এশিয়া কাপে স্মরণীয় জয় দিয়ে আত্মবিশ্বাসী বাংলাদেশ এবার তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজেও আফগানিস্তানকে কোণঠাসা করেছে। সিরিজের প্রথম ম্যাচে দারুণ লড়াইয়ে জয় পাওয়ার পর আজ শুক্রবার (০৩ অক্টোবর) দ্বিতীয় ম্যাচে নামছে টাইগাররা। এই ম্যাচেই জয় পেলে এক ম্যাচ হাতে রেখেই সিরিজ নিশ্চিত করার সুযোগ জাকের আলীর দলের সামনে।
সিরিজের প্রথম ম্যাচে ১৫২ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে শুরুটা ভালো হলেও হঠাৎ করেই ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়ে বাংলাদেশ। মাত্র ৯ রানের ব্যবধানে ৬ উইকেট হারিয়ে ফেলার পর ম্যাচ হাতছাড়া হওয়ার শঙ্কা তৈরি হয়েছিল। তবে শেষদিকে নুরুল হাসান সোহান ও রিশাদ হোসেনের ঝড়ো ব্যাটিংয়ে ম্যাচ ঘুরে যায়। এর আগে তানজিদ তামিম ও পারভেজ ইমন ফিফটি তুলে নিয়ে জয়ের ভিত গড়ে দেন।
আরো পড়ুন:
বাংলাদেশকে ১৫২ রানের টার্গেট ছুড়ল আফগানিস্তান
টস হেরে বোলিংয়ে বাংলাদেশ
অধিনায়ক জাকের আলী ম্যাচ শেষে স্বীকার করেন, ব্যাটিং-বোলিংয়ে এখনও উন্নতির জায়গা আছে। তবে দলের মানসিক দৃঢ়তা তাকে আশাবাদী করেছে। তার ভাষায়, “এমন চাপ আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে হতেই পারে। ছেলেরা যেভাবে ঘুরে দাঁড়িয়েছে, তাতে আমি গর্বিত। কালই (আজ) সিরিজ জয় নিশ্চিত করতে চাই।”
বাংলাদেশ যেখানে সিরিজ নিশ্চিত করতে মরিয়া, সেখানে আফগানিস্তানের লক্ষ্য সমতায় ফেরা। প্রথম ম্যাচে ব্যাটিং-বোলিং দুই বিভাগেই প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিল তারা। আজকের ম্যাচে সমানতালে জবাব দিতে না পারলে সিরিজ হাতছাড়া হয়ে যাবে রশিদ খানের দলের।
প্রথম দুই ম্যাচ হচ্ছে টানা দুই দিনে। ফলে খেলোয়াড়দের শারীরিক ও মানসিক শক্তি ধরে রাখা হবে বড় চ্যালেঞ্জ। বিশেষ করে বাংলাদেশ চাইবে প্রথম ম্যাচের ভুলত্রুটি কাটিয়ে আরও শক্তিশালী পারফরম্যান্স উপহার দিতে।
আজকের ম্যাচে জয় পেলে বাংলাদেশ আগেভাগেই দ্বিপাক্ষিক সিরিজের ট্রফি ঘরে তুলবে। অন্যদিকে আফগানিস্তান সমতায় ফিরতে পারলে সিরিজের ভাগ্য গড়াবে আগামী ৫ অক্টোবরের শেষ ম্যাচে। এরপরই শুরু হবে ওয়ানডে সিরিজ, যা দুই দলকেই নতুন পরীক্ষার সামনে দাঁড় করাবে।
ঢাকা/আমিনুল
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ব ল দ শ আফগ ন স ত ন স র জ ব ল দ শ আফগ ন স ত ন স র জ আফগ ন স ত ন প রথম ম য চ
এছাড়াও পড়ুন:
শীর্ষ তিন নেতাকে নিয়ে সাদ্দামের অশালীন বক্তব্য, সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি
নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি, বিএনপির একাধিকবারের সাবেক এমপি ও সাবেক প্রতিমন্ত্রী রেজাউল করিম, জেলা বিএনপির আহ্বায়ক অধ্যাপক মামুন মাহামুদ ও বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য সোনারগাঁও উপজেলা বিএনপির সভাপতি আজহারুল ইসলাম মান্নানকে নিয়ে অশালীন ও কুরুচিপূর্ণ বক্তব্য দিতে গিয়ে ব্যাপক সমালোচনার মুখে পড়েছেন সোনারগাঁও উপজেলা বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও জেলা আইনজীবী সমিতির সহ-সভাপতি অ্যাডভোকেট সাদ্দাম হোসেন। এ ঘটনায় ক্ষোভে ফুঁসে উঠছে তৃনমূল নেতাকর্মীরা।
