নড়াইলে ঋণের টাকা তুলে না দেওয়ার কারণে স্ত্রী রেহেনা বেগমের (৩৫) গলায় ছুরিকাঘাত করে ‘হত্যাচেষ্টা’ করেছেন ভ্যানচালক স্বামী মাজারুল বিশ্বাস। আহত গৃহবধূকে নড়াইল আধুনিক সদর হাসপাতলে ভর্তি করা হয়েছে।

মঙ্গলবার (১৮মার্চ) দুপুরের দিকে মাগুরা জেলার শালিখা উপজেলার গঙ্গারামপুর গ্রামে ঘটনাটি ঘটে।

বুধবার (১৯ মার্চ) সকালে শালিখা থানার ওসি ওলি মিয়া বলেন, “লিখিত অভিযোগ পেলে তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

আরো পড়ুন:

ঈদের ছুটিতে হাসপাতালে সেবা নিশ্চিত করতে সরকারের ১৬ নির্দেশনা

ঠাকুরগাঁওয়ে ছুরিকাঘাতে চাচা-চাচিসহ ৪ জন হাসপাতালে

নড়াইল আধুনিক সদর হাসপাতালে আহতের স্বজন ইয়াসিন মুনসী বলেন, “স্থানীয় একটি সমিতির কাছে ১ লাখ টাকা ঋণ রয়েছে। এরই মধ্যে মাজারুল বিশ্বাস আবারো তাকে সমিতি থেকে ২ লাখ টাকা ঋণ এনে দিতে চাপ দেন রেহেনাকে। এ নিয়ে মঙ্গলবার সকালে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে মাজারুল রেহেনাকে ধাক্কা দিয়ে মেঝেতে ফেলে দেন। পরে তিনি রেহানার গলায় ছুরি চালিয়ে তাকে হত্যাচেষ্টা করেন।

চিৎকার শুনে প্রতিবেশীরা এগিয়ে আসলে মাজারুল পালিয়ে যান। পরে স্বজনরা রেহেনাকে উদ্ধার করে নড়াইল আধুনিক সদর হাসপাতাল নিয়ে আসে।”

নড়াইল আধুনিক সদর হাসপাতালে সহকারী সার্জন ডা.

সোহেলী জামান বলেন, “রেহেনা বেগমকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ভর্তি করা হয়েছে। তিনি আশঙ্কা মুক্ত আছেন।”

ঢাকা/শরিফুল/মাসুদ

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর আহত অভ য গ

এছাড়াও পড়ুন:

রামগড়ে ভ্যাকসিন দেয়ার পর অর্ধশত গরু-ছাগলের মৃত্যু 

খাগড়াছড়ির রামগড় উপজেলার লামকুপাড়া এলাকায় উপজেলা প্রাণিসম্পদ অফিস থেকে ভ্যাকসিন দেয়ার ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে রোগাক্রান্ত গরু ও ছাগল মারা গেছে। গত ১৫ দিনে চারটি গরু ও প্রায় অর্ধশত ছাগলের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে এলাকায় ক্ষতিগ্রস্ত খামারিদের মধ্যে ক্ষোভ দেখা দিয়েছে।

আজ বৃহস্পতিবার (১ মে) দুপুরে এলাকা পরিদর্শন করে মৃত পশুর ময়নাতদন্ত ও রোগাক্রান্ত পশুর নমুনা সংগ্রহ করেছেন প্রাণিসম্পদ বিভাগের চট্টগ্রাম থেকে আসা মেডিকেল টিমের সদস্যরা। তারা এলাকায় এসে খামারিদের সঙ্গে কথা বলেন। পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য নমুনা সংগ্রহ করেন।

চট্টগ্রাম বিভাগীয় পরিচালকের পক্ষে ৬ সদস্যের তদন্ত টিমের নেতৃত্ব দেন চট্টগ্রাম জেলা ভেটেনারি কর্মকর্তা ডা. সাহব উদ্দিন।

আরো পড়ুন:

গোপালগঞ্জে মহাজনী সুদের চাপে শ্রমিকের মৃত্যু, দাবি পরিবারের

নোয়াখালীর মাদরাসায় শিক্ষার্থীর মৃত্যু, পরিবারের দাবি হত্যা 

স্থানীয়রা খামারিরা জানান, উপজেলা প্রাণিসম্পদ অফিসের পশু চিকিৎসকের পরামর্শে সরকারি ভ্যাকসিন দেয়ার পর এ ঘটনা ঘটেছে। খামারিরা মনে করছেন, এ সব ভ্যাকসিনে সমস্যা ছিল অথবা একই সিরিঞ্জে সবগুলো পশুকে ভ্যাকসিন দেয়ায় এ দুর্ঘটনা ঘটেছে। 

ভ্যাকসিন দেওয়ার ২৪ ঘণ্টার মধ্যে পশুর অতিরিক্ত জ্বর, চামড়ায় গুটি ও ক্ষতের সৃষ্টি হয়। ২৪ ঘণ্টা যেতে না যেতে গরু ও ছাগল মারা যায়। কোনো চিকিৎসায় আর বাঁচানো যাচ্ছে না।

প্রাণিসম্পদ বিভাগের পক্ষ থেকে মৃত পশু মাটিচাপা দেয়া এবং আক্রান্ত পশুকে অন্য পশু থেকে আলাদা রাখার পরামর্শ দেয়া হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত খামারিরা সরকারের কাছে ক্ষতিপূরণের দাবি জানিয়েছেন।

ঢাকা/রূপায়ন/বকুল 

সম্পর্কিত নিবন্ধ