ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় খেলার মাঠে তিন দিনব্যাপী ‘তারুণ্যের উৎসব’–এর শেষ দিনে আজ সন্ধ্যায় পারফর্ম করেছে আর্টসেল। সন্ধ্যা সাতটায় ‘ধূসর সময়’ গানের মাধ্যমে কনসার্ট শুরু করে ব্যান্ডটি। এরপরই দ্বিতীয় গান ‘পথচলা’ গাইতে গিয়ে আপ্লুত হয়ে পড়েন ব্যান্ডের সদস্যরা। জানান, গানটি অর্ধেক লিখেই মারা যান গানটির গীতিকার।

আর্টসেল ব্যান্ডের জনপ্রিয় গানের একটি ‘পথচলা’। গানটি তাদের ‘অন্যসময়’ অ্যালবামের। গানটির গীতিকার তরিকুল ইসলাম রূপক। তবে গানটি শেষ করতে পারেননি তিনি। ‘পথচলা’ গানের প্রথম অংশ লেখার পরই দুরারোগ্য ব্যাধিতে আক্রান্ত হয়ে মারা যান তিনি। গানের শেষ অংশটি লেখেন রুম্মান আহমেদ।

‘আমি আজ নেই, তবুও কত সুর ওঠে বেজে তোমার ওই গানের মাঝে; এই পথ গেছে মিশে আমার বেলা শেষে’, এই অংশ লেখা হয় রূপককেই উদ্দেশ করেই। শুধু তা–ই নয়, এই অ্যালবামের ‘রূপক’ শিরোনামের গানটিও তাঁকে নিয়েই লেখা।
মঞ্চে রূপকের জন্য দোয়া চান ব্যান্ডটির ভোকাল ও লিড গিটারিস্ট লিংকন। বলেন, ‘আমাদের বন্ধুর জন্য সবাই প্রার্থনা করবেন। রূপক যেখানেই আছে, যেন ভালো থাকে।’

আর্টসেলের পরে নগরবাউল জেমসের পারফরম্যান্সের মধ্য দিয়ে শেষ হয়েছে তারুণ্যের উৎসব।

.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

কলিজা ঠান্ডা করে দেওয়া ছবি ‘উৎসব’

‘উৎসব’ দেখে মন ভরে গেছে। বাংলাদেশের সিনেমা দেখতে যাওয়া, বয়স হওয়ার পর, একটা বিড়ম্বনা। একটা কারণ, সিনেমা হলের বের হওয়ার দরজার মুখে ক্যামেরা দাঁড়িয়ে থাকে। বের হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে জিজ্ঞাসা করে, ‘কেমন দেখলেন।’ কী বলবেন? সিনেমা যাঁরা বানান, তাঁরা আমাদের ভাইবেরাদার, বোন-দুলাভাই, মামা-চাচা, ভাইপো-ভাইঝি, না হলে আমার আরেকটা নাটকের প্রডুসার, একটা চ্যানেলের মালিক, সত্য কথা বলে এই বয়সে বন্ধুহারা, ভাইহারা হতে কে চায়।

বেশির ভাগ সিনেমা শেষ পর্যন্ত দেখলে একটা উপকার হয়, নিজের ধৈর্যশক্তি বাড়ে, সহ্যক্ষমতা পোক্ত হয়! সম্পূর্ণ ভালো লেগেছে, এমন ছবি আমার তালিকায় খুব কম। একটা দুটোর নাম করি, ‘সূর্য দীঘল বাড়ি’, ‘মুক্তির গান’। ‘নিরন্তর’ ভালো লেগেছিল, ‘শঙ্খনাদ’ পছন্দ করেছিলাম, ‘টেলিভিশন’ কিংবা ‘স্বপ্নজাল’ দেখেও প্রশংসা করেছিলাম...এই রকম হাতে গোনা কয়েকটা ছবি। হাতে গোনা ব্যাপারটা হলো, আপনি হাতের আঙুল দিয়ে গুনতে পারবেন, অঙ্গুলিমেয়, আঙুলের দাগ ধরে ধরে গুনবেন, বিশটার বেশি হবে না। আমার মনে হয়, দুই হাতের দশটা আঙুলের চেয়ে বেশি বাংলাদেশি সিনেমার নাম আমি বলতে পারব না, যা আমার বেশ ভালো লেগেছে।

তানিম নূর পরিচালিত এবারের ঈদের ছবি ‘উৎসব’ দেখলাম ১৩ জুন ২০২৫। অপরাহ্ণ শো। দুদিন আগেই টিকিট কাটা ছিল। আমরা আটজনের একটা দল, বন্ধুবান্ধব, ছেলেমেয়েসমেত স্টার সিনেপ্লেক্সে গিয়ে হাজির। দীর্ঘ লাইনে দাঁড়িয়ে থাকতে হলো। এত বড় লাইন, সবার হাতে টিকিট, সবাই একটা সিনেমা দেখতে দাঁড়িয়ে আছেন হাসিমুখে, কী সুন্দর একটা দৃশ্য।

উৎসব সিনেমার পোস্টার

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে ফল উৎসব 
  • কপালে ১৩টি এবং থুতনিতে ৪টি সেলাই করা লাগে
  • দেশের পর এবার বিদেশেও ঈদের সিনেমার মুক্তি
  • বকুলতলায় বৃষ্টির সুর
  • কলকাতায় নতুন সিনেমার শুটিং শুরু করলেন জয়া
  • বর্ষা উৎসবে বন ও পরিবেশ ধ্বংসের প্রতিবাদ, পান্থকুঞ্জ পার্ক রক্ষাসহ কয়েকটি দাবি
  • নাচ-গান-আবৃত্তিতে চারুকলায় বর্ষাবরণ
  • মেঘ-রোদের লুকোচুরির সকালে নাচে-গানে বর্ষাবরণ 
  • মেঘ-রোদের লুকোচুরি সকালে নাচে-গানে বর্ষাবরণ 
  • কলিজা ঠান্ডা করে দেওয়া ছবি ‘উৎসব’