ঢাকা-পাবনা যোগাযোগ: পরিদর্শনে দুই সচিব
Published: 3rd, October 2025 GMT
রাজধানী ঢাকার সঙ্গে উত্তরের কৃষি ও শিল্প সমৃদ্ধ জেলা পাবনার যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়নের লক্ষ্যে পরিদর্শনে গেছেন দুই সচিবের নেতৃত্বে সরকারের উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন প্রতিনিধি দল।
শুক্রবার (৩ অক্টোবর) সকালে তারা কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশন থেকে পাবনার উদ্দেশ্যে রওয়ানা দেন।
তারা হলেন সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের সিনিয়র সচিব মো.
এছাড়া প্রতিনিধিদলে সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলী, বাংলাদেশ রেলওয়ের পশ্চিমাঞ্চলের প্রধান প্রকৌশলী, বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষের প্রধান প্রকৌশলীসহ অন্যান্য সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারাও রয়েছেন।
এই সফরের উদ্দেশ্য হলো-পাবনার সঙ্গে রাজধানী ঢাকার যোগাযোগ সেক্টরে গতি বাড়াতে ঢাকা-পাবনা সরাসরি রেল চালুর সম্ভাব্যতা যাচাই, জ্বালানি ব্যয় কমাতে ঢাকা-পাবনা ফেরী পথের দূরত্ব হ্রাসসহ জনগুরুত্বপূর্ণ উন্নয়ন কর্মসূচি চালু করা।
সফরকালে সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের সিনিয়র সচিব মো. এহছানুল হক ও রেলপথ মন্ত্রণালয়ের সচিব ফাহিমুল ইসলাম জানান, পাবনা সফরের মূল উদ্দেশ্য হলো- ঢাকা-পাবনা সরাসরি রেল যোগাযোগ চালুর বিষয়ে সম্ভাব্যতা যাচাই করা এবং জ্বালানি ব্যয় ও সময় হ্রাস করে বিকল্প যোগাযোগ ব্যবস্থার নিশ্চিত করার জন্য কাজিরহাট থেকে ফেরীঘাট স্থানান্তর করে খাসচরে চালু করা। এছাড়াও অনান্য সংযোগ সড়ক চালুর বিষয়ও পরিদর্শন করা হয়েছে। পাবনা থেকে ঢাকার রেল যোগাযোগ এর ক্ষেত্রে ঢালার চর থেকে রাজবাড়ী হয়ে পদ্মা রেল সেতুর সাথে সংযুক্ত করার জন্য ঢালার চর-রাজবাড়ী রেল ব্রিজ প্রকল্পের সম্ভাব্যতা দেখাও ছিল পরিদর্শনের অন্যতম উদ্দেশ্য।
শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাস জানান, পাবনার সঙ্গে রাজধানী ঢাকার যোগাযোগ ব্যবস্থা উন্নয়নে সরকারের উচ্চ পর্যায়ের প্রতিনিধি দলের পাবনা সফর নিঃসন্দেহে মাইলফলক। কেননা পাবনা হচ্ছে একটি কৃষি, শিক্ষা, ওষুধ শিল্পের জন্য গুরুত্বপূর্ণ জেলা। যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়ন ও আধুনিকায়ন খুবই জরুরি দরকার। এ ক্ষেত্রে সরকারের দুই সচিব ও ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের পাবনা সফর গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।
পাবনা সফর করায় সংশ্লিষ্ট সবাইকে ধন্যবাদ জানান শিমুল বিশ্বাস।
ঢাকা/নঈমুদ্দীন/এসবি
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর য গ য গ ব যবস থ উদ দ শ য পর বহন প বন র
এছাড়াও পড়ুন:
অস্ট্রেলিয়ার অ্যাশেজ একাদশ ঘোষণা, নতুন দুই মুখের অভিষেক
