যৌথ বাহিনীর অভিযান, এক সপ্তাহে আটক ৬৯
Published: 3rd, October 2025 GMT
রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় গত এক সপ্তাহে অভিযান চালিয়ে বিভিন্ন অপরাধে জড়িত অভিযোগে ৬৯ ব্যক্তিকে আটক করেছে যৌথ বাহিনী। আটক ব্যক্তিদের কাছ থেকে অবৈধ আগ্নেয়াস্ত্র-গুলিসহ বিভিন্ন মালামাল উদ্ধার করা হয়।
শুক্রবার (৩ অক্টোবর) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানায় আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর)।
আরো পড়ুন:
কাপ্তাই হ্রদে নৌকাডুবি: সফল উদ্ধার অভিযান সেনাবাহিনীর
জিওসি মেজর জেনারেল নাজিমউদ্দৌলার পূজামণ্ডপ পরিদর্শন
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, দেশের চলমান পরিস্থিতিতে আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে রাখতে দেশব্যাপী পেশাদারির সঙ্গে কাজ করে চলছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী। এর ধারাবাহিকতায় গত ২৫ সেপ্টেম্বর থেকে ২ অক্টোবর পর্যন্ত রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় বেশ কিছু যৌথ অভিযান পরিচালনা করা হয়। বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর বিভিন্ন পদাতিক ডিভিশন ও স্বতন্ত্র ব্রিগেডের অধীনের ইউনিটগুলো অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সমন্বয়ে এই যৌথ অভিযান চালানো হয়।
আইএসপিআরের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, এসব যৌথ অভিযানে চিহ্নিত শীর্ষ সন্ত্রাসী, দুষ্কৃতকারী, অবৈধ অস্ত্রধারী, অস্ত্র ব্যবসায়ী, শিশুপাচারকারী, জুয়াড়ি, নিষিদ্ধ সংগঠনের সদস্য, মাদক ব্যবসায়ী, মাদকাসক্তসহ মোট ৬৯ জনকে হাতেনাতে আটক করা হয়। আটক ব্যক্তিদের কাছ থেকে ১০টি অবৈধ আগ্নেয়াস্ত্র, ২টি ম্যাগাজিন, ৩টি ককটেল, ২৭টি বিভিন্ন ধরনের গুলি, সন্ত্রাসী কাজে ব্যবহৃত বিভিন্ন প্রকার দেশি-বিদেশি ধারাল অস্ত্র, দেশি-বিদেশি মাদকদ্রব্য, মোবাইল ফোনসহ বিভিন্ন চোরাই মালামাল ও নগদ অর্থ উদ্ধার করা হয়।
আটক ব্যক্তিদের প্রয়োজনীয় জিজ্ঞাসাবাদ এবং আইনি কার্যক্রম সম্পন্নের জন্য তাদের সংশ্লিষ্ট এলাকার থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে বলে সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বাংলাদেশ সেনাবাহিনী পার্বত্য চট্টগ্রামসহ দেশের ৬২ জেলায় সার্বক্ষণিক টহলের মাধ্যমে প্রায় ৩৩ হাজার পূজামণ্ডপ ও মন্দিরে পূজা অর্চনার প্রতিটি ধাপে নিরাপত্তা নিশ্চিত করেছে। এছাড়া শিল্পাঞ্চলে শ্রমিক অসন্তোষ নিয়ন্ত্রণে সেনাবাহিনী সরাসরি সম্পৃক্ত রয়েছে।
দেশের সার্বিক আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়।
সাধারণ জনগণকে যেকোনো সন্দেহজনক কার্যকলাপের বিষয়ে কাছের সেনাক্যাম্পে তথ্য দিতে আইএসপিআরের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে অনুরোধ জানানো হয়েছে।
ঢাকা/নঈমুদ্দীন/সাইফ
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
পটুয়াখালীতে গ্রামীণ ব্যাংকে আগুন, প্রভাব পড়েনি শাটডাউনের
পটুয়াখালী সদর উপজেলার কালিকাপুর ইউনিয়নে গ্রামীণ ব্যাংকের শাখায় আগুন দিয়েছে সন্ত্রাসীরা। রবিবার (১৭ নভেম্বর) মধ্যরাতে ব্যাংকটির ডিবুয়াপুর শাখায় ঘটনাটি ঘটে। তবে, এতে কোনো ক্ষয়ক্ষতি হয়নি। ঘটনার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে।
এদিকে, কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের ‘শাটডাউন’ কর্মসূচির কোনো প্রভাব পড়েনি জেলায়। আজ সকাল থেকে স্বাভাবিক রয়েছে অভ্যন্তরীণ রুটে বাস ও মিনবাস চলাচল। সড়কে মাইক্রোবাস, প্রাইভেটকার, মোটরসাইকেল, অটো ও সিএনজিচালিত অটোরিকশা চলাচল করছে প্রতিদিনের মতো। তবে স্বল্প পরিসরে চলাচল করছে দূরপাল্লার পরিবহন।
আরো পড়ুন:
কেরানীগঞ্জে থানার সামনে থাকা লেগুনায় আগুন
এবার সাভারে দাঁড়িয়ে থাকা বাসে অগ্নিসংযোগ
আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি রক্ষায় জেলা শহরে ১৫টি পুলিশের মোবাইল টিমসহ র্যাব ও সেনাবাহিনী মোতায়েন রয়েছে বলে জানিয়েছে জেলা প্রশাসন।
ডিবুয়াপুর গ্রামীণ ব্যাংক শাখার ম্যানেজার হাফিজুর রহমান বলেন, “রাত সাড়ে ১২টার দিকে আমরা ব্যাংকের দোতলায় ছিলাম। কয়েকজন সন্ত্রাসী বোতলে করে আনা কেরোসিন ঢেলে নিচতলায় আগুন ধরিয়ে পালিয়ে যায়। পরে আমার নিচে নেমে পানি দিয়ে আগুন নিভিয়ে ফেলি। বড় কোনো দুর্ঘটনা ঘটেনি। পরে ঘটনাস্থলে এসে রাতভর পুলিশ ব্যাংক পাহাড়া দেয়। এ ঘটনায় থানায় সাধারণ ডায়রি করা হবে।”
পটুয়াখালী সদর থানার (ওসি) তদন্ত মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, “আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় আমরা তৎপর রয়েছি। মাঠে ১৫টি পুলিশের টিম মোতায়েন রয়েছে। ব্যাংকে আগুনের ঘটনায় তদন্ত চলছে। আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
ঢাকা/ইমরান/মাসুদ