চলতি বছরের এপ্রিলে দেশে ৩৩২ নারী ও মেয়েশিশু নির্যাতনের শিকার হয়েছে। এর মধ্যে ধর্ষণের শিকার হয়েছে ১১১ জন। আর হত্যা করা হয়েছে ৭০ জনকে। গতকাল রোববার মহিলা পরিষদের কেন্দ্রীয় লিগ্যাল এইড উপপরিষদের প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে। 

মহিলা পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মালেকা বানু স্বাক্ষরিত প্রতিবেদনে বলা হয়, ১৫টি দৈনিক পত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদের ভিত্তিতে নারী নির্যাতনের এ তথ্য পাওয়া গেছে। এতে জানানো হয়, ধর্ষণের শিকার নারীর মধ্যে ১৬ মেয়েশিশুসহ ২৪ জন দলবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হয়েছে। এক মেয়েশিশুসহ পাঁচজনকে ধর্ষণের পর হত্যা করা হয়েছে; দুই মেয়েশিশু ধর্ষণের কারণে আত্মহত্যা করেছে। এ ছাড়া ২২ মেয়েশিশুসহ ২৯ জনকে ধর্ষণের চেষ্টা করা হয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, এই সময়ে যৌন নিপীড়নের শিকার হয়েছে ১০ মেয়েশিশুসহ ১২ জন। উত্ত্যক্তের শিকার হয়েছে চার মেয়েশিশু। বিভিন্ন কারণে ৬০ জনকে হত্যা করা হয়েছে। এ ছাড়া হত্যার চেষ্টা করা হয়েছে দু’জনকে। পাঁচ মেয়েশিশুসহ ২৪ জনের রহস্যজনক মৃত্যু এবং ছয় মেয়েশিশুসহ ২৪ জনের আত্মহত্যার ঘটনা ঘটেছে। এর মধ্যে আত্মহত্যার প্ররোচনার শিকার হয়েছে দু’জন। অগ্নিদগ্ধ হয়ে মৃত্যু হয়েছে একজনের।

এতে আরও বলা হয়, যৌতুকের কারণে নির্যাতনের শিকার হয়েছে ১২ জন। এর মধ্যে তিনজনকে যৌতুকের কারণে হত্যা করা হয়েছে। শারীরিক নির্যাতনের শিকার হয়েছে ১৭ জন, এর মধ্যে চার মেয়েশিশু। পারিবারিক সহিংসতায় শারীরিক নির্যাতনের শিকার হয়েছে তিনজন। দু’জন গৃহকর্মীকে হত্যার ঘটনা ঘটেছে। সাত মেয়েশিশুসহ ৯ জন অপহরণের শিকার হয়েছে। এ ছাড়া দুই মেয়েশিশু অপহরণচেষ্টার শিকার হয়েছে। একজন সাইবার অপরাধের শিকার হয়েছে। বাল্যবিবাহের চেষ্টার ঘটনা ঘটেছে চারটি। এ ছাড়া দুই মেয়েশিশুসহ ১০ জন বিভিন্নভাবে নির্যাতনের শিকার হয়েছে। 

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ম য় শ শ সহ

এছাড়াও পড়ুন:

ফিলিপাইনে ৬ দশমিক ৯ তীব্রতার ভূমিকম্পে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৬৯

ফিলিপাইনের মধ্যাঞ্চলে ৬ দশমিক ৯ তীব্রতার শক্তিশালী ভূমিকম্পে নিহত হওয়ার সংখ্যা বেড়ে ৬৯ জন হয়েছে। দেশটির দুর্যোগ-সংশ্লিষ্ট একজন কর্মকর্তা আজ বুধবার এ খবর জানান। বেঁচে যাওয়া ব্যক্তিদের উদ্ধার কার্যক্রম পরিচালনা ও পানি-বিদ্যুতের সংযোগ আবার চালু করার চেষ্টা করছে ফিলিপাইন সরকার।

