চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির ফাইনালে উঠেছে ভারত। আগামী ৯ মার্চ নিউজিল্যান্ডের মুখোমুখি হবে রোহিত শর্মা-বিরাট কোহলিরা। টুর্নামেন্টের আয়োজক পাকিস্তান হলেও ভারত খেলছে নিরপেক্ষ ভেন্যু দুবাইতে। এতে তারা একই ভেন্যুতে পুরো টুর্নামেন্ট খেলার সুযোগ পাচ্ছে। 

যেখানে অস্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ড ও দক্ষিণ আফ্রিকাকে ছোটাছুটি করতে হয়েছে। হুট করে মানিয়ে নিতে হয়েছে নতুন কন্ডিশন ও উইকেটের সঙ্গে। নিউজিল্যান্ডের কাছে হেরে সেমিফাইনাল থেকে বিদায় নেওয়া দক্ষিণ আফ্রিকা যেমন লাহোর টু দুবাই টু লাহোর করে ১৮ ঘণ্টা ভ্রমণের ওপর ছিল।

ভারত তাই অন্যদের চেয়ে বেশি সুবিধা পাচ্ছে এমন অভিযোগ আগেই করেছেন রিকি পন্টিং, ডেল স্টেইন, নাসের হুসেইন ও মাইকেল আর্থারটনসহ অনেকে। 

তবে ভারতের দিক থেকে ওই  অভিযোগ বরাবরই নাকোচ করা হয়েছে। রোহিত শর্মা যেমন বলেছিলেন- এটা তো আমাদের ঘর না। এখানে আমরা নিয়মিত খেলি না। তাহলে সুবিধা কীভাবে পাচ্ছি? ভারতের কোচ গৌতম গম্ভীর সুবিধা পাওয়া নিয়ে প্রশ্ন করায় সাংবাদিকের ওপর চড়াও হয়েছিলেন। বলেছিলেন- এটা নিরপেক্ষ ভেন্যু। অন্যদের জন্য যা আমাদের জন্যও তাই।  

অথচ এবার দলটির অভিজ্ঞ পেসার মোহাম্মদ শামি স্বীকার করেছেন, ভারত একই ভেন্যুতে সব ম্যাচ খেলায় কিছু বাড়তি সুবিধা পাচ্ছে, ‘অবশ্যই আমরা কিছু সুবিধা পাচ্ছি। একই ভেন্যুতে টুর্নামেন্ট খেলার কিছু সুবিধা তো আছেই, কারণ আমরা উইকেটের আচরণ সম্পর্কে ভালো ধারণা পেয়েছি।’ 

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ম হ ম মদ শ ম

এছাড়াও পড়ুন:

নড়াইলে সরকারি গাছ বিক্রির অভিযোগে চেয়ারম্যানসহ ১৩ জনের বিরুদ্ধে মামলা

নড়াইল সদর উপজেলার শাহাবাদ ইউনিয়নে সড়কের পাশে সরকারি গাছ চুরি করে বিক্রির অভিযোগে মামলা হয়েছে। গতকাল বুধবার রাতে শাহবাদ ইউনিয়ন ভূমি সহকারী কর্মকর্তা মশিউর রহমান বাদী হয়ে সদর থানায় মামলাটি করেন।

মামলায় ওই ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান জিয়াউর রহমানসহ ১৩ জন আসামি করা হয়েছে। অন্য আসামিরা হলেন প্রশিকা নড়াইল উন্নয়ন এলাকা ব্যবস্থাপক শাহাব উদ্দিন ও প্রশিকার গঠিত সংগঠন প্রভাতী যুব সংঘের সভাপতি নড়াইল সদর উপজেলার তুজরডাঙ্গা এলাকার মুজিবুর রহমান, সদস্য একই এলাকার জরিনা বেগম, রজব আলী, মো. আজিবর, মো. ইলিয়াছ, ইমান আলী, মো. ওমর, মো. হায়দার, আবু সাঈদ, মো. এনামুল ও মো. শরিফুল।

