পাকিস্তান সেনাবাহিনী আজাদ জম্মু ও কাশ্মীরের (এজেকে) নিয়ন্ত্রণ রেখার (এলওসি) কাছে একটি ভারতীয় কোয়াডকপ্টার ড্রোন গুলি করে ভূপাতিত করেছে। মঙ্গলবার দেশটির সরকারি গণমাধ্যম এ তথ্য জানিয়েছে।

২২ এপ্রিল ভারত নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের পহেলগামে সন্ত্রাসী হামলায় ২৬ জন নিহত হন, যাদের বেশিরভাগই পর্যটক ছিলেন। দ্য রেজিস্ট্যান্স ফ্রন্ট নামে পরিচিত একটি গোষ্ঠী এ হামলার দায় স্বীকার করেছিল। ভারত কোনো ধরনের প্রমাণ ছাড়াই এই হামলার জন্য পাকিস্তানকে দায়ী করে আসছে। পহেলগামের ঘটনার পর থেকে ভারত-পাকিস্তান সীমান্তে গুলি বিনিময় হচ্ছে।

রেডিও পাকিস্তান এবং পিটিভি নিউজ নিরাপত্তা সূত্রের বরাত দিয়ে বলেছে, “পাকিস্তান তাদের আকাশসীমা লঙ্ঘন প্রতিহত করে নিয়ন্ত্রণ রেখা বরাবর একটি ভারতীয় কোয়াডকপ্টার সফলভাবে ভূপাতিত করেছে।”

অবস্থান নির্দিষ্ট করে নিরাপত্তা সূত্র বলেছে, “শত্রুরা আজাদ জম্মু ও কাশ্মীরের ভিম্বর জেলার মানাওয়ার সেক্টরে একটি কোয়াডকপ্টার ব্যবহার করে নজরদারি চালানোর চেষ্টা করেছিল। পাকিস্তান সেনাবাহিনী সময়োপযোগী পদক্ষেপের মাধ্যমে শত্রুর এই ঘৃণ্য প্রচেষ্টা ব্যর্থ করে দিয়েছে।”
 

ঢাকা/শাহেদ

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

বিজয়ের ব্যাটে খুলনার দাপুটে জয়

জাতীয় ক্রিকেট লিগে টি-টোয়েন্টিতে নিজেদের পঞ্চম ম্যাচে দাপুটে জয় পেয়েছে খুলনা বিভাগ। আজ শুক্রবার (০৩ অক্টোবর) বিকেলে সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে বরিশাল বিভাগকে তারা হারিয়েছে ৮ উইকেটের ব্যবধানে। আর সেটা সম্ভব হয়েছে এনামুল হক বিজয়ের ব্যাটিং দৃঢ়তায়।

বরিশাল আগে ব্যাট করতে নেমে ৭ উইকেটে ১৩৭ রান তোলে। জবাবে বিজয়ের অপরাজিত ৭২ রানের ইনিংসে ভর করে ১৬.৩ ওভারে ২ উইকেট হারিয়ে জয়ের বন্দরে নোঙর করে খুলনা।

আরো পড়ুন:

নাসিরের অলরাউন্ড নৈপুণ্যে চট্টগ্রামের জয়রথ থামাল রংপুর

শেষ ওভারের রোমাঞ্চে খুলনার ৩ রানের জয়

রান তাড়া করতে নেমে উদ্বোধনী জুটিতে ৫ ওভারেই ৪৩ রান তোলেন বিজয় ও ইমরানুজ্জামান। এই রানে জাহেদুল হক জায়েদের বলে রুয়েল মিয়ার হাতে ক্যাচ দিয়ে আউট হন ইমরানুজ্জামান। তিনি ২১ বলে ৩টি চার ও ২ ছক্কায় ৩০ রানের ইনিংস খেলে যান।

সেখান থেকে বিজয় ও আফিফ হোসেন দলীয় সংগ্রহকে টেনে নেন ১১০ পর্যন্ত। এরপর আফিফ ফিরেন ৩ চারে ২১ রান করে। তার উইকেটটি নেন মোহাম্মদ মঈনুল ইসলাম। সেখান থেকে অধিনায়ক মোহাম্মদ মিঠুনকে সঙ্গে নিয়ে দলকে জিতিয়ে মাঠ ছাড়েন বিজয়। শেষ পর্যন্ত ৪৭ বলে ৬টি চার ও ৩ ছক্কায় ৭২ রানের ইনিংস খেলে মাঠ ছাড়েন তিনি। আর মিঠুন ১ চারে অপরাজিত থাকেন ৮ রানে।

তার আগে বরিশালের টপ অর্ডারের তিন ব্যাটসম্যান মোটামুটি রান পান। তার মধ্যে ইফতেখার হোসেন ইফতি ৩ চার ও ১ ছক্কায় ৩৪, ফজলে মাহমুদ ১ চারে ৩২ ও আজমির আহমেদ ২ চার ও ২ ছক্কায় করেন ২৪ রান। এরপর সালমান হোসেন ইমনের ১৫ ও সোহাগ গাজীর অপরাজিত ১৫ রানের ইনিংসে ভর করে ৭ উইকেট হারিয়ে ১৩৭ রান পর্যন্ত যেতে পারে বরিশাল।

বল হাতে খুলনার জিয়াউর রহমান ২ ওভারে ১৪ রান দিয়ে ২টি উইকেট নেন। শেখ পারভেজ জীবন ৪ ওভারে ২৫ রানে নেন ২টি উইকেট। এছাড়া একটি করে উইকেট নেন নাহিদুল ইসলাম, মৃত্যুঞ্জয় চৌধুরী ও ইয়াসিন মুনতাসির।

৭২ রানের ঝড়ো ইনিংস খেলে ম্যাচসেরা হন বিজয়।

এই জয়ে ৫ ম্যাচ থেকে ৭ পয়েন্ট সংগ্রহ করে পয়েন্ট টেবিলের তৃতীয় স্থানে অবস্থান নিয়েছে খুলনা বিভাগ। অন্যদিকে ৫ ম্যাচের একটিও না জিতে টেবিলের তলানিতে আছে বরিশাল।

ঢাকা/আমিনুল

সম্পর্কিত নিবন্ধ