এদিকে সোনারগাঁও উপজেলা বিএনপির আওতাধীন সাদিপুর ইউনিয়ন, বারদী ইউনিয়ন, শম্ভুপুরা ইউনিয়ন, নোয়াগাঁও ইউনিয়ন, পিরোজপুর ইউনিয়ন ও সোনারগাঁও পৌর বিএনপি পৃথকভাবে সাদ্দাম হোসেনের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য গণমাধ্যমে বিবৃতি ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন। তার বিরুদ্ধে দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের দায়ে বহিষ্কারের মত সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণের উদ্যোগ নিয়েছে জেলা বিএনপি।
ঘটনা সূত্রে জানাগেছে, গত ২৬ সেপ্টেম্বর সোনারগাঁঁও পৌরসভার তাঁজপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে পৌর বিএনপির ব্যানারে একটি নির্বাচনী আলোচনা সভার আয়োজন করেন অ্যাডভোকেট সাদ্দাম হোসেন। এতে তিনি সভাপতিত্বও করেছেন।
প্রধান অতিথি ছিলেন জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি ও সাবেক এমপি মুহাম্মদ গিয়াসউদ্দীন। উপস্থিত ছিলেন সোনারগাঁও উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি খন্দকার আবু জাফর ও সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক শাহআলম মুকুল, উপজেলা বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জিয়াউল ইসলাম চয়ন সহ অন্যান্যরা।
ওই অনুষ্ঠানে সাদ্দাম হোসেন বক্তব্য রাখতে গিয়ে বেসামাল হয়ে পড়েন। তিনি বক্তব্যে আগামী জাতীয় নির্বাচনে প্রার্থীতার বিষয়ে তিনজন শীর্ষ নেতাকে ইঙ্গিত করে বলেন, সোনারগাঁয়ে যে কয়েকজন প্রার্থী আছে তাদের মধ্যে যদি সমালোচনা করতাম, তখন বলতাম একজন মূর্খ চাঁদাবাজ, আরেকজন বয়সের ভারে প্রতিবন্ধি, আরেকজন শুনতেছি উনি বরিশাইল্লা খেতা। বরিশালের খেতা সেও নাকি নির্বাচনে এমপি হইতে চায়। তিনি গিয়াসকে সমর্থন করে বলেন, ‘সোনারগাঁয়ের উন্নয়নের জন্য শিক্ষিত নেতা চাই।’
তার এই বক্তব্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে রীতিমত ভাইরাল হয়ে পড়ে। এতে কঠোর সমালোচনার মুখে পড়েন সাদ্দাম হোসেন। কারন হিসেবে নেতাকর্মীরা জানিয়েছেন, সাদ্দামকে উপজেলা বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বানিয়েছেন আজহারুল ইসলাম মান্নান। জেলা আইনজীবী সমিতির নির্বাচনে সহ-সভাপতি পদে মনোনয়ন পাইতে দিতে এবং নির্বাচনে জয়ী করতে সকল ধরণের সহযোগীতা করেছেন মান্নান।
অথচ নির্বাচনে জয়ী হয়ে সেই মান্নানকে পল্টি দিয়ে গিয়াসউদ্দীনকে ফুলের শুভেচ্ছা জানান সাদ্দাম। গত ২৬ সেপ্টেম্বর গিয়াসকে নিয়ে সোনারগাঁও পৌর এলাকায় কর্মসূচি পালন করেন তিনি। ওই কর্মসূচিতে অধ্যাপক মামুন মাহামুদের আধিনিবাস বরিশালকে নিয়ে কটাক্ষ করেন এবং রেজাউল করিমের বয়স নিয়ে কটাক্ষ করে বক্তব্য রাখেন।
এই ঘটনার পর সোনারগাঁও উপজেলার প্রতিটি ইউনিয়ন থেকে লিখিত বিবৃতি দিয়ে প্রতিবাদ নিন্দা জানিয়ে সাদ্দাম হোসেনের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়ে আসছেন বিএনপির নেতাকর্মীরা।