এ বিষয়ে আজ বৃহস্পতিবার সকালে নড়াইল সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাজেদুল ইসলাম বলেন, ‘সরকারি গাছ চুরি করে বিক্রির অভিযোগে একটি মামলা হয়েছে। ঘটনার তদন্ত করে দোষী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে আইনানুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

মামলার এজহারে বাদী অভিযোগ করেছেন, গত ২৯ এপ্রিল নড়াইল সদর উপজেলার শাহাবাদ বাজার থেকে হাজির বটতলা পর্যন্ত সরকারি রাস্তার জায়গা থেকে গাছ কাটা ও চুরি করে বিক্রির সংবাদ পেয়ে তিনি ঘটনাস্থলে যান। উপস্থিত হয়ে দেখেন, কাটা গাছবোঝাই একটি ট্রাক এবং নছিমন জব্দ করেছেন নড়াইল সদর উপজেলা ভূমি অফিসের সহকারী কমিশনার দেবাশীষ অধিকারী। তখন ঘটনাস্থলে শ্রমিকদের জিজ্ঞাসাবাদ ও খোঁজ নিয়ে জানতে পারেন, মামলার আসামিরা কোনো ধরনের অনুমতি ছাড়াই খাসজমি থেকে গাছ কেটে বিক্রি করেছেন। এর আগেও একবার তাঁরা ওই জমি থেকে গাছ বিক্রি করেছিলেন। জব্দ করা গাছের লগ, ডালপালা এবং আগে কাটা গাছের অবশিষ্ট ভূমিসংলগ্ন গুঁড়ি পর্যবেক্ষণ করে বোঝা গেছে, ওই স্থান থেকে আনুমানিক পাঁচ লাখ টাকার অধিক গাছ চুরি করে কাটা ও বিক্রি হয়েছে।  

প্রশিকা নড়াইল উন্নয়ন এলাকার ব্যবস্থাপক শাহাব উদ্দিন বলেন, ২০০৯ সালে প্রশিকা, ইউনিয়ন পরিষদ ও প্রভাতী যুব সংঘের যৌথ উদ্যোগে একটি চুক্তির মাধ্যমে সড়কের পাশে গাছগুলো রোপণ করেছিল। সে সময় সড়কটি খাস খতিয়ানভুক্ত ছিল না। বর্তমানে তা সরকারের আওতায় পড়ায় গাছ কাটার অনুমতি চেয়ে ইউএনওর কাছে আবেদন করা হয়েছিল, তবে প্রশাসন কোনো সিদ্ধান্ত দেয়নি।  কিছুদিন আগে ইউপি সদস্য ইব্রাহিম তাঁকে ফোনে জানান, বিদ্যুৎ বিভাগের কাটা ডালপালা বিক্রি করতে চান চেয়ারম্যান। বিদ্যুৎ বিভাগের কাটা ডালপালাগুলো পড়ে থেকে নষ্ট হবে ভেবে তিনি বিক্রিতে সম্মতি দেন। পরে গাছ কীভাবে বা কারা কেটেছে, তা তিনি জানেন না।

মামলা করার আগে অবৈধভাবে গাছ কাটার অভিযোগের ব্যাপার জানতে চাইলে ইউপি চেয়ারম্যান জিয়াউর রহমান বলেছিলেন, প্রশিকার সঙ্গে চুক্তির একটি পক্ষ ছিল ইউনিয়ন পরিষদ। সেই হিসেবে গাছ কাটার অনুমতি নিতে ইউএনও বরাবর প্রশিকার আবেদন তিনি চেয়ারম্যান হিসেবে সুপারিশ করেছিলেন। তবে গাছ কেটেছে প্রশিকা আর তাদের সংগঠন। এখানে চেয়ারম্যান-মেম্বরের কিছু নেই।

নড়াইল সদর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) দেবাশীষ অধিকারী বলেন, প্রশিকার চুক্তির সময় সড়কটি ব্যক্তিমালিকানাধীন জমিতে ছিল, পরে ২০১৫ সালে এটি খাস খতিয়ানভুক্ত হয়। খাসজমি থেকে গাছ কাটা বেআইনি। এ কারণে তাঁদের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