দুই বাংলার জনপ্রিয় অভিনেত্রী জয়া আহসান। এরই মধ্যে দুই বাংলার দর্শকদের মন জয় করে দুই দেশেই জিতে নিয়েছেন পুরস্কার। এবার সেই জয়া হাজির হলেন একদম নতুন রূপে। শুধু নায়িকা নন, এবার তিনি প্রযোজকও! সিনেমার নামটাও বেশ জমজমাট— ‘জয়া আর শারমিন’।

লকডাউনের ফাঁদে আটকে থাকা দুই নারীর গল্প বলবে এই সিনেমা। করোনাকালের সেই গৃহবন্দি দিনগুলোতে, সবাই যখন সোফায় গড়াগড়ি করেছে, সেখানে জয়া ঝাঁপিয়ে পড়েছিলেন শুটিংয়ে।

পরিচালক পিপলু আর খানের সঙ্গে মিলে বানিয়ে ফেলেন এই সিনেমা, যেখানে দুই ভিন্ন জগতের নারীর বন্ধুত্ব ফুটে উঠবে। একদিকে অভিনেত্রী জয়া, আর অন্যদিকে তার গৃহকর্মী শারমিন— সম্পর্ক রক্তের নয়, তবু এক অন্যরকম বন্ধন।

আরো পড়ুন:

তারাদের ভার্চুয়াল কলমে বৈশাখের শুভেচ্ছা

আমরা সবাই খানিকটা লোভী: জয়া

জয়া নিজেই জানালেন, সব প্রতিশ্রুতি নাকি মিথ্যা, শেষ পর্যন্ত কেউ পাশে থাকে না! তবে বাস্তবে ঠিকই পাশে রেখেছেন তার গৃহকর্মীদের। বলেন, ‘‘আমার মা, ভাইবোন, পোষ্য— যেমন আমার পরিবার, গৃহকর্মীরাও তেমনই।”

এ সিনেমার চিত্রনাট্য লিখেছেন পিপলু আর খান আর নুসরাত ইসলাম। প্রযোজনার ভারও ভাগ করে নেন পিপলু আর জয়া নিজেই।

১৬ মে মুক্তি পাবে সিনেমাটি। ঢাকঢোল না বাজালেও, সিনেমাপ্রেমীদের মন ছুঁয়ে যাওয়ার প্রস্তুতি সেরে রেখেছে ‘জয়া আর শারমিন’।

ঢাকা/রাহাত/শান্ত

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর জয় আহস ন

এছাড়াও পড়ুন:

চাঁদপুরে মুক্তিযোদ্ধাকে মৃত দেখিয়ে ভাতা নিচ্ছেন তার স্ত্রী

চাঁদপুর শহরে সুজন তালুকদার নামে এক জীবিত মুক্তিযোদ্ধাকে মৃত দেখিয়ে বছরের পর বছর রাষ্ট্রীয় কোষাগার থেকে মুক্তিযোদ্ধা ভাতাসহ অন্যান্য নগদ অর্থের সুযোগ সুবিধা গ্রহণ করছেন প্রতারক স্ত্রী অসীমা তালুকদার। 

মঙ্গলবার (৬ মে) চাঁদপুর শহরের চিত্রলেখার মোড়ের সোনালী ব্যাংক হতে সুজন তালুকদার নামে মৃত মুক্তিযোদ্ধার ভাতার তথ্য পাওয়া যায়। তথ্য নিশ্চিত করেন ব্যাংকটির সিনিয়র অফিসার মাহবুব আলম। 

সিনিয়র অফিসার মাহবুব আলম জানান, এখানে সুজন তালুকদারসহ মোট ৩৯৫ জন মৃত মুক্তিযোদ্ধার ওয়ারিশরা নিয়মিত ভাতা তুলছেন। যারা মাসে ২০ হাজার টাকা, এরসঙ্গে দুই ঈদে ১০ হাজার করে ঈদ ভাতা এবং বৈশাখী ভাতা হিসেবে ২ হাজার টাকা করে দেওয়া হচ্ছে।

আরো পড়ুন:

কুমিল্লার সেই মুক্তিযোদ্ধা কানুর বাড়িতে গভীর রাতে হামলা

সুনামগঞ্জে তালা ভেঙে শহীদ মিনারে ফুল দিলেন মুক্তিযোদ্ধারা

তিনি আরো জানান, সুজন তালুকদারের অর্থ একমাত্র ওয়ারিশ হিসেবে তার স্ত্রী অসীমা তালুকদার তুলছেন।

সরকারি ওয়েব সাইটে বীর মুক্তিযোদ্ধা তথ্য ব্যবস্থাপনা সিস্টেমে দেখা যায় সুজন তালুকদারের মুক্তিযোদ্ধার নম্বর হচ্ছে ০১১৩০০০১৬০২ এবং বেসামরিক গেজেট ৫৫ এবং লাল মুক্তিবার্তা ০২০৫০১০২৭০। তার বাবা মৃত হরে কৃষ্ণ তালুকদার এবং ঠিকানা হচ্ছে গ্রাম-৬৬, মেথা রোড, চাঁদপুর সদর, চাঁদপুর।

এ তথ্য অনুযায়ী সেখানে গেলে মুক্তিযোদ্ধা সুজন তালুকদারকে পাওয়া না গেলেও তার নিকট আত্মীয়দের পাওয়া যায়। মুক্তিযোদ্ধা সুজন তালুকদারের বৌদি কল্পনা তালুকদার জানান, মুক্তিযোদ্ধা সুজন তালুকদারকে মারধরসহ ভাড়া বাসায় বেঁধে রাখার খবর পাচ্ছেন। এ কাজ করছেন তার স্ত্রী। 

মুক্তিযোদ্ধা সুজন তালুকদারের ভাতিজি বিপাশা তালুকদার বলেন, কাগজে কলমে সুজন তালুকদারকে মেরে ফেলা হয়েছে। তাই তাকে বাসায় বন্দি করে রাখে।

সুজন তালুকদারের মিশন রোডের ভাড়া বাসায় গেলে সাংবাদিক দেখে আবেগ আপ্লুত হয়ে পড়েন তিনি। বৃদ্ধ সুজন তালুকদার বলেন, ‘‘আমার স্ত্রী আমাকে এই খাটে দড়ি দিয়ে বেঁধে রাখে, মারে। সবসময় ধমকায়।’’ 

স্বামীকে মৃত দেখানোর বিষয়ে স্ত্রী অসীমা তালুকদার বলেন, ‘‘আমি দ্রুত সুজনকে নিয়ে এ জেলা ছেড়ে অন্যত্র চলে যাবো। আমার বোন জামাই আছে ঢাকায় এবং মেয়ে ও তার স্বামীও আছে এক স্থানে। তারা অসুস্থ সুজনকে দেখভাল করবে।’’ এ সময় সুজন তালুকদারের সঞ্চিত অর্থের বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি জানান, সব টাকা তার চিকিৎসায় ব্যয় করেছেন।

চাঁদপুরের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মোহসীন উদ্দিন জানান, এই প্রতারণার তথ্য সঠিক হলে তদন্ত করে ভাতা বন্ধসহ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

ঢাকা/জয়/বকুল

সম্পর্কিত নিবন্ধ