ধর্মশালার হিমালয় ঘেরা মাঠে পাঞ্জাব কিংস ও লক্ষ্ণৌ সুপার জায়ান্টসের মুখোমুখি লড়াইয়ে উত্তেজনার কমতি ছিল না। পাঞ্জাব কিংসের পেসার আর্শদীপ সিংয়ের দুর্দান্ত বোলিংয়ে লক্ষ্ণৌর টপ অর্ডার ভেঙে পড়ে, যা ম্যাচের মোড় ঘুরিয়ে দেয়।

প্রথমে ব্যাট করতে নেমে পাঞ্জাব কিংস ২০ ওভারে ৫ উইকেটে ২৩৬ রান তোলে। প্রভসিমরন সিং ৪৮ বলে ৯১ রানের ঝড়ো ইনিংস খেলেন, যেখানে ছিল ৭টি ছক্কা ও ৮টি চার। অধিনায়ক শ্রেয়াস আইয়ার ২৫ বলে ৪৫ রান করেন। জশ ইংলিস ১৪ বলে ৩০ রান করে দলের স্কোরবোর্ড সমৃদ্ধ করেন।

রান তাড়া করতে নামা লক্ষ্ণৌর ইনিংসের তৃতীয় ওভারে আর্শদীপ সিংয়ের হাতে বল তুলে দেওয়া হয়। তিনি প্রথমে মিচেল মার্শকে শূন্যরানে নেহাল ওয়াদেরার হাতে ক্যাচ বানিয়ে ফেরান। এরপর একই ওভারে এইডেন মার্করামকে বোল্ড করে দেন। পরবর্তীতে নিকোলাস পুরানকেও এলবিডব্লিউর ফাঁদে ফেলেন। এই তিনটি উইকেট পাওয়ার মাধ্যমে আর্শদীপ লক্ষ্ণৌর টপ অর্ডারকে ধসিয়ে দেন।

আরো পড়ুন:

বড় জয়ে বিজয়-শরিফুলদের সিরিজ শুরু

আইপিএলে ইতিহাস গড়া ছয় বলে ছয় ছক্কা

৫ উইকেটে ৭৩ রান হারিয়ে বিপদে পড়া লক্ষ্ণৌকে টেনে তোলার চেষ্টা করেন আয়ুশ বাদোনি ও আব্দুল সামাদ। তারা ৮১ রানের জুটি গড়েন। সামাদ ২৪ বলে ৪৫ রান করে আউট হন। বাদোনি ৪০ বলে ৭৪ রানের সাহসী ইনিংস খেলেন, যেখানে ছিল ৫টি ছক্কা ও ৫টি চার। তবে তাদের প্রচেষ্টা সত্ত্বেও লক্ষ্ণৌ ২০ ওভারে ৭ উইকেটে ১৯৯ রানেই থেমে যায়। পাঞ্জাব কিংস ৩৭ রানে জয় লাভ করে।

এই জয়ে তারা ১৫ পয়েন্ট নিয়ে পয়েন্ট টেবিলের দ্বিতীয় স্থানে উঠে আসে। অন্যদিকে, লক্ষ্ণৌ সুপার জায়ান্টস ১০ পয়েন্ট নিয়ে সপ্তম স্থানে অবস্থান করছে।

ম্যাচের সেরা খেলোয়াড় হন প্রভসিমরন সিং (৯১ রান)।

ঢাকা/আমিনুল

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর লক ষ ণ উইক ট

এছাড়াও পড়ুন:

পর্যটকে পরিপূর্ণ কুয়াকাটা

দুর্গাপূজা ও সাপ্তাহিক ছুটির তৃতীয় দিন শুক্রবার (৩ অক্টোবর) পর্যটকে কানায় কানায় পরিপূর্ণ হয়ে উঠেছে পটুয়াখালীর পর্যটনকেন্দ্র কুয়াকাটা। ২২ কিলোমিটার দীর্ঘ সৈকতের তিন নদীর মোহনা, লেম্বুর বন, শুটকি পল্লী, ঝাউবাগান, গঙ্গামতি, চর গঙ্গামতি ও লাল কাঁকড়ার চড়ে এখন পর্যটকদের সরব উপস্থিতি। তাদের নিরাপত্তায় তৎপর রয়েছে ট্যুরিস্ট পুলিশের সদস্যরা।

সরেজমিনে দেখা যায়, আগত পর্যটকরা সৈকতের বালিয়াড়িতে উচ্ছ্বাসে মেতেছেন। তাদের অনেকে সমুদ্রের ঢেউয়ে গা ভিজিয়ে এবং ওয়াটর বাইকে চড়ে আনন্দ করছেন। অনেকে আবার সৈকতের বেঞ্চিতে বসে প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগ করছেন। পর্যটকদের কেউ কেউ মোটরসাইকেল কিংবা ঘোড়ায় চরে বিভিন্ন পর্যটন স্পট ঘুরে দেখছিলেন। সব মিলিয়ে সৈকতের উৎসব মুখর পরিবেশ বিরাজ করছে। 

আরো পড়ুন:

চার দিনের ছুটিতে কক্সবাজার রুটে চলবে ‘ট্যুরিস্ট স্পেশাল’ ট্রেন

১ অক্টোবর থেকেই কেওক্রাডং যেতে পারবেন পর্যটকরা, মানতে হবে ৬ নির্দেশনা

পাবনা থেকে আসা হোসেন শহীদ ও সোনিয়া দম্পতি জানান, পূজা ও সরকারি ছুটি থাকায় তারা কুয়াকাটায় এসেছেন। সমুদ্রের ঢেউ উপভোগ করেছেন তারা। এই দম্পতির অভিযোগ, হোটেল ভাড়া কিছুটা বেশি রাখা হয়েছে।  

বরিশালের কাউনিয়া থেকে আসা সম্রাট বলেন, “কয়েকটি পর্যটন স্পট ঘুরে দেখেছি। বৃহস্পিতবার বিকেলে বৃষ্টির মধ্যে লাল কাকড়ার চড়, গঙ্গামতি ও লেম্বুর বন ঘুরেছি। দারুন এক অনুভূতি হয়েছে।”

কুয়াকাটা ট্যুরিস্ট পুলিশ জোনের সহকারী পুলিশ সুপার হাবিবুর রহমান বলেন, “পর্যটকদের নিরপত্তা নিশ্চিতে আমরা সচেষ্ট রয়েছি। বিভিন্ন পর্যটন স্পটে ট্যুরিস্ট পুলিশের সদস্য মোতায়েন রয়েছে।”

ঢাকা/ইমরান/মাসুদ

সম্পর্কিত নিবন্ধ