নওগাঁর রাণীনগরে গোপনে এক নারীর গোসলের ভিডিও ধারণ করে ইন্টারনেটে ছড়িয়ে দেওয়া ও টাকা দাবির অভিযোগে দু’জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আজ মঙ্গলবার তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।

গ্রেপ্তাররা হলো- সামিউল ইসলাম ও কালাম শেখ। তারা উপজেলার চকমনু পূর্বপাড়া গ্রামের বাসিন্দা।

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা রাণীনগর থানার এসআই মো.

নাজমুল হক বলেন, ১১ ফেব্রুয়ারি এক নারী গোসল করছিল। এ সময় মামলার এক নম্বর আসামি সামিউল গোপনে গোসলের ভিডিও ধারণ করে। এরপর ইন্টারনেটে বিভিন্ন মাধ্যমে ছড়িয়ে দেয়। ভিডিওটি ওই নারী ও তার পরিবারের নজরে এলে ভিডিওটি ডিলিট করেত বলা হয়। কিন্তু ভিডিওটি ডিলিট না করে নারীকে ব্ল্যাকমেইল করে টাকা দাবি করে। এ ঘটনায় আজ ভুক্তভোগী নারী বাদি হয়ে তিনজনকে আসামি করে রাণীনগর থানায় পর্নোগ্রাফি আইনে মামলা করেন।

রাণীনগর থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মোসলেম উদ্দীন বসুনিয়া বলেন, মামলার পরিপ্রেক্ষিতে দু’জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আজ বিকেলে তাদের আদালতে পাঠানো হয়েছে। মামলার অন্য আসামিকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: নওগ র ণ নগর

এছাড়াও পড়ুন:

রামগড়ে ভ্যাকসিন দেয়ার পর অর্ধশত গরু-ছাগলের মৃত্যু 

খাগড়াছড়ির রামগড় উপজেলার লামকুপাড়া এলাকায় উপজেলা প্রাণিসম্পদ অফিস থেকে ভ্যাকসিন দেয়ার ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে রোগাক্রান্ত গরু ও ছাগল মারা গেছে। গত ১৫ দিনে চারটি গরু ও প্রায় অর্ধশত ছাগলের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে এলাকায় ক্ষতিগ্রস্ত খামারিদের মধ্যে ক্ষোভ দেখা দিয়েছে।

আজ বৃহস্পতিবার (১ মে) দুপুরে এলাকা পরিদর্শন করে মৃত পশুর ময়নাতদন্ত ও রোগাক্রান্ত পশুর নমুনা সংগ্রহ করেছেন প্রাণিসম্পদ বিভাগের চট্টগ্রাম থেকে আসা মেডিকেল টিমের সদস্যরা। তারা এলাকায় এসে খামারিদের সঙ্গে কথা বলেন। পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য নমুনা সংগ্রহ করেন।

চট্টগ্রাম বিভাগীয় পরিচালকের পক্ষে ৬ সদস্যের তদন্ত টিমের নেতৃত্ব দেন চট্টগ্রাম জেলা ভেটেনারি কর্মকর্তা ডা. সাহব উদ্দিন।

আরো পড়ুন:

গোপালগঞ্জে মহাজনী সুদের চাপে শ্রমিকের মৃত্যু, দাবি পরিবারের

নোয়াখালীর মাদরাসায় শিক্ষার্থীর মৃত্যু, পরিবারের দাবি হত্যা 

স্থানীয়রা খামারিরা জানান, উপজেলা প্রাণিসম্পদ অফিসের পশু চিকিৎসকের পরামর্শে সরকারি ভ্যাকসিন দেয়ার পর এ ঘটনা ঘটেছে। খামারিরা মনে করছেন, এ সব ভ্যাকসিনে সমস্যা ছিল অথবা একই সিরিঞ্জে সবগুলো পশুকে ভ্যাকসিন দেয়ায় এ দুর্ঘটনা ঘটেছে। 

ভ্যাকসিন দেওয়ার ২৪ ঘণ্টার মধ্যে পশুর অতিরিক্ত জ্বর, চামড়ায় গুটি ও ক্ষতের সৃষ্টি হয়। ২৪ ঘণ্টা যেতে না যেতে গরু ও ছাগল মারা যায়। কোনো চিকিৎসায় আর বাঁচানো যাচ্ছে না।

প্রাণিসম্পদ বিভাগের পক্ষ থেকে মৃত পশু মাটিচাপা দেয়া এবং আক্রান্ত পশুকে অন্য পশু থেকে আলাদা রাখার পরামর্শ দেয়া হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত খামারিরা সরকারের কাছে ক্ষতিপূরণের দাবি জানিয়েছেন।

ঢাকা/রূপায়ন/বকুল 

সম্পর্কিত নিবন্ধ