দেশটির সিভিল ডিফেন্স কর্মকর্তা রাফি আলেজান্দ্রো সাংবাদিকদের বলেন, স্থানীয় সময় গতকাল মঙ্গলবার রাত ১০টার আগে সেবু প্রদেশের উত্তরে বোগো শহরের কাছে ভূমিকম্পটির উৎপত্তি হয়। স্থানীয় হাসপাতালগুলো আহত মানুষের ভিড়ে রীতিমতো উপচে পড়ছে।

আঞ্চলিক সিভিল ডিফেন্স দপ্তরের তথ্য কর্মকর্তা জেন আবাপো বলেন, সেবুর প্রাদেশিক দুর্যোগ দপ্তরের কাছ থেকে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, ভূমিকম্পে নিহত হওয়ার সংখ্যা এখন পর্যন্ত ৬৯ জন। অন্য একজন কর্মকর্তা জানান, আহত হয়েছেন ১৫০ জনের বেশি।

দেশটির প্রেসিডেন্ট ফার্দিনান্দ মার্কোস জুনিয়র বেঁচে যাওয়া ব্যক্তিদের দ্রুত সহায়তার আশ্বাস দিয়েছেন। তিনি জানান, মন্ত্রিপরিষদ সচিবেরা ত্রাণ কার্যক্রম পরিচালনা করছেন। প্রিয়জন হারানো ব্যক্তিদের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছেন তিনি।

সেবু ফিলিপাইনের জনপ্রিয় পর্যটন গন্তব্যগুলোর একটি। সেখানে প্রায় ৩৪ লাখ মানুষের বসবাস। ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্ত হলেও ম্যাকতান-সেবু আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কার্যক্রম চালু রয়েছে। এটা ফিলিপাইনের দ্বিতীয় ব্যস্ততম বিমানবন্দর।

ভূমিকম্পে মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে সান রেমিগিও শহরটিও। উদ্ধার ও ত্রাণ কার্যক্রমে সহায়তার জন্য এ শহরে ‘দুর্যোগপূর্ণ অবস্থা’ ঘোষণা করা হয়েছে। শহরের ভাইস মেয়র আলফি রেইনেস বলেন, উদ্ধারকর্মীদের জন্য খাবার ও পানি, সেই সঙ্গে ভারী সরঞ্জাম প্রয়োজন।

স্থানীয় ডিজেডএমএম রেডিওকে আলফি রেইনেস বলেন, ‘ভারী বৃষ্টি হচ্ছে। বিদ্যুৎ নেই। আমাদের সত্যিই সহায়তা দরকার। বিশেষ করে উত্তরাঞ্চলে পানির তীব্র সংকট রয়েছে। ভূমিকম্পে সেখানে সরবরাহ লাইন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।’

আরও পড়ুনফিলিপাইনে শক্তিশালী ভূমিকম্পে নিহত অন্তত ২৬, চলছে উদ্ধারকাজ৫ ঘণ্টা আগে

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • ৪০ ঘণ্টা পর এক ছাত্রের মরদেহ উদ্ধার, নিখোঁজ আরেকজন
  • সিদ্ধিরগঞ্জে ৭ কেজি গাঁজাসহ মাদক কারবারি গ্রেপ্তার 
  • গরুর গোবর কুড়ানো থেকে সাত তারকা হোটেলে, জয়দীপের গল্প জানেন কি
  • টর্চলাইট
  • স্বাস্থ্য খাতে আলাদা বেতনকাঠামো হোক
  • গাজীপুরে আট বছরের শিশুকে ধর্ষণের অভিযোগে একজন গ্রেপ্তার
  • খাগড়াছড়ির ঘটনায় জাতিসংঘকে যুক্ত করে বিচার বিভাগীয় তদন্ত দাবি
  • ডাক্তারদের হাতের লেখা ঠিক করার নির্দেশ দিলো আদালত
  • ‘মোটা জেনারেলদের’ কড়া সমালোচনা করলেন মার্কিন প্রতিরক্ষা হেগসেথ
  • ফিলিপাইনে ৬ দশমিক ৯ তীব্রতার ভূমিকম্পে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৬৯