সব প্রবাসী বাংলাদেশি ভোটারদের ‘পোস্টাল ব্যালটের’ মাধ্যমে ভোট দেওয়ার জন্য নিবন্ধন অ্যাপ উন্মুক্ত করার আড়াই ঘণ্টার মাথায় ঠিকানা–সংক্রান্ত জটিলতায় সাতটি দেশের নিবন্ধন কার্যক্রম স্থগিত করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। আগামীকাল শুক্রবার সকাল থেকে পুনরায় এসব দেশে নিবন্ধন শুরু করার কথা জানিয়েছে সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানটি। গতকাল বুধবার দিবাগত রাত ১২টার পর সবার জন্য নিবন্ধন অ্যাপ উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়।

বর্তমানে সৌদি আরব, কাতার, বাহরাইন, ওমান, কুয়েত, আরব আমিরাত ও মালয়েশিয়ার ভোটাররা তাঁদের ঠিকানা দিয়ে নিবন্ধন করতে গিয়ে জটিলতায় পড়ে নিবন্ধন করতে পারছেন না।

বিষয়টি তুলে ধরে আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন কমিশন (ইসি) ভবনে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন আউট অব কান্ট্রি ভোটিং (ওসিভি) প্রকল্পের টিম লিডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.

) সালিম আহমেদ খান। তিনি বলেন, ‘কালকে রাতে যখন আমরা শুরু করেছি, শুরু করার পর রেসপন্স খুব হাই ছিল।...আনুমানিক আড়াইটার দিকে আমরা দেখলাম যে আমাদের স্পেশালি সাতটা দেশে সৌদি আরব, কাতার, বাহরাইন, ওমান, কুয়েত আর এদিকে মালয়েশিয়া...ইউনাইটেড আরব এমিরেটসসহ এই কয়টা দেশের প্রবাসী ভোটাররা ওনাদের কিছু অ্যাড্রেসে ভুল হচ্ছে। অ্যাড্রেসগুলো ওনারা ঠিকমতো দিতে পারছেন না।’

প্রবাসী বাংলাদেশি ভোটারদের ঠিকানা ভুল হলে তাঁদের ব্যালট পৌঁছাবে না উল্লেখ করে সালিম আহমেদ খান বলেন, ‘আমরা যখন নোটিশ করলাম, তখন আমরা একটা সিদ্ধান্ত নিলাম যে এখন এই সাতটা দেশে বন্ধ রাখাটাই ভালো হবে সাময়িকভাবে।’

সালিম আহমেদ খান বলেন, এ নিয়ে কাজ হচ্ছে। সকাল থেকে ওই দেশগুলোর দূতাবাসের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছে। কাল সকালের মধ্যে অ্যাপটা উন্মুক্ত করে দেওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে। এ ছাড়া ভোটারদের সঙ্গে যোগাযোগ এবং যেকোনো জটিলতার সমাধানে বোটিম, ইমো, হোয়াটসঅ্যাপসহ বিকল্প মাধ্যমে কাজের কথাও জানান তিনি।

এ সময় এক সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাবে ইসি সচিবালয়ের জ্যেষ্ঠ সচিব আখতার আহমেদ বলেন, ‘প্রবাসী ভোটারদের অন্তর্ভুক্তির ব্যাপারে এক্সপেক্টেশন যেটা হাই ছিল, এখনো আমাদের হাই আছে।’ নিবন্ধন–সংক্রান্ত সৃষ্ট জটিলতা শিগগিরই কেটে যাবে জানিয়ে তিনি বলেন, নিবন্ধনের সময়সীমা আগামী ১৮ ডিসেম্বর পর্যন্তই থাকছে।

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: প রব স আহম দ

এছাড়াও পড়ুন:

৯ ব্রোকার হাউজকে ফিক্স সার্টিফিকেশন দিল ডিএসই

নয় ব্রোকারেজ হাউজকে ফিক্স সার্টিফিকেশন ও একটি ব্রোকারেজ হাউজকে রিসার্টিফিকেশন প্রদান করেছে দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই)। এপিআই সংযোগের মাধ্যমে নিজস্ব ওএমএস চালুকরণের লক্ষ্যে ডিএসই প্রতিষ্ঠানুগলোকে ফিক্স সার্টিফিকেশন প্রদান করে।

বৃহস্পতিবার (২৭ নভেম্বর) ডিএসই’র বোর্ডরুমে প্রতিষ্ঠানগুলোকে ফিক্স সার্টিফিকেশন প্রদান করেন প্রতিষ্ঠানটির প্রধান পরিচালনা কর্মকর্তা ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক (ভারপ্রাপ্ত) মোহাম্মদ আসাদুর রহমান৷

আরো পড়ুন:

ডিএসইর চিঠির জবাব দেয়নি খুলনা প্রিন্টিং

ইস্টার্ন কেবলসের প্রথম প্রান্তিকে লোকসান কমেছে ৫৬.২৫ শতাংশ

এ সময় উপস্থিত ছিলেন ডিএসই’র প্রধান প্রযুক্তি কর্মকর্তা ড. মো. আসিফুর রহমান, আইসিটি ডিভিশনের জেনারেল ম্যানেজার মো. তারিকুল ইসলাম, উপ-মহাব্যবস্থাপক হাসানুল করিমসহ ডিএসইর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।

