খাগড়াছড়িতে সাম্প্রতিক সহিংসতায় ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ী ও পরিবারের পাশে দাঁড়িয়েছে জেলা প্রশাসন। 

শুক্রবার (৩ অক্টোবর) দুপুরে জেলা সদরের স্টেডিয়াম মাঠে আনুষ্ঠানিকভাবে ২৭ ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ী ও পরিবারের মাঝে ৫০ কেজি করে চাল  ও সাড়ে সাত হাজার টাকা করে অনুদানের চেক বিতরণ করা হয়। 

আরো পড়ুন:

‘খাগড়াছড়িবাসী ইউপিডিফের অপরিপক্ক আন্দোলনের মাশুল গুনছে’  

গোপালগঞ্জের ঘটনায় সরকার বিচার বিভাগীয় তদন্ত কমিটি করবে: সেতু উপদেষ্টা

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে ত্রাণ ও অনুদানের চেক বিতরণ করেন খাগড়াছড়ির জেলা প্রশাসক এ বি এম ইফতেখারুল ইসলাম খন্দকার। তিনি বলেন, “সহিংসতায় ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের পাশে প্রশাসন সবসময় আছে। আপনাদের ক্ষতি পুরোপুরি পুষিয়ে দেওয়া না গেলেও এই অনুদানের মাধ্যমে কিছুটা হলেও ঘুরে দাঁড়ানোর সাহস জোগাবে।’’ 

এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন পুলিশ সুপার আরেফিন জুয়েল, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট হাসান মারুফ হাসান প্রমুখ 

২৩ সেপ্টেম্বর জেলা সদরের সিঙ্গিনালায় রাত ৯টায় প্রাইভেট পড়ে ফেরার পথে এক কিশোরীকে দলবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগ ওঠে। ওই দিন রাত ১১টার দিকে অচেতন অবস্থায় ক্ষেত থেকে তাকে উদ্ধার করেন স্বজনেরা। এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে শয়ন শীল নামে একজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তাকে রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে।

পাহাড়ি এই কিশোরীকে দলবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগ ওঠার পর এর প্রতিবাদে জুম্ম ছাত্র-জনতা জেলায় অবরোধের ডাক দেয়। অবরোধ কর্মসূচি চলাকালে গত ২৮ সেপ্টেম্বর বিক্ষোভ ও সহিংসতায় রণক্ষেত্র পরিণত হয় খাগড়াছড়ির গুইমারার রামেসু বাজার। সেখানে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সঙ্গে অবরোধকারীদের পাল্টাপাল্টি ধাওয়া হয়। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সঙ্গে ছিল স্থানীয় একটি পক্ষ। এ সময় গুলিতে তিনজনের মৃত্যু হয়। তারা তিনজনই পাহাড়ি জনগোষ্ঠীর। সেনাবাহিনীর মেজরসহ অন্তত ২০ জন আহত হয়।

অবরোধ কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে ২৭ সেপ্টেম্বর খাগড়াছড়িতে পাহাড়ি ও বাঙালিদের মধ্যে ধাওয়া, পাল্টা ধাওয়া ও ভাঙচুর করা হয়। এরপর সদর উপজেলা, পৌরসভা এলাকা এবং গুইমারা উপজেলায় পরবর্তী নির্দেশনা না দেওয়া পর্যন্ত ১৪৪ ধারা জারি করে প্রশাসন। 

এই সহিংসতার মধ্যে পাহাড়ি ও স্থানীয়দের বাড়িঘর, দোকান, বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে আগুন দেওয়া হয়।   

ঢাকা/রূপায়ন/বকুল

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর অবর ধ

এছাড়াও পড়ুন:

এক্সপ্রেসওয়ে ও পদ্মা সেতুতে নিরাপত্তা জোরদার, যানবাহনের সংখ্যা কম

মানবতাবিরোধী অপরাধের ঘটনায় ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মামলার রায়কে কেন্দ্র করে পদ্মা সেতু ও ঢাকা–ভাঙ্গা এক্সপ্রেসওয়েতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী তৎপর রয়েছে। পদ্মা সেতু দিয়ে যানবাহন চলাচল করছে । এক্সপ্রেসওয়ে দিয়ে যানবাহন চলাচল করলেও তার সংখ্যা কম।

শরীয়তপুর জেলা পুলিশ সূত্র জানায়, অনলাইনে ঘোষিত কার্যক্রম নিষিদ্ধ সংগঠন আওয়ামী লীগের ‘লকডাউন’ কর্মসূচির কারণে পদ্মা সেতুর জাজিরা প্রান্তের টোল প্লাজার আশপাশে ও ঢাকা–ভাঙ্গা এক্সপ্রেসওয়েতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর অতিরিক্ত সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে। আজ সোমবার সকাল থেকে পুলিশ, র‍্যাব ও সেনাবাহিনীর সদস্যরা টোল প্লাজার আশপাশের সড়ক ও এক্সপ্রেসওয়েতে টহল দেওয়া শুরু করেছেন। দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের বিভিন্ন জেলার যাত্রীবাহী পণ্যবাহী ও ব্যক্তিগত যানবাহন চলাচল করছে।

