বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও একুশে টেলিভিশনের চেয়ারম্যান আবদুস সালামসহ চারজনের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহ মামলা বাতিল করে হাইকোর্টের দেওয়া পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশ করা হয়েছে। এতে বলা হয়েছে, মামলাটি আইনের যথাযথ পদ্ধতি অনুসরণ করে শুরু করা হয়নি। অপর দুই আসামি হলেন একুশে টেলিভিশনের সাবেক প্রধান প্রতিবেদক মাহাথীর ফারুকী খান ও চ্যানেলটির জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক কনক সারওয়ার।

রায়ে বলা হয়েছে, ‘এই মামলায় এফআইআরকে অভিযোগ হিসেবে গ্রহণ করা হয়েছে। ফলে বলা যায়, এই ফৌজদারি মামলাটি আইনের যথাযথ পদ্ধতি অনুসরণ করে শুরু করা হয়নি। তার পরও মামলাটি গ্রহণ করা হয়েছে, যা আদালতের বিচারিক প্রক্রিয়ার অপব্যবহার ছাড়া কিছুই না। ফলে মামলাটিতে হাইকোর্টের স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার করে তা বাতিল করা হলো।’

বিচারপতি একেএম আসাদুজ্জামান ও বিচারপতি সৈয়দ এনায়েত হোসেন সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চের এই রায় সুপ্রিম কোর্টের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত হয়েছে। এর আগে গত ৩১ অক্টোবর রুল নিষ্পত্তি করে রাষ্ট্রদ্রোহ মামলাটি বাতিল করে রায় দেন হাইকোর্ট। 

২০১৫ সালের ৫ জানুয়ারি লন্ডন থেকে তারেক রহমানের দেওয়া বক্তব্য সরাসরি সম্প্রচার করে একুশে টিভি। এ ঘটনায় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অনুমতি নিয়ে ওই বছরের ৮ জানুয়ারি তারেক রহমান ও আবদুস সালামের বিরুদ্ধে রাজধানীর তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল থানায় মামলা করে পুলিশ। তাদের বিরুদ্ধে যোগসাজশে মিথ্যা, বিভ্রান্তিকর তথ্য প্রচার করে দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বের প্রতি হুমকি সৃষ্টির অভিযোগ আনা হয়। তদন্ত শেষে ২০১৭ সালের ৬ সেপ্টেম্বর আদালতে অভিযোগপত্র দেয় পুলিশ। 

এতে তারেক রহমান, আব্দুস সালামের পাশাপাশি মাহাথীর ফারুকী খান ও কনক সারওয়ারকে আসামি করা হয়। একই বছর আবদুস সালামের আবেদনে মামলার কার্যক্রম স্থগিত করেন হাইকোর্ট। পাশাপাশি মামলাটি কেন বাতিল করা হবে না, জানতে চেয়ে রুল জারি হয়। 

বিএনপির আইনবিষয়ক সম্পাদক কায়সার কামাল সাংবাদিকদের বলেন, রাষ্ট্রদ্রোহ মামলা করতে যেসব আইনি উপাদান লাগে, এ মামলায় তেমন কোনো উপাদান ছিল না। রাষ্ট্রদ্রোহের মামলা করতে হয় ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে। আর এ মামলা হয় থানায়। ফলে আইনগতভাবে এ মামলা চলে না।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ত র ক রহম ন ত র ক রহম ন ব ত ল কর

এছাড়াও পড়ুন:

বড় জয়ে চ্যাম্পিয়নস লিগ শুরু চ্যাম্পিয়ন পিএসজির

চ্যাম্পিয়নস লিগের শিরোপাধারী প্যারিস সেইন্ট জার্মেই (পিএসজি) শিরোপা রক্ষার অভিযানে নেমেই দেখাল নিজেদের শক্তি। বুধবার (১৭ সেপ্টেম্বর) দিবাগত রাতে পার্ক দেস প্রিন্সের জমকালো রাতের ম্যাচে আতালান্তাকে ৪-০ গোলে উড়িয়ে দিল লুইস এনরিকের শিষ্যরা।

মাঠে নেমে ম্যাচের মাত্র তৃতীয় মিনিটেই প্রথম গোল পায় পিএসজি। ব্র্যাডলি বারকোলার দারুণ পাস থেকে ফাবিয়ান রুইজ বল সাজিয়ে দেন মারকুইনহোসকে। পিএসজির অধিনায়ক নির্ভুল শটে দলকে এগিয়ে নেন ১-০ গোলে।

আরো পড়ুন:

জুভেন্টাস-বরুশিয়ার ৮ গোলের নাটকীয় ম্যাচে জয় পায়নি কেউ

এমবাপ্পের জোড়া গোলে চ্যাম্পিয়নস লিগে রিয়ালের রোমাঞ্চকর জয়

এরপর আরও কয়েকটা গোল হতে পারত। কিন্তু একবার একেবারে সামনে থেকে শট উড়িয়ে ফেলেন নুনো মেন্ডেস। আরেকবার বারকোলার শট দুর্দান্ত সেভে রক্ষা করেন আতালান্তা গোলরক্ষক মার্কো কার্নেসেচ্চি।

তবুও প্রথমার্ধ শেষ হওয়ার আগে আক্রমণের ঝড় থামেনি। ৩৯ মিনিটে জর্জিয়ার উইঙ্গার খভিচা কাভারাটস্কেলিয়া ডান দিক থেকে ভেতরে ঢুকে অসাধারণ এক বাঁকানো শটে বল জড়িয়ে দেন জালে। স্কোরলাইন দাঁড়ায় ২-০।

বিরতিতে যাওয়ার আগে ব্যবধান আরও বাড়াতে পারত পিএসজি। ৪১ মিনিটে মারকুইনহোসকে ফাউল করে পেনাল্টি উপহার দেন আতালান্তার মার্কিন মিডফিল্ডার ইউনুস মুসাহ। তবে বারকোলার নেওয়া দুর্বল শট ঠেকিয়ে দেন আতালান্তার গোলরক্ষক কার্নেসেচ্চি। তাতে ২-০ তে এগিয়ে থেকেই বিরতিতে যায় দুই দল।

বিরতির ছয় মিনিট পরই ব্যবধান বাড়ে। বারকোলার দারুণ থ্রু বল ধরে বাঁ দিক থেকে নুনো মেন্ডেস এগিয়ে গিয়ে কঠিন কোণ থেকেও ঠাণ্ডা মাথায় শট পাঠান জালে। স্কোর হয় ৩-০।

শেষ বাঁশি বাজার আগ মুহূর্তে আসে চতুর্থ গোল। আতালান্তার ক্লান্ত ডিফেন্ডারের ভুল পাস কুড়িয়ে নিয়ে পর্তুগিজ স্ট্রাইকার গনসালো রামোস নির্ভুল ফিনিশে শেষ করেন গোল উৎসব।

গেল মে মাসে ফাইনালে ইন্টার মিলানকে ৫-০ গোলে হারিয়ে প্রথমবার ইউরোপ সেরার মুকুট পরেছিল পিএসজি। সেই ধারাবাহিকতায় নতুন মৌসুমের শুরুতেও লিগে টানা চার ম্যাচ জিতে সবার ওপরে তারা। এবার ইউরোপের মাঠেও দেখাল নিজেদের ভয়ংকর রূপ। জানান দিলো এবারও তারা চ্যাম্পিয়ন হতে চায়।

ঢাকা/আমিনুল

সম্পর্কিত নিবন্ধ