অ্যাশেজের প্রথম টেস্টে পার্থে অস্ট্রেলিয়ার জার্সিতে একসঙ্গে অভিষেক হতে যাচ্ছে ওপেনার জেক ওয়েদারাল্ড এবং পেসার ব্রেন্ডান ডগেটের। জশ হ্যাজলউড হ্যামস্ট্রিং ইনজুরিতে ছিটকে পড়ায় ডগেট খেলবেন, এটা প্রায় নিশ্চিতই ছিল। তবে ওপেনিংয়ে ওয়েদারাল্ডকে নামানো হবে, নাকি মার্নাস লাবুশেন ওপেন করবেন; এই ধন্দে ছিল দল। শেষ পর্যন্ত নর্দান টেরিটরিতে বেড়ে ওঠা ওয়েদারাল্ডই জায়গা পেলেন। ডেভিড ওয়ার্নার অবসরের পর উসমান খাওয়াজার এটি ষষ্ঠ নতুন ওপেনিং সঙ্গী।
ওয়েদারাল্ডকে নিয়ে অস্ট্রেলিয়ার অন্তর্বর্তীকালীন অধিনায়ক স্টিভ স্মিথ বললেন, “ওর ভেতর প্রচণ্ড সাহস আছে। নেটে সে সারাক্ষণ পেসারদের মুখোমুখি হতে চায়। সবাই গতিতে বল করছিল, আর সে সেগুলো দারুণভাবে সামলেছে। তার ব্যাকফুট ও ফ্রন্টফুট পজিশন নিখুঁত ছিল।”
আরো পড়ুন:
মুশফিকের ইতিহাসের পর লিটনের সেঞ্চুরি, আয়ারল্যান্ডকে চাপে রেখেছে বাংলাদেশ
পেছাল বিপিএল নিলাম, ব্যাংক গ্যারান্টি পায়নি বিসিবি
তিনি আরও যোগ করেন, “গত দেড় বছরে পারফরম্যান্স দিয়েই সে জায়গা পেয়েছে। তাসমানিয়ার হয়ে ওপরে ব্যাট করে সে অসাধারণ ধারাবাহিকতা দেখিয়েছে। আশা করছি, সেই ফর্মটাই টেস্ট ক্রিকেটেও নিয়ে আসবে।”
এর ফলে ওয়েদারাল্ডের তাসমানিয়া সতীর্থ বো ওয়েবস্টার বাদ পড়লেন। জানুয়ারিতে ভারতের বিপক্ষে চমকজাগানো অভিষেকের পর সাতটি টেস্ট খেললেও এবার জায়গা পেলেন না।
২০১৯ সালে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে কুর্টিস প্যাটারসন ও ঝাই রিচার্ডসনের অভিষেক ম্যাচের পর এই প্রথম একই টেস্টে দুই নতুন মুখ নামাচ্ছে অস্ট্রেলিয়া।
ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে বাদ পড়লেও এবার দুর্দান্ত ঘরোয়া মৌসুমের পারফরম্যান্সে আবার দলে ফিরে এসেছেন লাবুশেন। স্মিথ বললেন, “মার্নাস যখন তিন নম্বরে ছন্দে থাকে, তখন আমরা ভীষণ শক্তিশালী দল হয়ে যাই। ফিরেই সে প্রমাণ করেছে কেন তাকে রাখা জরুরি।”
পিঠের গুরুতর ইনজুরি থেকে ফিরে কিছুদিন তিন নম্বরে খেললেও ক্যামেরন গ্রিন এবার আবার নেমে যাচ্ছেন তার পুরনো জায়গা- ছয় নম্বরে। তবে দীর্ঘমেয়াদে তিনি স্মিথের পর চার নম্বরে ওঠার প্রবল দাবিদার বলে মনে করা হয়। ২৬ বছর বয়সী এই অলরাউন্ডার এ বছর চার টেস্টে ব্যাটার হিসেবেই খেলেছিলেন, সদ্যই আবার বল করতে শুরু করেছেন।
ইংল্যান্ডও বুধবার তাদের ১২ সদস্যের স্কোয়াড ঘোষণা করেছে। পেসার জোফরা আর্চার ও মার্ক উড দু’জনই আছেন একাদশে। তারা অস্ট্রেলিয়ার পার্থের ঐতিহ্যবাহী বাউন্সি উইকেট কাজে লাগাতে প্রস্তুত। ৪০ বছরের মধ্যে অস্ট্রেলিয়ায় সবচেয়ে হাড্ডাহাড্ডি অ্যাশেজ সিরিজ হতে চলেছে বলেই ধারণা অনেকের।
অস্ট্রেলিয়ার প্রথম টেস্টের একাদশ:
উসমান খাজা, জেক ওয়েদারাল্ড, মার্নাস লাবুশেন, স্টিভ স্মিথ (অধিনায়ক), ট্রাভিস হেড, ক্যামেরন গ্রিন, অ্যালেক্স ক্যারি (উইকেটকিপার), মিচেল স্টার্ক, স্কট বোল্যান্ড, নাথান লায়ন ও ব্রেন্ডান ডগেট।
ঢাকা/আমিনুল