চট্টগ্রাম বন্দর বিদেশিদের হাতে তুলে দেওয়া ভবিষ্যতে ‘গলার কাঁটা’ হয়ে দাঁড়াবে বলে মনে করে ১২–দলীয় জোট। জোটের নেতারা বলেছেন, অস্বাভাবিক দ্রুততায় বিদেশি কোম্পানির কাছে কনটেইনার টার্মিনাল তুলে দেওয়া দেশের ভঙ্গুর অর্থনীতিতে মারাত্মক প্রভাব ফেলবে। বাংলাদেশের বন্দর বিদেশিদের হাতে তুলে দেওয়ায় দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব মারাত্মক হুমকির মুখে পড়বে। এটি জাতীয় স্বার্থেরও পরিপন্থী।

আজ বুধবার এক বিবৃতিতে ১২–দলীয় জোটের নেতারা এ কথা বলেন। বিবৃতিতে বলা হয়, বিদেশিদের হাতে টার্মিনাল ও বন্দর পরিচালনার দায়িত্ব দেওয়ার সঙ্গে জাতীয় স্বার্থ ও নিরাপত্তার প্রশ্ন যুক্ত আছে। অন্তর্বর্তী সরকার রাষ্ট্রের নীতিনির্ধারণী বিষয়ে এ ধরনের কোনো পদক্ষেপ নিতে পারে না। বিগত স্বৈরাচারী সরকার দেশের স্বার্থ বিসর্জন দিয়ে দেশকে একটি তাঁবেদার রাষ্ট্রে পরিণত করেছিল। বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের এমন কর্মকাণ্ড অতীতকে স্মরণ করিয়ে দিচ্ছে। দেশের জনগণ, জনমত ও জন–আকাঙ্ক্ষার বিরুদ্ধে যেকোনো কার্যক্রম জনরোষের মাত্রা তীব্র থেকে তীব্রতর করবে।

অন্তর্বর্তী সরকারও বিগত স্বৈরাচারী সরকারের পদাঙ্ক অনুসরণ করে দেশের স্বার্থ বিসর্জন দিয়ে দেশবিরোধী চুক্তি বাস্তবায়ন করতে যাচ্ছে বলে অভিযোগ করেছে ১২–দলীয় জোট। একে গভীর পরিতাপের বিষয় হিসেবে উল্লেখ করে বিবৃতিতে বলা হয়েছে, অবিলম্বে এই সরকারকে দেশবিরোধী চুক্তি তথা বন্দর বিদেশিদের হাতে তুলে দেওয়ার চক্রান্ত থেকে বিরত থাকতে হবে। অন্যথায় দেশের আপামর জনগণকে সঙ্গে নিয়ে দেশ বিক্রির চুক্তির বিরুদ্ধে দুর্বার গণ–আন্দোলন গড়ে তোলা হবে।

বিবৃতিতে স্বাক্ষর করেছেন জোটভুক্ত দল জাতীয় পার্টির (কাজী জাফর) চেয়ারম্যান মোস্তফা জামাল হায়দার, বাংলাদেশ এলডিপির চেয়ারম্যান শাহাদাত হোসেন সেলিম, বাংলাদেশ জাতীয় দলের চেয়ারম্যান সৈয়দ এহসানুল হুদা, জমিয়াতে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশের মহাসচিব গোলাম মহিউদ্দিন ইকরাম, বিকল্পধারা বাংলাদেশের চেয়ারম্যান নুরুল আমিন বেপারী, ন্যাশনাল লেবার পার্টির চেয়ারম্যান লায়ন ফারুক রহমান, বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান শামসুদ্দিন পারভেজ, ইসলামী ঐক্যজোটের চেয়ারম্যান মাওলানা আব্দুর রকিব, ইসলামিক পার্টির মহাসচিব আবুল কাশেম, প্রগতিশীল জাতীয়তাবাদী দলের (পিএনপি) চেয়ারম্যান ফিরোজ মো.

লিটন ও নয়া গণতান্ত্রিক পার্টির সভাপতি এম এ মান্নান।

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: সরক র

এছাড়াও পড়ুন:

সোনার দাম ভরিতে ২,৬১২ টাকা বেড়েছে

দেশের বাজারে সোনার দাম বাড়ছে। এ দফায় ভরিতে দাম বেড়েছে সর্বোচ্চ ২ হাজার ৬১২ টাকা। তাতে ভালো মানের অর্থাৎ ২২ ক্যারেটের এক ভরি সোনার দাম হবে প্রায় ২ লাখ সাড়ে ৯ হাজার টাকা। আগামীকাল বৃহস্পতিবার থেকে নতুন এই দর কার্যকর হবে।

জুয়েলারি ব্যবসায়ীদের সংগঠন বাংলাদেশ জুয়েলার্স সমিতি (বাজুস) আজ বুধবার রাতে সোনার দাম বাড়ানোর ঘোষণা দিয়েছে। জুয়েলার্স সমিতি বলেছে, স্থানীয় বাজারে তেজাবি সোনার (খাঁটি সোনা) মূল্য বৃদ্ধি পেয়েছে। এ কারণে দাম সমন্বয় করা হয়েছে। এর আগে সর্বশেষ গতকাল মঙ্গলবার সোনার দাম কমেছিল ১ হাজার ৩৬৪ টাকা।

নতুন দাম অনুযায়ী, আগামীকাল থেকে ২২ ক্যারেটের প্রতি ভরি সোনা ২ হাজার ৬১২ টাকা বেড়ে হবে ২ লাখ ৯ হাজার ৫২০ টাকা। ২১ ক্যারেটের এক ভরি সোনা ২ হাজার ৫০৮ টাকা বেড়ে ২ লাখ ৩ টাকা এবং ১৮ ক্যারেটের এক ভরি সোনা ২ হাজার ১৩৫ টাকা বেড়ে দাঁড়াবে ১ লাখ ৭১ হাজার ৪২৬ টাকায়। এ ছাড়া সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি সোনার দাম ১ হাজার ৮৩১ টাকা বেড়ে হবে ১ লাখ ৪২ হাজার ৫৯২ টাকা।

আজ ২২ ক্যারেটের এক ভরি সোনা ২ লাখ ৬ হাজার ৯০৮ টাকা, ২১ ক্যারেট ১ লাখ ৯৭ হাজার ৪৯৫ টাকা, ১৮ ক্যারেট ১ লাখ ৬৯ হাজার ২৯১ টাকা ও সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি সোনা ১ লাখ ৪০ হাজার ৭৬১ টাকায় বিক্রি হয়েছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