৮ দিনেও আসামি গ্রেপ্তার না হওয়ায় বিক্ষোভ
Published: 25th, April 2025 GMT
উল্লাপাড়া উপজেলা বিএনপির সাবেক সদস্য সচিব আজাদ হোসেনের ওপর হামলার মামলায় আসামিদের আট দিনেও গ্রেপ্তার করতে না পারায় বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করা হয়েছে। গতকাল শুক্রবার উপজেলা বিএনপি ও এর অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা এ কর্মসূচির আয়োজন করেন।
এ সময় বক্তারা আসামিদের গ্রেপ্তার করতে না পারা পুলিশের ব্যর্থতা বলে উল্লেখ করেন। তারা অবিলম্বে সব আসামির গ্রেপ্তার দাবি করেন। এর আগে শহরে বিক্ষোভ মিছিল করেন তারা। আজাদ হোসেনকে হত্যাচেষ্টা মামলার প্রধান আসামি হাফিজুর রহমানকে সেনাবাহিনীর সহযোগিতায় পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে।
গত ১৮ এপ্রিল থানা ফটকের সামনে তাঁর ওপর হামলার ঘটনা ঘটে। আসামি গ্রেপ্তার না হওয়ায় শুক্রবার শহীদ মিনারের পাদদেশে উপজেলা বিএনপির সাবেক আহ্বায়ক আব্দুল ওয়াহাবের সভাপতিত্বে প্রতিবাদ সমাবেশ করা হয়েছে। বক্তব্য দেন উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য সচিব আলামিন হোসেন, যুবদলের আহ্বায়ক গোলাম মোস্তফা, সদস্য সচিব লিকসন কুমার আমিন প্রমুখ।
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: উপজ ল
এছাড়াও পড়ুন:
হামাসকে সশস্ত্র থাকার অনুমতি দেওয়া হয়েছে: ট্রাম্প
ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী গোষ্ঠী হামাস যুক্তরাষ্ট্রের অনুমতিক্রমেই গাজায় পুনরায় সশস্ত্র হয়েছে।মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প নিজেই এই কথা বলেছেন।
ট্রাম্পের দাবি, যুদ্ধবিধ্বস্ত অঞ্চলটিলে শৃঙ্খলা বজায় রাখার জন্য গোষ্ঠীটিকে ‘কিছু সময়ের জন্য’ সশস্ত্র থাকার জন্য যুক্তরাষ্ট্রই অনুমতি দিয়েছে। খবর আলজাজিরার।
আরো পড়ুন:
ট্রাম্পের শান্তি প্রস্তাবে হামাস যা বলল
হামাসের ইতিবাচক সাড়া, গাজায় হামলা থামাতে বললেন ট্রাম্প
সোমবার ইসরায়েলে পৌঁছানোর আগে এয়ার ফোর্স ওয়ানে থাকা এক সাংবাদিক ‘গাজায় হামাস পুনরায় সশস্ত্র হয়েছে এবং নিজেদেরকে ফিলিস্তিনি পুলিশ বাহিনী হিসেবে প্রতিষ্ঠা করছে’- এমন প্রতিবেদন সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করলে ট্রাম্প বলেন, “হামাস যুদ্ধবিধ্বস্ত গাজায় শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করছে।”
মার্কিন প্রেসিডেন্ট বলেন, “এ বিষয়ে হামাসের অবস্থান স্পষ্ট ছিল এবং আমরা তাদেরকে কিছু সময়ের জন্য এই অনুমোদন দিয়েছি।”
ট্রাম্প আরো বলেন, “আপনাকে বুঝতে হবে- যুদ্ধে তারা সম্ভবত ৬০ হাজার মানুষকে হারিয়েছে। এটা অনেক প্রতিশোধের বিষয়।”
গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের মতে, ইসরায়েলি হামলায় এখন পর্যন্ত ৬৭ হাজারেরও বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন, যাদের মধ্যে ২০ হাজারের বেশি শিশু।
ট্রাম্প আরো বলেন, “যুক্তরাষ্ট্র নিশ্চিত করতে চায় গাজার বাসিন্দারা যেন নিরাপদে ঘরে ফিরতে পারে এবং পুনর্গঠন শুরু করতে পারে।” তিনি গাজাকে বর্ণনা করেন ‘আক্ষরিক অর্থেই ধ্বংসপ্রাপ্ত’ অঞ্চল হিসেবে এবং সতর্ক করে বলেন, “মানুষ ফিরতে শুরু করলে অনেক ভয়াবহ ঘটনা ঘটতে পারে।”
হামাসের অস্ত্র সমর্পণ বা নিরস্ত্রীকরণের সময়সূচি এখন যুদ্ধবিরতি চুক্তির অন্যতম বড় বিতর্কের বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। আলোচকেরা এখনো একমত হতে পারেননি, কীভাবে এবং কখন এই নিরস্ত্রীকরণ কার্যকর হবে।
ট্রাম্প আজ সোমবার ইসরায়েলে ৪ ঘণ্টার সফর শেষে ট্রাম্প মিসরের উদ্দেশ্যে রওনা দেবেন। গাজায় সংঘাত বন্ধে মিসরের পর্যটন শহর শারম আল-শেখে আলোচনায় বসছেন বিশ্বনেতারা। সেখানে হামাস ও ইসরায়েলের মধ্যে এরইমধ্যে যে যুদ্ধবিরতি চুক্তি হয়েছে, তাতে ট্রাম্প সই করতে পারেন বলে মনে করা হচ্ছে।
এই চুক্তি অনুষ্ঠানের সহ-সভাপতিত্ব করবেন মিসরের প্রেসিডেন্ট আবদেল ফাত্তাহ আল-সিসি ও মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ২০টির বেশি দেশের শীর্ষপর্যায়ের নেতারা এই সম্মেলনে যোগ দেবেন। সম্মেলনে যোগ দিতে এরইমধ্যে মিসরে পৌঁছেছেন যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমার।
ঢাকা/ফিরোজ