কাঠবাদাম, আখরোট, কাজুবাদfম অনেকেরই পছন্দের।  এ কারণে কেউ কেউ এসব বাদাম একসঙ্গে বেশি করে কিনে রাখেন। তবে দীর্ঘদিন রাখলে একটা সময় পর বাদাম থেকে একটা তেলচিটে গন্ধ বেরোয়। না পচলেও তখন বাদামের স্বাদ এবং গুণমান নষ্ট হয়ে যায়। সেক্ষেত্রে দীর্ঘদিন বাদাম ভালো রাখতে কিছু ঘরোয়া উপায় বেছে নিতে পারেন। যেমন-

১. আর্দ্র বা স্যাঁতসেঁতে কোনও জায়গায় বাদাম রাখা ঠিক নয়। এতে বাদামের তরতাজা ভাব নষ্ট হবে। আলো বা তাপ বেশি, এমন জায়গাতেও বাদাম রাখা ঠিক নয়।

২.

বাদাম ভালো রাখতে এয়ার টাইট কৌটোয় রাখুন। সাধারণ কৌটোয় রাখলে বাদাম অল্প দিনেই নষ্ট হয়ে যেতে পারে। ঠিকঠাক জায়গায় না রাখলে বাদাম নষ্ট হয়ে যেতে পারে।

বাদাম মুচমুচে রাখতে কী করবেন-

১. বাদাম দীর্ঘ দিন ভালো রাখতে ফ্রিজে রাখতে পারেন। তাহলে বাদাম সহজে নষ্ট হবে না।  

২. বাদাম রাখতে পারেন জিপলকেও। এতে দীর্ঘদিন বাদাম মুচমুচে থাকবে। তা না হলে হাওয়া ঢুকে বাদাম নরম হয়ে যায়। 

৩. একবারে অনেক বেশি বাদাম না কিনে ১৫ দিনের মতো খাওয়া যায় এমন পরিমাণে বাদাম কিনুন। তাহলে নষ্ট হওয়ার ঝুঁকি থাকবে না। 

উৎস: Samakal

এছাড়াও পড়ুন:

রামগড়ে ভ্যাকসিন দেয়ার পর অর্ধশত গরু-ছাগলের মৃত্যু 

খাগড়াছড়ির রামগড় উপজেলার লামকুপাড়া এলাকায় উপজেলা প্রাণিসম্পদ অফিস থেকে ভ্যাকসিন দেয়ার ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে রোগাক্রান্ত গরু ও ছাগল মারা গেছে। গত ১৫ দিনে চারটি গরু ও প্রায় অর্ধশত ছাগলের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে এলাকায় ক্ষতিগ্রস্ত খামারিদের মধ্যে ক্ষোভ দেখা দিয়েছে।

আজ বৃহস্পতিবার (১ মে) দুপুরে এলাকা পরিদর্শন করে মৃত পশুর ময়নাতদন্ত ও রোগাক্রান্ত পশুর নমুনা সংগ্রহ করেছেন প্রাণিসম্পদ বিভাগের চট্টগ্রাম থেকে আসা মেডিকেল টিমের সদস্যরা। তারা এলাকায় এসে খামারিদের সঙ্গে কথা বলেন। পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য নমুনা সংগ্রহ করেন।

চট্টগ্রাম বিভাগীয় পরিচালকের পক্ষে ৬ সদস্যের তদন্ত টিমের নেতৃত্ব দেন চট্টগ্রাম জেলা ভেটেনারি কর্মকর্তা ডা. সাহব উদ্দিন।

আরো পড়ুন:

গোপালগঞ্জে মহাজনী সুদের চাপে শ্রমিকের মৃত্যু, দাবি পরিবারের

নোয়াখালীর মাদরাসায় শিক্ষার্থীর মৃত্যু, পরিবারের দাবি হত্যা 

স্থানীয়রা খামারিরা জানান, উপজেলা প্রাণিসম্পদ অফিসের পশু চিকিৎসকের পরামর্শে সরকারি ভ্যাকসিন দেয়ার পর এ ঘটনা ঘটেছে। খামারিরা মনে করছেন, এ সব ভ্যাকসিনে সমস্যা ছিল অথবা একই সিরিঞ্জে সবগুলো পশুকে ভ্যাকসিন দেয়ায় এ দুর্ঘটনা ঘটেছে। 

ভ্যাকসিন দেওয়ার ২৪ ঘণ্টার মধ্যে পশুর অতিরিক্ত জ্বর, চামড়ায় গুটি ও ক্ষতের সৃষ্টি হয়। ২৪ ঘণ্টা যেতে না যেতে গরু ও ছাগল মারা যায়। কোনো চিকিৎসায় আর বাঁচানো যাচ্ছে না।

প্রাণিসম্পদ বিভাগের পক্ষ থেকে মৃত পশু মাটিচাপা দেয়া এবং আক্রান্ত পশুকে অন্য পশু থেকে আলাদা রাখার পরামর্শ দেয়া হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত খামারিরা সরকারের কাছে ক্ষতিপূরণের দাবি জানিয়েছেন।

ঢাকা/রূপায়ন/বকুল 

সম্পর্কিত নিবন্ধ