ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের গাজা যুদ্ধবিরতি প্রস্তাবের মূল অংশ সংশোধনের দাবি করবে। তবে আগামী দিনে তারা এই পরিকল্পনাটি নবায়নের আলোচনার ভিত্তি হিসেবে গ্রহণ করবে। বিশ্লেষক এবং গ্রুপের ঘনিষ্ঠ সূত্রের বরাত দিয়ে শুক্রবার দ্য গার্ডিয়ান এ তথ্য জানিয়েছে।
ট্রাম্প তার ২০ দফা পরিকল্পনার প্রতি প্রতিক্রিয়া জানাতে মঙ্গলবার থেকে ‘তিন বা চার দিনের’ সময়সীমা বেঁধে দিয়েছেন হামাসকে। ট্রাম্পের দাবি, তার প্রস্তাবের লক্ষ্য গাজায় দুই বছরের যুদ্ধের অবসান ঘটানো এবং বিধ্বস্ত অঞ্চলটি পরিচালনার জন্য অনির্দিষ্টকালের জন্য আন্তর্জাতিক প্রশাসন দায়িত্ব পালন করবে।
কায়রোতে অবস্থিত গাজার একজন রাষ্ট্রবিজ্ঞানী মাখাইমার আবুসাদা বলেছেন, হামাসকে এখন ‘খারাপ এবং সবচেয়ে খারাপের মধ্যে একটিকে বেছে নিতে হবে।’
আবুসাদা বলেছেন, “যদি তারা ‘না’ বলে, যেমন ট্রাম্প স্পষ্ট করেছেন, তবে তা ভালো হবে না এবং ইসরায়েলকে গোষ্ঠীটিকে ধ্বংষ করার জন্য যা যা করা দরকার তা করার অনুমতি দেবে। যদি তারা ‘হ্যাঁ’ বলে তাহলে তাদেরকে আমাদের এটা বা ওটা প্রয়োজন বলতে হবে।”
ইউরোপীয় কাউন্সিল অন ফরেন রিলেশনসের সিনিয়র ফেলো হিউ লোভাট জানিয়েছেন, হামাসের জন্য শর্তাবলী নিঃশর্তভাবে মেনে নেওয়া খুব কঠিন হবে। ‘এটা বোধগম্য। লেখাটিতে বিস্তারিত তথ্যের অভাব রয়েছে। কিন্তু তারপর ইসরায়েল, ট্রাম্প প্রশাসন এবং সম্ভবত ইউরোপীয়রা হামাসের বিরুদ্ধে সম্পূর্ণ এবং চূড়ান্ত গ্রহণযোগ্যতা ছাড়া অন্য কিছু ব্যবহার করবে।’
ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু ট্রাম্পের পরিকল্পনা গ্রহণ করেছেন, যাতে ইসরায়েলের অনেক প্রধান দাবি অন্তর্ভুক্ত রয়েছে এবং হামাসের সাথে পরামর্শ ছাড়াই এটি তৈরি করা হয়েছে।
গাজায় ইসরায়েলি আক্রমণের সময় সংঘটিত যুদ্ধাপরাধের অভিযোগে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতে অভিযুক্ত নেতানিয়াহু জানিয়েছেন, হামাস প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করলে বা এর বাস্তবায়ন ধীর করে দিলে ইসরায়েল ‘কাজ শেষ করবে।’
হামাস নেতারা ইস্তাম্বুল, দোহা এবং গাজার মধ্যে বিভক্ত হয়ে পড়েছে। এই বিষয়টি গোষ্ঠীটির প্রতিক্রিয়া নিয়ে আলোচনাকে জটিল করে তোলে। তুরস্ক ও কাতার হামাসের উপর চুক্তির ব্যাপারে ছাড় দেওয়ার জন্য চাপ দিচ্ছে।
একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল, ট্রাম্পের পরিকল্পনায় দাবি করা হয়েছে, হামাসকে নিরস্ত্র হতে হবে। তবে সংগঠনের ঘনিষ্ঠ একটি সূত্র জানিয়েছে, হামাসের জন্য সমস্ত অস্ত্র সমর্পণ গ্রহণ করা খুব কঠিন হবে, বিশেষ করে কোনও রাজনৈতিক প্রক্রিয়া বা দুই-রাষ্ট্রের সমাধানের দিকে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি ছাড়াই।
ঢাকা/শাহেদ
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর র জন য ইসর য
এছাড়াও পড়ুন:
শান্তিপূর্ণ নির্বাচন আয়োজনে সামরিক বাহিনী ও পুলিশের সহায়তা চাইলেন প্রধান উপদেষ্টা
আগামী ফেব্রুয়ারিতে শান্তিপূর্ণ ও উৎসবমুখরভাবে জাতীয় নির্বাচন আয়োজনে সামরিক বাহিনী, পুলিশ ও অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সহায়তা চেয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস।
আজ বুধবার মিরপুর সেনানিবাসে ডিএসসিএসসি কমপ্লেক্সে সামরিক বাহিনী কমান্ড ও স্টাফ কলেজ (ডিএসসিএসসি) কোর্স ২০২৫-এর সনদ বিতরণ অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘এখন নির্বাচনের সময়। আমরা প্রস্তুত, ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে ভোটের তারিখ ঘোষণা করা হয়েছে। আমাদের সামরিক বাহিনী, পুলিশ ও আইন প্রয়োগকারী সংস্থার সহায়তা প্রয়োজন।’
অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস আরও বলেন, ‘এটি একটি বড় প্রয়াস। অভ্যুত্থান থেকে নির্বাচনের পথে যাত্রা। এটি হবে শান্তিপূর্ণ, উৎসবমুখর, আনন্দ ও মিলনের সময়। মানুষ তাদের আশা ও আকাঙ্ক্ষা প্রকাশ করতে পারবে।’