চুয়েটে শেখ মুজিবুর রহমান ও শেখ রাসেলের ম্যুরাল ভাঙচুর
Published: 6th, February 2025 GMT
চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (চুয়েট) শেখ মুজিবুর রহমান ও শেখ রাসেলের ম্যুরাল ভাঙচুর করেছেন একদল শিক্ষার্থী। গতকাল বুধবার রাত ১১টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বাধীনতা চত্বর এলাকায় মিছিল শেষে বঙ্গবন্ধু হল ও শেখ রাসেল হলের ম্যুরাল ভাঙচুর করা হয়। নিষিদ্ধঘোষিত সংগঠন ছাত্রলীগের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে শেখ হাসিনার বক্তব্য প্রচারকে কেন্দ্র করে এই কর্মসূচি পালন করে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন চুয়েট শাখা।
বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন চুয়েটের সমন্বয়ক মাহফুজার রহমান বলেন, ‘স্বৈরশাসক শেখ হাসিনা দেশকে অস্থিতিশীল করার জন্য ভারতে বসে ভিডিও লাইভে আসার ঘোষণা দেয়। দুই হাজার মানুষকে হত্যার পরেও তাঁর বিন্দুমাত্র অনুশোচনা নেই। ছয় মাস পেরিয়ে গেলেও এখনো পর্যন্ত আওয়ামী লীগের রাজনীতি নিষিদ্ধ করা হয়নি এবং তাদের বিচারের ব্যবস্থা করা হয়নি।’
কম্পিউটার বিজ্ঞান ও কৌশল বিভাগের শিক্ষার্থী মাহী ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, ‘পতিত স্বৈরাচার শেখ হাসিনা দেশ থেকে পালানোর পরও ভিডিও বার্তার মাধ্যমে দেশে নৈরাজ্য সৃষ্টির চেষ্টা করছেন। তাঁর এ অপতৎপরতার প্রতিবাদে ও চুয়েটের মাটি থেকে স্বৈরাচারের সব স্মৃতি মুছে ফেলতে আমরা ম্যুরালগুলো ভেঙে দিয়েছি।’
তবে এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করতে চাননি ছাত্রকল্যাণ দপ্তরের উপপরিচালক মোয়াজ্জেম হোসেন। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, ‘রাতে বিক্ষুব্ধ হয়ে শিক্ষার্থীরা ম্যুরালগুলো ভাঙচুর করেছে। তারা ক্ষোভ থেকে এগুলো করেছে। আমাদের সেটা নিয়ে আলাদা কোনো বক্তব্য নেই।’
উল্লেখ্য, বুধবার রাত ৯টায় ছাত্রলীগের ফেসবুক পেজে শেখ হাসিনার বক্তব্য প্রচার করা হবে বলে ঘোষণা দেওয়া হয়। এ ঘোষণাকে কেন্দ্র করে গতকাল ধানমন্ডি ৩২ অভিমুখে ‘বুলডোজার মিছিল’ এবং ‘মার্চ টু ধানমন্ডি ৩২’ কর্মসূচির ডাক দেয় বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন। তাদের সঙ্গে একাত্মতা জানিয়ে দেশের বিভিন্ন স্থানে শেখ পরিবারের সদস্যদের ম্যুরাল ভাঙচুর করেন বিক্ষুব্ধ ছাত্র-জনতা।
.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
জিআই সনদ পেলো কিশোরগঞ্জের পনির ও রাতাবোরো ধান
ভৌগোলিক নির্দেশক (জিআই) পণ্যের সনদ পেয়েছে কিশোরগঞ্জের রাতাবোরো ধান ও জেলার ব্র্যান্ডিং পণ্য অষ্টগ্রামের পনির।
বুধবার (৩০ এপ্রিল) রাজধানী ঢাকার ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে শিল্প মন্ত্রণালয়ের পেটেন্ট, শিল্প-নকশা ও ট্রেডমার্কস অধিদপ্তর আয়োজিত ‘বিশ্ব মেধাসম্পদ দিবস ২০২৫’ উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে এ সনদ গ্রহণ করেন কিশোরগঞ্জ জেলা প্রশাসক ফৌজিয়া খান।
অনুষ্ঠানে কিশোরগঞ্জের রাতাবোরো ধান ও পনিরসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের ২৪টি পণ্যকে ভৌগোলিক নির্দেশক (জিআই) নিবন্ধন সনদ দেওয়া হয়।
আরো পড়ুন:
হাওরে ধানের বাম্পার ফলন, দাম কমে যাওয়ায় চিন্তায় কৃষক
আজারবাইজানের সঙ্গে কানেক্টিভিটি বাড়াতে সম্মত প্রধান উপদেষ্টা
শিল্প সচিব মো. ওবায়দুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন শিল্প উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান, সংস্কৃতি বিষয়ক উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী, বিশিষ্ট শিল্পী, অভিনেত্রী ও সঙ্গীত পরিচালক আরমিন মুসা ও বাংলাদেশ তাঁত বোর্ডের কর্মকর্তা, সংশ্লিষ্ট জেলার জেলা প্রশাসক (ডিসি) ও নওগাঁ জেলার বদলগাছি উপজেলার নাকফজলি আমচাষি সমবায় সমিতির লোকজন।
কিশোরগঞ্জ জেলা প্রশাসক ফৌজিয়া খান জানান, কিশোরগঞ্জের রাতাবোরো ধান ও জেলার ব্র্যান্ডিং পণ্য অষ্টগ্রামের পনির ভৌগোলিক নির্দেশক (জিআই) স্বীকৃতি এ জেলার কৃষি ও খাদ্যশিল্পের জন্য গুরুত্বপূর্ণ অর্জন। এতে স্থানীয় এ দুটি পণ্যের মান ও খ্যাতি বৃদ্ধিতে সহায়ক হবে।
ঢাকা/রুমন/বকুল