ডিএসইর প্রকাশনা ও জনসংযোগ বিভাগের উপ-মহাব্যবস্থাপক মো. শফিকুর রহমান স্বাক্ষরিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানা গেছে।

ব্রোকারেজ হাউজগুলো পক্ষে সার্টিফিকেশন গ্রহণ করেন বাংলাদেশ ফাইন্যান্স সিকিউরিটিজ লিমিটেডের এমডি এবং সিইও খন্দকার মাহমুদুল হাসান; ফিনট্রা সিকিউরিটিজ লিমিটেডের এমডি অজিত কুমার বণিক; আইডিএলসি সিকিউরিটিজ লিমিটেডের এমডি এ. এইচ. এম. নাজমুল হাসান; আইআইডিএফসি সিকিউরিটিজ লিমিটেডের সিইও মোঃ নাজমুল হাসান চৌধুরী; লংকাবাংলা সিকিউরিটিজ পিএলসির সিইও খন্দকার সাফাত রেজা; এমটিবি সিকিউরিটিজ লিমিটেডের েসিইও মোঃ নজরুল ইসলাম মজুমদার; এসএআর সিকিউরিটিজ লিমিটেডের পরিচালক শরীফ তাশরুবা রহমান; সাউথ এশিয়া সিকিউরিটিজ লিমিটেডের সিইও মোঃ আলা উদ্দিন পাটোয়ারী এবং ওয়াইফাং সিকিউরিটিজ লিমিটেডের সিইও মোঃ মাসুদুজ্জামান। এর মধ্যে লংকাবাংলা সিকিউরিটিজ পিএলসির রিসার্টিফিকেশন দেওয়া হয়েছে।

ফিক্স সার্টিফিকেশন প্রদান অনুষ্ঠানে ডিএসই'র প্রধান পরিচালন কর্মকর্তা ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক (ভারপ্রাপ্ত) মোহাম্মদ আসাদুর রহমান বলেন, ‘‘পুঁজিবাজারের ডিজিটাল রূপান্তরের অংশ হিসেবে ডিএসই কাজ করছে। নিয়ন্ত্রক মান বজায় রেখে ডিএসইকে গ্রাহক–কেন্দ্রিক সেবাধর্মী সংস্থায় রূপ দেওয়াই যার লক্ষ্য। স্টেকহোল্ডারদের সঙ্গে সম্পৃক্ততা বাড়াতে ইতিমধ্যে বিজিএমইএ, সিরামিক ও এগ্রো–কেমিক্যালসহ বিভিন্ন শিল্প খাতের সঙ্গে বৈঠক করেছে। ডিএসই আশা করছে, ডিসেম্বর ২০২৫-এর মধ্যে ওয়েবসাইটের আধুনিক ল্যান্ডিং পেজ, ট্রেকহোল্ডারদের অনলাইন ডকুমেন্ট সাবমিশন ব্যবস্থা এবং স্টেকহোল্ডার–ফিডব্যাক ভিত্তিক কমপ্লায়েন্স ও ডেটা–প্রবাহ উন্নয়নসহ নতুন ডিজিটাল সেবা উদ্যোগ উন্মোচিত হবে।’’ 

ডিএসইর প্রধান প্রযুক্তি কর্মকর্তা ড. আসিফুর রহমান বলেন, ‘‘স্টক এক্সচেঞ্জের প্রযুক্তি ব্যাংকিং থেকে ভিন্ন—এখানে এক মুহূর্তের সার্ভিসও পুরো বাজারে তাৎক্ষণিক প্রভাব ফেলতে পারে। তাই আমাদের সবসময় সতর্ক, মনোযোগী এবং স্ট্যান্ডার্ড-কমপ্লায়েন্ট থাকতে হয়। সাম্প্রতিক সেন্ট্রালাইজড সিস্টেম ইন্টিগ্রেশনের মাধ্যমে আমাদের প্রযুক্তির অবস্থান এখন গ্লোবাল স্ট্যান্ডার্ডের খুব কাছাকাছি, কিছু ক্ষেত্রে আরও এগিয়েও। ওএমএস এপ্লিকেশনে স্থানীয় টিমকে সুযোগ দেওয়া কেবল প্রযুক্তিগত অগ্রগতি নয়—এটি দেশের জন্য একটি গর্বের অর্জন।’’ 

২০২০ সাল থেকে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ এপিআই (অ্যাপ্লিকেশন প্রোগ্রাম ইন্টারফেস) ভিত্তিক বিএইচওএমএস চালুর উদ্যোগ গ্রহণ করে। এরই প্রেক্ষিতে ৭২টি ব্রোকারেজ হাউজ নাসডাক ম্যাচিং ইঞ্জিনে এপিআই সংযোগ নিয়ে নিজস্ব অর্ডার ম্যানেজমেন্ট সিস্টেমের মাধ্যমে লেনদেন করার জন্য ডিএসইতে আবেদন করেন। আজকের ৮টিসহ মোট ৪৭টি ব্রোকার হাউজকে ফিক্স সার্টিফিকেশন প্রদান করা হয়েছে৷ এর মধ্যে ৩৫টি ব্রোকার হাউজ ফিক্স সার্টিফিকেশন পাওয়ার পর তারা এপিআই সংযোগের মাধ্যমে নিজস্ব ওএমএস চালু করেছে।

ঢাকা/এনটি/বকুল 

সম্পর্কিত নিবন্ধ