‘সব প্রতিশ্রুতি মিথ্যা, কেউ পাশে থাকে না’
Published: 6th, May 2025 GMT
দুই বাংলার জনপ্রিয় অভিনেত্রী জয়া আহসান। এরই মধ্যে দুই বাংলার দর্শকদের মন জয় করে দুই দেশেই জিতে নিয়েছেন পুরস্কার। এবার সেই জয়া হাজির হলেন একদম নতুন রূপে। শুধু নায়িকা নন, এবার তিনি প্রযোজকও! সিনেমার নামটাও বেশ জমজমাট— ‘জয়া আর শারমিন’।
লকডাউনের ফাঁদে আটকে থাকা দুই নারীর গল্প বলবে এই সিনেমা। করোনাকালের সেই গৃহবন্দি দিনগুলোতে, সবাই যখন সোফায় গড়াগড়ি করেছে, সেখানে জয়া ঝাঁপিয়ে পড়েছিলেন শুটিংয়ে।
পরিচালক পিপলু আর খানের সঙ্গে মিলে বানিয়ে ফেলেন এই সিনেমা, যেখানে দুই ভিন্ন জগতের নারীর বন্ধুত্ব ফুটে উঠবে। একদিকে অভিনেত্রী জয়া, আর অন্যদিকে তার গৃহকর্মী শারমিন— সম্পর্ক রক্তের নয়, তবু এক অন্যরকম বন্ধন।
আরো পড়ুন:
তারাদের ভার্চুয়াল কলমে বৈশাখের শুভেচ্ছা
আমরা সবাই খানিকটা লোভী: জয়া
জয়া নিজেই জানালেন, সব প্রতিশ্রুতি নাকি মিথ্যা, শেষ পর্যন্ত কেউ পাশে থাকে না! তবে বাস্তবে ঠিকই পাশে রেখেছেন তার গৃহকর্মীদের। বলেন, ‘‘আমার মা, ভাইবোন, পোষ্য— যেমন আমার পরিবার, গৃহকর্মীরাও তেমনই।”
এ সিনেমার চিত্রনাট্য লিখেছেন পিপলু আর খান আর নুসরাত ইসলাম। প্রযোজনার ভারও ভাগ করে নেন পিপলু আর জয়া নিজেই।
১৬ মে মুক্তি পাবে সিনেমাটি। ঢাকঢোল না বাজালেও, সিনেমাপ্রেমীদের মন ছুঁয়ে যাওয়ার প্রস্তুতি সেরে রেখেছে ‘জয়া আর শারমিন’।
ঢাকা/রাহাত/শান্ত
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
সন্ত্রাসবিরোধী আইনে ৩৮ জনের বিরুদ্ধে মামলা
নান্দাইলে আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগের ৩৮ নেতাকর্মীর নামে সন্ত্রাসবিরোধী আইনে মামলা হয়েছে। গত ১৮ জুন থানার উপপরিদর্শক আব্দুল হামিদ বাদী হয়ে মামলাটি করেছেন।
আসামিদের বিরুদ্ধে সমাবেশের প্রস্তুতিসহ সন্ত্রাসী কার্যকলাপের অভিযোগ আনা হয়েছে। মামলায় অন্যদের সঙ্গে আসামি করা হয়েছে সাবেক সংসদ সদস্য ও পরিকল্পনা মন্ত্রী মেজর জেনারেল (অব.) আব্দুস সালামের মেয়ে ও তিন ইউপি চেয়ারম্যানকে।
মামলার অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, গত ১৭ জুন উপপরিদর্শক আব্দুল হামিদের নেতৃত্বে একদল পুলিশ পৌর শহরের নতুন বাজার এলাকায় রাত্রিকালীন টহল দায়িত্বে ছিল। এ সময় তারা খবর পায় চন্ডীপাশা ইউপির ধুরুয়া গাবতলী ডিএস দাখিল মাদ্রাসা প্রাঙ্গণে আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা জড়ো হয়েছেন। সেখানে তারা বিভিন্ন কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে দেশে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টির লক্ষ্যে শলাপরামর্শ করছেন। পরে পুলিশের টহল দলটি রাত সাড়ে ১০টার দিকে সেখানে গিয়ে ছাত্রলীগ ও যুবলীগের সাতজনকে গ্রেপ্তার করে। বাকিরা পালিয়ে যান।
পরদিন ১৮ জুন সন্ত্রাসবিরোধী আইনে ৩৮ জনের নামে একটি মামলা করেন উপপরিদর্শক আব্দুল হামিদ। প্রধান আসামি করা হয়েছে উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি মাহাবুব হাসানকে। আসামির তালিকার ১৭ নম্বরে আছেন সাবেক পরিকল্পনা মন্ত্রী মেজর জেনারেল (অব.) আব্দুস সালামের উপদেষ্টা ও মেয়ে ওয়াহিদা হোসেন রুপার নাম। এ ছাড়া আসামি করা হয়েছে– আওয়ামী লীগ নেতা আচারগাঁও ইউপির বর্তমান চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম রেনু, শেরপুর ইউপির চেয়ারম্যান মোয়াজ্জেম হোসেন মিল্টন ভূঁইয়া ও জাহাঙ্গীরপুর ইউপির চেয়ারম্যান কামাল উদ্দিনকে।
মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন নান্দাইল থানার ওসি আনোয়ার হোসেন। তিনি জানান, অভিযুক্তদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।