক ম্যাচ বাকি থাকত হারল সিরিজও। তৃতীয় ও শেষ ওয়ানডে শনিবার হ্যামিল্টনে।

সংক্ষিপ্ত স্কোর

ওয়েস্ট ইন্ডিজ: ৩৪ ওভারে ২৪৭/৯ (হোপ ১০৯*, শেফার্ড ২২, গ্রিভস ২২; স্মিথ ৪/৪২, জেমিসন ৩/৪৪)।

নিউজিল্যান্ড: ৩৩.৩ ওভারে ২৪৮/৫ (কনওয়ে ৯০, রবীন্দ্র ৫৬, ল্যাথাম ৩৯*, স্যান্টনার ৩৪*; গ্রিভস ১/৩৫, ফোর্ড ১/৪২)।

ফল: নিউজিল্যান্ড ৫ উইকেটে জয়ী।

সিরিজ: তিন ম্যাচ সিরিজে নিউজিল্যান্ড ২-০ ব্যবধানে এগিয়ে।

ম্যান অব দ্য ম্যাচ: শাই হোপ।

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: স য ন টন র র ন কর উইক ট

এছাড়াও পড়ুন:

স্যান্টনারের ৩৪ রানের ঝড়ে ম্লান হোপের সেঞ্চুরি

মিচেল স্যান্টনার যখন ব্যাট করতে নামেন, নিউজিল্যান্ডের দরকার ২৯ বলে ৫৪ রান। ওভারপ্রতি প্রায় সাড়ে ১১ রান। নেপিয়ারে সিরিজের দ্বিতীয় ওয়ানডে কার্যত টি-টোয়েন্টি ম্যাচ হয়ে গেছে তখন। আর ‘টি-টোয়েন্টি ছোঁয়া’র সেই লড়াইটা কিউইদের অনেকটা একাই পার করিয়ে দিলেন স্যান্টনার। ১৫ বলের ইনিংসে ২ ছক্কা ও ৩ চারে নিলেন ৩৪ রান, নিউজিল্যান্ড লক্ষ্যে পৌঁছে গেল ৩ বল হাতে রেখেই।

বৃষ্টিতে ৩৪ ওভারে নেমে আসা ম্যাচে প্রথমে ব্যাট করা ওয়েস্ট ইন্ডিজ শাহ হোপের সেঞ্চুরিতে করে ৯ উইকেটে ২৪৭। তাড়া করতে নেমে স্বাগতিকেরা ম্যাচ জিতেছে ৫ উইকেট হাতে রেখে।

তাড়া করতে নামা নিউজিল্যান্ড ডেভন কনওয়ে ও রাচিন রবীন্দ্রর উদ্বোধনী জুটি থেকে ১৬.৩ ওভারে পেয়ে যায় ১০৬ রান। রবীন্দ্র ৪৬ বলে ৫৬ রান করে আউট হওয়ার পর একপ্রান্ত আগলে ছিলেন কনওয়ে। অন্য প্রান্তে উইল ইয়াং, মার্ক চ্যাপম্যানরা আসা-যাওয়ার মধ্যে থাকলেও কনওয়ে এগিয়ে যাচ্ছিলেন সেঞ্চুরির দিকে।

তবে ইনিংসের ২৬তম ওভারে বড় ধাক্কা খায় নিউজিল্যান্ড। ৯০ রান করা কনওয়ে ব্যাকওয়ার্ড পয়েন্টে রোস্টন চেজের দুর্দান্ত ক্যাচে পরিণত হলে রানের গতি কমে আসে দলটির। তবে পঞ্চম উইকেট হিসেবে মাইকেল ব্রেসওয়েল ফিরে যাওয়ার পর স্যান্টনারই হয়ে ওঠেন শেষের নায়ক। তাঁর সঙ্গে ২৯ বলে ৩৯ রান করে অপরাজিত থাকেন ল্যাথাম।

অবশ্য ম্যাচের সেরা খেলোয়াড় এরা কেউ নন, হয়েছেন ওয়েস্ট ইন্ডিজের হোপ। ২৪তম ওভারে ক্যারিবীয়দের স্কোরে ছিল ৬ উইকেটে ১৩০ রান। সেখান থেকে দলকে ২৪৭-এ নিয়ে যাওয়ার কৃতিত্বটা হোপেরই। শেষ দশ ওভারে ১১৭ করে ওয়েস্ট ইন্ডিজ।

হোপ অপরাজিত থাকেন ৬৯ বলে ১০৯ রান করে। ইনিংসটিতে ছিল ৪টি ছক্কা ও ১৩টি চার। ওয়েস্ট ইন্ডিজের হয়ে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ২২ রান করে আসে জাস্টিন গ্রিভস, আকিম অগাস্ট ও রোমারিও শেফার্ডের ব্যাট থেকে। এঁদের কারও ইনিংস আরেকটু বড় হলেই ওয়েস্ট ইন্ডিজের স্কোরবোর্ডে জমা হতে পারত আরও বেশি। হয়তো বদলাতো ম্যাচের ফলও।

তবে চূড়ান্ত সত্য হচ্ছে, সিরিজের প্রথম ওয়ানডের মতো দ্বিতীয় ওয়ানডেতেও হেরেছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। তিন ওয়ানডে সিরিজে এক ম্যাচ বাকি থাকত হারল সিরিজও। তৃতীয় ও শেষ ওয়ানডে শনিবার হ্যামিল্টনে।

সংক্ষিপ্ত স্কোর

ওয়েস্ট ইন্ডিজ: ৩৪ ওভারে ২৪৭/৯ (হোপ ১০৯*, শেফার্ড ২২, গ্রিভস ২২; স্মিথ ৪/৪২, জেমিসন ৩/৪৪)।

নিউজিল্যান্ড: ৩৩.৩ ওভারে ২৪৮/৫ (কনওয়ে ৯০, রবীন্দ্র ৫৬, ল্যাথাম ৩৯*, স্যান্টনার ৩৪*; গ্রিভস ১/৩৫, ফোর্ড ১/৪২)।

ফল: নিউজিল্যান্ড ৫ উইকেটে জয়ী।

সিরিজ: তিন ম্যাচ সিরিজে নিউজিল্যান্ড ২-০ ব্যবধানে এগিয়ে।

ম্যান অব দ্য ম্যাচ: শাই হোপ।

সম্পর্কিত নিবন্ধ