গতকাল রোববার রাতে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা জাহাঙ্গীর আলম পদ্মা সেতুর জাজিরা প্রান্ত পরিদর্শন করেন। এ সময় তিনি শরীয়তপুরের পুলিশ, জেলা প্রশাসন ও সেনা কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন।
 
এদিকে আজ সকাল থেকে এক্সপ্রেসওয়েতে মোটরসাইকেল নিয়ে মহড়া দিয়েছেন ছাত্রশিবির ও বিএনপির নেতা–কর্মীরা।

আজ সকাল ছয়টা থেকে নয়টা পর্যন্ত পদ্মা সেতুর জাজিরা প্রান্তের টোল প্লাজার সামনে দাঁড়িয়ে দেখা যায়, যানবাহন চলাচল করছে। ঢাকা থেকে দক্ষিণাঞ্চলমুখী এবং দক্ষিণাঞ্চল থেকে ঢাকামুখী যানবাহন পদ্মা সেতু পারাপার হচ্ছে। তবে যাত্রীবাহী, পণ্যবাহী ও ব্যক্তিগত যানবাহনের সংখ্যা কম।

আরও পড়ুনপদ্মা সেতুর সামনে এক্সপ্রেসওয়ে অবরোধ, ট্রাকে আগুন, যানবাহন চলাচল বন্ধ১৩ নভেম্বর ২০২৫

শরীয়তপুর বাস মালিক সমিতির সভাপতি ফারুক আহমেদ তালুকদার প্রথম আলোকে বলেন, আজ সকাল থেকে ঢাকার সঙ্গে শরীয়তপুরের যানবাহন চলাচল করছে। পথে কোথাও যানবাহন বাধার মুখে পড়েনি। তবে যাত্রীর উপস্থিতি কম। যানবাহনও কম চলাচল করছে।

জানতে চাইলে শরীয়তপুরের পুলিশ সুপার নজরুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, অন্যান্য দিনের মতো স্বাভাবিকভাবে যানবাহন চলাচল করছে পদ্মা সেতু দিয়ে। যেহেতু একটি সংগঠনের ঘোষিত কর্মসূচি রয়েছে, তাই পদ্মা সেতু এর আশপাশের গুরুত্বপূর্ণ অবকাঠামো নিরাপত্তার জন্য টহল বৃদ্ধি করা হয়েছে।

আরও পড়ুনজুলাই হত্যাকাণ্ডের মামলায় ট্রাইব্যুনালের প্রথম রায় আজ৫৭ মিনিট আগে

পুলিশ সুপার নজরুল ইসলাম আরও বলেন, ‘গতকাল স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা ঢাকা যাওয়ার পথে যাত্রাবিরতি করেছিলেন। তখন আমাদের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ হয়েছে। আজ সকাল পর্যন্ত শরীয়তপুরে পদ্মা সেতুর আশপাশে ও এক্সপ্রেসওয়েতে কোনো ধরনের অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটেনি। আমরা চেষ্টা করছি জনসাধারণের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার।’

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • ধানমন্ডি ৩২: সাউন্ড গ্রেনেড ফাটার পর ছত্রভঙ্গ বিক্ষোভকারীরা
  • সরকারের প্রস্তুতি ভালো থাকায় নাশকতা হয়নি
  • ‘৩২ নম্বর ধূলিসাৎ না করা পর্যন্ত ফিরব না’
  • শেখ হাসিনার মৃত্যুদণ্ডের রায়: গোপালগঞ্জে মিছিল, সড়ক অবরোধের চেষ্টা
  • হাসিনার মৃত্যুদণ্ডের রায়কে ঘিরে আতঙ্ক নেই: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
  • আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সঙ্গে বিক্ষোভকারীদের পাল্টাপাল্টি ধাওয়া
  • ৩২ নম্বরের দিকে যাওয়া ২টি বুলডোজার আটকে দিল সেনাবাহিনী
  • শেখ হাসিনার রায়কে ঘিরে সচিবালয়ে নিরাপত্তা জোরদার
  • পটুয়াখালীতে গ্রামীণ ব্যাংকে আগুন, প্রভাব পড়েনি শাটডাউনের
  • এক্সপ্রেসওয়ে ও পদ্মা সেতুতে নিরাপত্তা জোরদার, যানবাহনের সংখ্যা কম