হকির ব্যর্থতা খতিয়ে দেখতে এনএসসির কমিটি
Published: 4th, May 2025 GMT
যে টুর্নামেন্টে গত চারবারই চ্যাম্পিয়ন হয়েছে বাংলাদেশ, সেই টুর্নামেন্টে কিনা এবার ফাইনালেই ওঠা যায়নি। সেমিফাইনালে বাংলাদেশ ৫-৪ গোলে ওমানের কাছে হেরে বিদায় নিতে হয়েছে। ওমানের কাছে হারা অস্বাভাবিক কিছু নয়। তা ছাড়া প্রতিবার চ্যাম্পিয়ন হতেই হবে—এমন বাধ্যবাধকতা নেই।
তবে জাকার্তায় গত ২৭ এপ্রিল শেষ হওয়া এশিয়ান হকি ফেডারেশন কাপের ফাইনালে উঠতে না পারায় ৪৩ বছর পর এই প্রথম এশিয়া কাপ হকিতে খেলার যোগ্যতা অর্জন করতে পারেনি বাংলাদেশ। এশিয়া কাপে খেলতে না পারা বাংলাদেশের হকির জন্য বিরাট ব্যর্থতাই।
কেন দেশের হকিতে এত বড় বিপর্যয় এসেছে, তা খতিয়ে দেখছে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ (এনএসসি)। এ জন্য তিন সদস্যের একটি কমিটি করা হয়েছে আজ। তিনজনই এনএসসির কর্মকর্তা। তাঁরা হলেন পরিচালক, খেলাধুলা, তিনি কমিটির আহবায়ক। সদস্যসচিব, সহকারী পরিচালক, খেলাধুলা এবং সদস্য, এনএসসি চেয়ারম্যান যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভুঁইয়ার একান্ত সচিব।
আরও পড়ুনওমানের কাছে হেরে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার আশা শেষ বাংলাদেশের২৫ এপ্রিল ২০২৫কমিটি গঠন প্রসঙ্গে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের সচিব মো.
উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
অসুস্থ নাতিকে দেখা হলো না নানা-নানির
মুন্সীগঞ্জের গজারিয়ায় অসুস্থ নাতনিকে দেখতে যাওয়ার পথে সড়ক দুর্ঘটনায় নানা-নানির মৃত্যু হয়েছে। সোমবার (১৩ অক্টোবর) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের গজারিয়ার আনারপুরা বাসস্ট্যান্ড সংলগ্ন ইউটার্নে অটোরিকশায় বাসের ধাক্কায় মারা যান তারা।
এ ঘটনায় আহত হয়েছেন শিশুসহ তিনজন। পরিবারের সদস্যরা মৃত্যু ও আহতের তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
আরো পড়ুন:
বরগুনায় সড়ক দুর্ঘটনায় যুবকের মৃত্যু
নেত্রকোণা থেকে ঢাকা ও ময়মনসিংহ রুটে বাস চলাচল বন্ধ
নিহতরা হলেন- আলনা বেগম (৫০) ও তার স্বামী বিল্লাল হোসেন (৬৫)। তাদের বাড়ি কুমিল্লার মেঘনা উপজেলার দড়ি লুটেরচর গ্রামে।
আহতরা হলেন- নিহত বিল্লাল হোসেনের ছেলের বউ অঞ্জনা (২৩), নাতনি আনিশা (৪) ও অটোরিকশা চালক (৪০)।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, কুমিল্লার মেঘনা উপজেলার বাসিন্দা বিল্লাল হোসেনের মেয়ে রত্না আক্তারের বিয়ে হয় গজারিয়ার আনারপুরা গ্রামে। সম্প্রতি রত্নার মেয়ে জ্বরে আক্রান্ত হয়। ব্যাটারিচালিত অটোরিকশায় করে তাকে পরিবার নিয়ে দেখতে যাচ্ছিলেন বিল্লাল হোসেন। আনারপুরা বাসস্ট্যান্ড এলাকায় ইউটার্ন নেওয়ার সময় ঢাকাগামী মতলব পরিবহনের একটি বাস অটোরিকশাটিকে ধাক্কা দেয়।
এলাকাবাসী দ্রুত ঘটনাস্থলে গিয়ে আহত পাঁচ জনকে উদ্ধার করে গজারিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেন। অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় বিলাল হোসেন, তার স্ত্রী আলনা বেগম এবং ছেলের বউ অঞ্জনাকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠিয়ে দেন চিকিৎসক। ঢাকা যাওয়ার পথে সকাল ১১টার দিকে মারা যায় আলনা বেগম ও বিল্লাল হোসেন। স্থানীয়রা ঘাতক বাস ও চালক কাউসার হোসেনকে (২৫)ক আটক করে পুলিশে সোপর্দ করেন।
গজারিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সূত্রে জানা যায়, সড়ক দুর্ঘটনায় আহত চার রোগীকে গজারিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়েছিল। তাদের মধ্যে শিশু আনিশা ছাড়া বাকি তিনজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক ছিল। প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে তাদের ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।
নিহত আলনা বেগমের মামা নজরুল ইসলাম বলেন, “ঢাকায় নেওয়ার পথে আলনা ও তার স্বামী মারা গেছেন। বাকিদের অবস্থাও ভালো নয়।”
গজারিয়া ভবেরচর হাইওয়ে পুলিশ ফাঁড়ি ইনচার্জ মো. শওকত হোসেন বলেন, “ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছিল। দুর্ঘটনা কবলিত বাস এবং অটোরিকশাটি পুলিশ হেফাজতে রয়েছে। ঘাতক বাসটির চালক কাউসার হোসেনকে আটক করে স্থানীয়রা আমাদের কাছে সোপর্দ করেছেন। আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।”
ঢাকা/রতন/মাসুদ